পেকুয়ায় প্রেমিককে নিয়ে পালালেন সৌদি প্রবাসির স্ত্রী। চুপিসরে প্রেম। মুঠোফোনে প্রেমিকের সাথে পরকিয়া সম্পর্ক। অতপর স্বামীর অজান্তে নগদ টাকা, মালামাল ও স্বর্নাংলকার নিয়ে প্রেমিকের হাত ধরে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি দেয় প্রবাসির স্ত্রী। গত পাঁচ দিন ধরে খোঁজ নেই স্ত্রী। চরম কিংকর্তব্যবিমুট স্বামী স্ত্রীকে নিয়ে চরম উদ্বেগ ও হতাশার মধ্যে পড়েছেন। এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত (সন্ধ্যা ৬টা) পর্যন্ত সন্ধ্যান মেলেনি পালিয়ে যাওয়া ওই গৃহবধুর। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের পুর্ব বারাইয়াকাটা এলাকায়। পালিয়ে যাওয়া গৃহবধুর নাম রিনা আক্তার প্রকাশ রিকুন (২৫)। তিনি ওই এলাকার সৌদি প্রবাসি আবুল কালামের স্ত্রী। পেকুয়া থানা পুলিশ ওই মহিলাকে হন্য হয়ে খোঁজছেন। তবে পরকীয়া প্রেমিকের নাম এখনো সনাক্ত করা যায়নি। প্রেমিকা যে অপর প্রান্তের মুঠোফোনে প্রেমিকের সাথে কথা বলতেন সে নাম্বারটি পর্যবেক্ষন করা হচ্ছে। পরকীয়া আসক্ত প্রেমিক যুগলের পৃথক মুঠোফোন বিচ্ছিন্ন রয়েছে বর্তমানে। জানা গেছে গত ১৮ ফেব্রুয়ারী সকাল ১০টার দিকে গৃহবধু রিনা আকতার স্বামীর অনুপস্থিতে পালিয়ে যান। তার স্বামী আবুল কালাম গত দেড় মাস আগে দেশে আসেন। ওইদিন আবুল কালাম কুতুব শরীফ দরবারে ছিলেন। এ সুবাধে স্ত্রী রসিক প্রেমিককে নিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। আবুল কালামের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী ভেলুয়ারা বেগম জানায় রিনা আকতার কৌশল করে পালিয়ে গেছে। ওইদিন আমার ভাসুর বাড়িতে ছিলেননা। সে আমাকে বোনের বাড়িতে যাওয়ার কথা বলেছেন। আমার কাছ থেকে এক হাজার টাকা ধার নিয়েছে। সন্ধ্যার দিকে ফিরবেন বলে বাড়ির চাবি আমাকে জমা দেয়। দুপুরের দিকে ভাসুর বাড়ি আসে। রিকু কোথায় জিজ্ঞেস করলে বলেছি সে বোনের বাড়িতে গেছে। সন্ধ্যায় আসবে বলেছে। তখন স্বামীর সন্দেহ হলে তিনি মালামাল ও আলমিরা চেক করেন। দেবর আবু তাহের জানায় বোনের বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে পালিয়েছে। এর একদিন আগে বাপের বাড়ি থেকে আসে। আমি বারন করেছি। কিন্তু সে কথা শুনেনি। সন্ধ্যার দিকে চলে আসবে বলেছে। একটি অটোরিক্সা নিয়ে চলে যায়। সে আমার ভাইয়ের দ্বিতীয় স্ত্রী। ১ম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর তাকে বিয়ে করে। তার চলাফেরা, গতিবিধি ভাল ছিলনা। মোবাইল নিয়ে সব সময় ব্যস্ত থাকত। আবুল কালামের ভাগ্নি আয়েশা ছিদ্দিকা জানায় মামি আর আমি এ বাড়িতে থাকি। মামি প্রায় সময় মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকে। মামির এসব দেখে আমি নিষেধ করছিলাম। কাউকে না জানাতে আমাকে অনুরোধ করে। ০১৮২৪-৩২৮১৫০ নাম্বারটিতে প্রায় সময় কথা বলতেন। কৌশলে আমি নাম্বারটি নিয়ে নিই। প্রবাসি আবুল কালাম জানায় সে আমার অনুপস্থিতে পরকীয়ায় জড়ায়। বিষয়টি বিদেশ থাকা অবস্থায় টের পেয়েছি। দেশে এসেছি দেড় মাস আগে। কিছুদিন আগে আমাকে বলেছে সে আমার সাথে সংসার করবেনা। বিষয়টি আমি তার বাপের বাড়িতে জানিয়েছে। পরে আমাকে বলেছে এসব দুষ্টুমি করেছি। এর আগে তার এমন আচরন ধরা পড়ে যায়। আমি পেকুয়ায় থানায় জিড়ির লিপিবদ্ধ করতে অভিযোগ দিয়েছি। এসআই কামরুল হাসান ওই অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা। আমি মালেক শাহর দরবারে গিয়েছি। ওই সুবাধে নগদ ৭০হাজার টাকা, ৫ভরি স্বর্নালংকার ও মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়। আমার যেটুকু ধারনা আমার স্ত্রী হেলাল উদ্দিন নামের এক যুবকের প্রেমের ফাঁদে পড়েছে। তারা দু’জনইে দীর্ঘদিন ধরে গোপনে প্রেম করছেন। হেলাল উদ্দিন জানায় এক বছর আগে রং নাম্বারে পরিচয় হয়েছিল। বার বার আমাকে বিরক্ত করত। আমি কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছি সে সময় থেকে। জানা গেছে গত চার বছর আগে আবুল কালাম বিয়ে করেন রিনা আকতারকে। তার বাপের বাড়ি উপজেলা সদর ইউনিয়নের জালিয়াখালী এলাকায়। ১ম স্ত্রী আনিছা বেগম মারা যায়। রিনা আকতার তার দ্বিতীয় স্ত্রী। ্ের আগে রিনা আকতারের আরেক বিয়ে হয়েছিল। তাদের সংসার নিঃসন্তান।
পাঠকের মতামত: