ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় শিশুসহ ৫ জন আহত

0মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, পেকুয়া ::

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় দূর্র্বৃত্তদের হামলায় একই পরিবারের শিশুসহ ৪জন আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে, গতকাল ২৩ ফেব্রেুয়ারী সকাল ৯টার দিকে পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের মাতবর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পূর্ব পার্শ্বের লবণ মাঠে।  আহতরা হলেন ওই গ্রামের মৌলানা গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী মোবাশ্বেরা বেগম (৪৫), তার ছেলে আকবর ফারুক (২৮), নুরুল আমিনের স্ত্রী রোজিনা ইয়াসমিন (২৬), মৃত পেঠান আলীর পুত্র আলী আহমদ (৩২), আব্বাস উদ্দিনের শিশু কন্যা আফসানা সোলতানা (৫)। আহতদের পেকুয়া সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহতদের পরিবার ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের সুত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন স্থানীয় রাজা মিয়ার পুত্র কফিল উদ্দিনের নেতৃত্বে তার ভাই হারুন রশিদসহ একদল দূর্বূত্তরা মৌলনা গিয়াস উদ্দিনের খরিদকৃত নিজস্ব লবণ মাঠ দেখা শুনা করার সময় তার ছেলে আকবর ফারুকের উপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে। এসময় খবর পেয়ে তার পরিবারের লোকজন আকবর ফারুককে বাঁচাতে এগিয়ে এলে মৌলানা গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী ও তার পরিবারের অন্যান্য লোকজনের বেপরোয়া হামলা চালায় কফিল উদ্দিনের নেতৃত্বে লোকজন। ঘটনার পর পরই স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে পেকুয়া সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করেছে।

আহত গৃহবধূ মোবাশ্বেরা বেগম অভিযোগ করেছেন, হামলাকারীরা দীর্ঘদিন ধরে আমার ম্বামীর কাছ থেকে মোটা অংকের চাঁদা দাবী করে আসছিল। তাদের দাবীকৃতদ চাঁদা না দেওয়ায় ঘটনার দিন আমাদের খরিদা সম্পত্তি জবর দখলের জন্য আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে। হামলাকারীরা ঘটনার সময় আমার গলায় থাকা ১৮ হাজার টাকা মূল্যমানে স্বর্ণের চেইন, আমার ৩২০০ টাকা দামের মোবাইল, আমার ছেলে ফারুকের পকেটে থাকা নগদ ৫২০০টাকা ও ৩২ হাজার টাকা দামের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে তারা আমাদের হুমকি-ধমকি দিয়ে ঘটনাস্থল থকে চলে যাওয়ার পর স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে।

এদিকে এ ঘটনায় মৌলনা গিয়াস উদ্দিন বাদী হয়ে গতকাল ২৩ ফেব্রেুয়ারী পেকুয়া থানায় হামলাকারী কফিল উদ্দিনকে প্রধান আসামী করে ৬ জনের বিরুদ্ধে একটি এজাহার দায়ের করছেন।

পাঠকের মতামত: