ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় পন্ড হচ্ছে বাণিজ্য মেলা

পেকুয়া প্রতিনিধি :

পেকুয়ায় পন্ড হতে যাচ্ছে বানিজ্য মেলা। স্থান নির্ধারন নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়ে বাণিজ্য মেলার আয়োজন। মেলা আয়োজনে কমিটি স্থান নির্ধারন করে অনুমোদন নেয়। পরবর্তীতে ওই স্থান নিয়ে গোলযোগ তৈরী হয়। আয়োজকদের সাথে মেলার স্পন্সরদের দুরত্ব তৈরী হয়। এক পর্যায়ে স্পন্সর গন ওই স্থানের অদুরবর্তী স্থানে অপর একটি ভেন্যুতে মেলা আয়োজনের সিদ্ধান্তে পৌছে। এতে করে দু’ধারায় বিভক্তি দেখা দেয় মেলা আয়োজনে। অপরদিকে ২য় পছন্দের ওই ভেন্যু ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গা হওয়ায় এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে অভিযোগ দেয়া হয়। এতে বানিজ্য মেলা আয়োজন ও অনুষ্টান নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয় পেকুয়ায়। এ দিকে নির্দিষ্ট সময়ে পেকুয়ায় বানিজ্য মেলা অনুষ্টিত হওয়ার দিনক্ষন চুড়ান্ত হয়। চলতি মাসের ২০ মার্চ মেলা আয়োজনের তারিখ চুড়ান্ত করা হয়। উপজেলার সদর ইউনিয়নের মৌলভীপাড়া খেলার মাঠে এ মেলা অনুষ্টিত হওয়ার দিনক্ষন ধার্য্য করা হয়। মাসব্যাপী মেলা অনুষ্টানের লক্ষ্য নির্ধারিত হয়। এবিসি সড়কের নিকটতম পেকুয়া সদর ও বারবাকিয়া ইউনিয়নের সীমান্তব্রীজ সংলগ্ন মাঠে মেলা আয়োজনের চুড়ান্ত কার্যক্রম গ্রহন করছিল আয়োজক কমিটি। ভোলা নদীর সংযোগ স্থান ও সড়কপথে যাতায়াতের অন্যতম প্রানকেন্দ্র মৌলভীপাড়ার খেলার এ মাঠটি। আয়োজক কমিটি পেকুয়ায় এ প্রথম বানিজ্য মেলা আয়োজন করতে ব্যাপক প্রচার প্রচারনা উদ্যোগ নেয়। তবে সম্প্রতি স্থান নিয়ে বনিবনা দেখা দেয়। একটি পক্ষ মেলা পন্ড করতে নানাদিক তৎপরতায় মাঠে নামে। তারা মেলায় যে সব ব্যবসায়ীরা স্টল করবে এদের পিছু হটতে বাধ্য করে। এ দিকে ওই পক্ষ খেলার মাঠ থেকে মেলা আয়োজন পন্ড করতে উদ্যেগ নেয়। সুত্র জানায়, গোপনে ওই পক্ষ মেলার স্পন্সরদের দুভাগে বিভক্ত করে। কেজি স্কুল সংলগ্ন স্থানে স্টল প্রদর্শন করতে স্পন্সরদের চাপ প্রয়োগ করে। ২০ মার্চ বানিজ্য মেলা আয়োজন চুড়ান্ত হয়। খেলার মাঠে নান্দনিক উপভোগ্য আয়োজন সাজাতে স্পন্সররা গত এক সপ্তাহ আগে থেকে বিভিন্ন সামগ্রী মওজুদ করে। অপরদিকে চৌমুহনীর একটি প্রভাবশালী পক্ষ বানিজ্য মেলা আয়োজনে কিছু স্পন্সরদের এদের অনুকুলে নিতে সক্ষম হয়। তারা চৌমুহনীর উত্তরদিকে কেজি স্কুল সংলগ্ন ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গায় মেলার আয়োজনের উদ্যোগ নেয়। মেলার কিছু সামগ্রী ওই স্থানে মওজুদ করে। এ দিকে মেলা পন্ড করতে অভিযোগ দেয়া হয়েছে। স্থান ব্যক্তি মালিকানাধীন হওয়ায় মালিকপক্ষ পেকুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়। পেকুয়া সদর ইউনিয়নের সুতাবেপারীপাড়ার হাফেজ আবদু রহিম গং এর বিপক্ষে অভিযোগ দেয়। আয়োজক কমিটির প্রধান পৃষ্টপোষক মৌলভীপাড়া এলাকার মৃত নুরুল আলমের পুত্র ইকবালকে অভিযুক্ত করে। জানতে চাইলে আয়োজক কমিটির পৃষ্টপোষক মোহাম্মদ ইকবাল এর সত্যতা স্বীকার করেছেন। এ বিষয়ে তিনি জানায়, আমি পেকুয়াবাসীকে একটি মেলা উপহার দিতে সক্ষম হয়েছিলাম। মানসম্মত ও চিত্তবিনোদনে মানুষের সাড়া পেয়েছি ব্যাপক। তবে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর এ মেলা আয়োজনে অন্তরায়। আসলে তারা চায় এখানে আ’লীগ কিছু না করুক। আমি যে স্থানটি নির্ধারন করেছিলাম সেটি ছিল সর্বাধিক উৎকৃষ্ট স্থান। জাহাঙ্গীর চায় তার বাড়ির নিকট কেজি স্কুলের সামনে। আমি ওই স্থানেও মেলা করতে আগ্রহী। কিন্তু এ জায়গা ব্যক্তি মালিকানাধীন। তারা আমাদের বিপক্ষে অবস্থান নেয়। আসলে বিএনপির ইশারায় তারা এ সব করছে। আমার করার কিছু নেই। বঞ্চিত হবে সংষ্কৃত মনা মানুষ। সমাজ থেকে হানাহানি দ্বন্ধের অবসান ঘটাতে মেলা ক্রীড়া ও সংষ্কৃতি অঙ্গনকে মেলে ধরতে হবে। সম্প্রসারন করতে হবে মানুষের চিত্ত বিনোদনের উৎকৃষ্ট দিকসমুহকে।

#########

পেকুয়ায় বনজ সম্পদ ও বালিপাচার থামাতে সড়কে পিলার

পেকুয়া প্রতিনিধি:

পেকুয়ায় পাহাড়ী এলাকায় একটি সড়কে পিলার স্থাপন করা হয়েছে। বনজ সম্পদ ও পাহাড়ী ছড়া থেকে উত্তোলিত বালি পাচার থামাতে বনবিভাগ সড়কে এ অংশ পিলার দিয়ে আটকিয়ে দেয়। যানবাহন চলাচল থামাতে গ্রামীন সড়কের অংশে পিলার দেয়া হয়। উপজেলার টইটং ইউনিয়নের দুর্গম মধুখালী পাহাড়ী সড়কে পিলার স্থাপন করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে বনবিভাগ এ উদ্যোগ নেয়। ওই দিন বনবিভাগ টইটং ইউনিয়নের মধুখালী গহীন পাহাড়ে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় দুটি অবৈধ বালিমহালে অভিযান চালানো হয়। মধুখালীর নওশাফইল্যা আরতআলীর মুখ নামক স্থানে দুটি অবৈধ বালিমহাল আছে। পাহাড়ী ছড়া থেকে মেশিন দিয়ে বালি উত্তোলন করে। পৃথক দুটি বালিমহালে বিপুল পরিমান বালি মজুদ করে। সরকারী রাজস্ব না দিয়ে একটি বালিখেকো সিন্ডিকেট লাখ লাখ ঘনফুট বালি পাচার করছিল। জামায়াত নেতা মৌলভী হারুন ও যুবলীগ নেতা রবিউল আলম এ দুটি বালিমহালের নিয়ন্ত্রক। তারা বর্ষা মৌসুমে এ সব বালি স্ক্যাভেটর দিয়ে উত্তোলন করে। গত তিন মাস আগে থেকে মহাল থেকে স্তুপীকৃত বালি বিক্রি ও পাচার করে। চট্রগ্রাম দক্ষিন বনবিভাগের টইটং বনবিট অবৈধ বালি মহালে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় বনবিটের উপস্থিতি দেখতে পেয়ে বালি পাচার সিন্ডিকেট সদস্যরা দ্রুত সটকে যান। তারা বালি ভর্তি কয়েকটি ড্রাম ট্রাক ফিরিয়ে দেয়। বৃহস্পতিবার বনবিভাগের বিট কর্মকর্তার কার্যালয়ের জনবল ছাড়াও টইটং এলাকায় নিয়োজিত বন পাহারাদাররাও এ অভিযানে যায়। এ সময় মধুখালী মাহামুদউল্লাহর দোকানের সামনে সড়কে পিলার স্থাপন করা হয়। বালি পাচার ও পাহাড়ী গাছ গাছালী পাচার থামাতে ওই দিন মধুখালী হাজিবাজার সড়কের এ অংশে পিলার স্থাপন করা হয়। স্থানীয়রা জানায়, এ উদ্যোগ প্রশংসনীয়। মৌলভী হারুন একজন জামায়াতের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা। কয়েক বছর আগে থেকে বালি পাচারে জড়িত। পাহাড়ী ছড়া থেকে বালি উত্তোলন করে রাতারাতি কোটিপতি হন। পাহাড় ছড়ায় মিশিয়ে উত্তোলন করছে বালি। এতে করে বনভূমি ও উচু টিলাসমুহ চরম হুমকির মধ্যে পড়ে। পরিবেশে এর বিরুপ প্রভাব পড়তে শুরু হয়েছে। ওই জামায়াত নেতা বালি বিক্রি করে দুটি ডাম্পারের মালিক। এ সব ডাম্পারে বালি পরিবহন হচ্ছে। ডাম্পার দুটি লাইসেন্সবিহীন। তবে পাহাড় থেকে মাটি পাচার ও ছড়া থেকে বালি পাচারে তার ডাম্পারের জুড়ি মেলেনা।

পাঠকের মতামত: