ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় পাউবোর স্লুইচ গেইটের আধিপত্য নিতে দু’পক্ষের দ্বন্ধ চরমে

পেকুয়া প্রতিনিধি:pekua-dc-new
পেকুয়ায় পানি উন্নয়ন র্বোড (পাউবোর) মালিকানাধিন স্লুইচ গেইটের আধিপত্য নিতে স্থানীয় দু’পক্ষের মধ্যে দ্বন্ধ চরম আকার ধারন করেছে। স্লুইচ গেইটের মুখে জাল বসিয়ে মাছ আহরনকে কেন্দ্র করে ওই দু’পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা ওই স্লুইচ গেইট এর নিয়ন্ত্রন এক ব্যক্তিকে দিয়ে দেয়। এদিকে অপরপক্ষ দীর্ঘদিন ধরে স্লুইচ গেইট তদারকি করে আসছিলেন। সম্প্রতি পুর্বের দখলদারকে উচ্ছেদ নিয়ে খোদ ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যরা দ্বন্ধে জড়িয়ে গেছেন। যেকোন মুর্হুতে স্লুইচ গেইটের নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্টাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ আশংকা করেছেন স্থানীয়রা। স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম উজানটিয়া ঘোসালপাড়া এলাকায় পাউবোর ৬৫/২বি পোল্ডারের ৫৪নং স্লুইচ গেইট এর তদারকি নিয়ে ঘোসালপাড়া এলাকার মোকতার কামালের ছেলে জসিম উদ্দিনের সাথে নতুনঘোনা এলাকার মৃত.নুরুল হকের ছেলে মহিউদ্দিনের মধ্যে বিরোধ দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন ৫৪নং স্লুইচ গেইট তদারকির জন্য পানি উন্নয়ন র্বোড ২০২১সাল পর্যন্ত খালাসি কমিটির অনুকুলে জসিম উদ্দিনকে দায়িত্বভার অর্পন করেন। সম্প্রতি ঘুর্নিঝড় রোয়ানুর আঘাতে স্লুইচ গেইটের পাশ্ববর্তী পাউবোর বেড়িবাঁধ বিলিন হয়। বিলিন অংশ ব্যক্তিগত উদ্যেগে মহিউদ্দিন সংস্কার কাজ বাস্তবায়ন করেন। স্থানীয় ইউপির চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম চৌধুরী ওই বেড়িবাঁধ সংস্কারের জন্য মহিউদ্দিনের সাথে আতাঁত করে। স্লুইচ গেইট থেকে জসিম উদ্দিন গংদের বিতাড়িত করতে মুলত কৌশল অবলম্বনের জন্য মহিউদ্দিনকে ওই কাজে সম্পৃক্ত করেন। এদিকে মহিউদ্দিন গত ১৫-২০দিন ধরে স্লুইচ গেইটের নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্টা করেন। তিনি স্লুইচ গেইটের প্রবাহমান খালে জাল বসিয়ে মৎস্য আহরন করে। অপরদিকে বৈধ দখলদার হিসেবে জসিম উদ্দিন গং স্লুইচ গেইট থেকে মহিউদ্দিন গংদের হঠাতে মরিয়া হয়েছে। জসিম উদ্দিন স্লুইচ গেইটের নদী পয়েন্টে ২টি বিহিন্দি জাল বসিয়ে মৎস্য আহরন কাজ অব্যহত রেখেছে। গত রবিবার (১০জুলাই) দুপুরে স্থানীয় ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম গ্রাম পুলিশ নিয়ে ওই স্থান থেকে জসিম উদ্দিনের দু’টি জাল নিয়ে যায়। এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। ঘোসাল পাড়ার ওমর আলী, জসিম উদ্দিন, আলী আজগর, রোকেয়া বেগম, সেতেরা বেগম, তসলিমা, বুতি বেগম, ইয়াছিন, রোজি আকতার, মোজাম্মেল, গিয়াস উদ্দিন জানায় স্লুইচ গেইট আমাদের মরন ফাঁদে পরিনত হয়েছে। বহিরাগত লোকজন নাশি দখলে নিয়ে পুরো এলাকা পানির মধ্যে ডুবিয়ে রাখে। মাছ মারতে মহিউদ্দিন কুতুবদিয়া সাগার থেকে পানি ঢুকায়। পানি বের করেনা। চেয়ারম্যান চিংড়ি প্রজেক্টের মালিকের কাছ থেকে বেড়িবাঁধ সংস্কারের নামে প্রতি প্রজেক্ট থেকে ১০-২০হাজার দাবি করে। কিন্তু তার কথায় টাকা না দেয়ায় স্লুইচ গেইট নিয়ে তালবাহানা করছে। চেয়ারম্যানের কারনে দু’গ্রামের প্রায় ৭শ পরিবার পানির নিচে রয়েছে। চিংড়ি চাষিরা জানায় এ স্লুইচ গেইটের অধীনে প্রায় ৮-১০টি ঘের রয়েছে। পানি আটকিয়ে থাকায় মৎস্য উৎপাদন বন্ধ হওয়ার মত পরিস্থিতি হয়েছে। পানিতে ভেসে গেছে কোটি টাকার মাছ। চাষিরা জানায় সাইফুল মেম্বার ২নং ওয়ার্ড়ের। অথচ স্লুইচ গেইট ১নং ওয়ার্ড়ে। অনাধিকারভাবে হস্তক্ষেপ করতে তিনি স্লুইচ গেইট নিয়ে বাড়াবাড়ি করছে। এ ব্যাপারে জসিম উদ্দিন জানায় বেড়িবাঁধ সংস্কারে মাটি কাটতে আমি ব্যক্তিগত ভাবে উদ্যেগ নিয়েছিলাম। মাটি কাটার জন্য স্কেবেটারও আনি। কিন্তু চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম আমাকে কাজ করতে দেয়নি। টাকা নিয়ে তার মনোপ্লুত মহিউদ্দিনকে দিয়ে কাজ করিয়েছে। এখন স্লুইচ গেইট দখল করাচ্ছে তাকে দিয়ে। ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম জানায় চেয়ারম্যান জাল তুলে নিতে আমাকে পাঠিয়েছে। স্লুইচ গেইট তদারকি কে করবে আর করবেনা এটা দেখার বিষয় আমার না। ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম চৌধুরী জানায় আমি দু’ইউপি সদস্যসহ গ্রাম পুলিশ পাঠায়। জসিম উদ্দিন একজন মানবপাচার কারী ও ইয়াবা ব্যবসায়ী। তার কারনে মানুষ কষ্টে পাবে তা কি করে হয়। জন দুর্ভোগ সৃষ্টি করে স্লইচ গেইটে জাল বসাবে তা চেয়ারম্যান হিসেবে উন্মক্ত করা আমার কাজ। মহিউদ্দিন টাকা খরচ বেড়িবাঁধ সংস্কার করেছে। মানবিক বিষয় হচ্ছে তার টাকাগুলো স্লুইচ গেইট থেকে মাছ আহরন করে তুলতে হবে। জসিম ও আজম গং লুটেরা। তাদের করনে মানুষ অতিষ্ট হয়েছে।

পাঠকের মতামত: