পেকুয়া প্রতিনিধি :
পেকুয়ায় নিখোঁজ দিনমজুর মোহাম্মদ ইদ্রিস(২৪) এর লাশ মিলল সাগরে। প্রায় ৫০ ঘন্টা নিখোঁজ ছিল। অত:পর শুক্রবার ২৩ মার্চ দুপুর ১২ টার দিকে সাগরের কুতুবদিয়া চ্যানেলে তার লাশ পাওয়া যায়। জেলেদের বিহিন্দী জালে তার মৃতদেহ আটকিয়ে যায়। মাছ ধরার সময় জালে তার লাশ দেখতে পায় জেলে। উদ্ধারকৃত এ লাশ মোহাম্মদ ইদ্রিসের বলে নিশ্চিত হওয়া যায়। উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের সর্বদক্ষিন ও পশ্চিম প্রান্তে পেকুয়ারচর খালের মাথায় ত্রিমোহনীতে সাগরের কুতুবদিয়া চ্যানেল এর কাঁকপাড়া পয়েন্ট থেকে এ মৃতদেহ উদ্ধার করে। এ দিকে ২১ মার্চ সকাল ১০ টার দিকে মোহাম্মদ ইদ্রিস নিখোঁজ হন। ওই দিন সকালে রাজাখালী থেকে পেকুয়া সদর ইউনিয়ন বাইম্যাখালীতে আসছিলেন ইদ্রিস। সাঁতার কেটে পারাপার করতে ভোলা নদীতে ঝাঁপ দেয়। এ সময় পানিতে ডুবে তার সলিল সমাধি ঘটে। ওই সময় থেকে লাশটির প্রতীক্ষায় হাজার মানুষ নদীর দু’পাড়ে জড়ো হয়। এক কঠিন হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারনা হয়। শ^াসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করে ওই স্থানে। তিনি কি বেচে আছে না মারা গেছে এ নিয়ে অদ্ভুত চিত্তে তৈরী মানুষের মনে। বেদনা বিদুর পরিস্থিতি দেখা দেয় নদীর সংগম স্থলে। রাজাখালী ইউনিয়নের দক্ষিন বদিউদ্দিন পাড়া ও ভোলার টেকের সাগরের মোহনা পর্যন্ত তাকে খোঁজতে মানুষের বাঁধভাঙ্গা ¯্রােতধারা তৈরী হয়। হাজার হাজার মানুষ পাশর্^বর্তী মগনামা ইউনিয়নের শরতঘোনা ও উত্তরবাজার পাড়ায় ভোলাখালের চরে অপেক্ষমান ছিল। ফরিয়াদি বান্দারা মহান কর্তার কাছে প্রার্থনায় মিলিত হয়। তার জন্য নদীর ওই পয়েন্টে মিলাদ ও খতমে কোরআন পড়ানো হয়। আলেম সমাজ ছুটে যান এ দুর্দশা থেকে পরিত্রান পেতে আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা জানাতে। অবশেষে ওই দিন কুতুবদিয়া চ্যানেলের খর¯্রােতা স্থানে জেলে জামাল উদ্দিনের জালে তার মরদেহ আটকা পড়ে। মোহাম্মদ ইদ্রিস উপজেলার সদর ইউনিয়নের পশ্চিম বাইম্যাখালী গ্রামের জয়নাল আবেদিনের পুত্র। পেশায় দিনমজুর। তিনি বিবাহিত ও ২ সন্তানের জনক বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
পাঠকের মতামত: