ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ, গ্রামপুলিশসহ আহত-৪

ahot.পেকুয়া প্রতিনিধি :

পেকুয়ায় পাউবোর স্লুইচ গেইট আধিপত্য নিতে দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের কলেজছাত্রী ও গ্রাম পুলিশসহ অন্তত ৪ জন আহত হয়েছে। এ সময় উত্তেজিত লোকজন একটি বসতবাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। গতকাল শুক্রবার (৪আগষ্ট) সন্ধ্যা ৭ টার দিকে উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের সাতঘর পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। আহতরা হলেন বোর্ডিং পাড়া এলাকার মনজুর আলমের ছেলে মগনামা ইউপির গ্রাম পুলিশ মোস্তফা কামাল প্রকাশ কালু(৩০),অলি আহমদের মেয়ে পেকুয়া শহীদ জিয়াউর রহমান উপকুলীয় কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্রী আফিয়া ওয়াসিয়া এ্যানি(১৬), স্ত্রী মনোয়ারা বেগম(৪৫) ও আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী জেসমিন বেগম(৩০)। এদের মধ্যে গ্রাম পুলিশ কালুর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় এ দিন তাকে চমেক হাসপাতালে রেফার করা হয়। বর্তমানে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। উক্ত ঘটনা নিয়ে পরষ্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবোর) স্লুইচ গেইটের আধিপত্য নিতে বোর্ডিং পাড়া এলাকার আবদুল মালেকের ছেলে জিয়াউর রহমানের সাথে গ্রাম পুলিশ মোস্তফা কামাল প্রকাশ কালুর মধ্যে বিরোধ চলছিল। জিয়াউর রহমান জানায়, স্লুইচ গেইট তদারকির জন্য কালুসহ আমরা ৪ জন দেখভাল করি। আমি হিসাব রক্ষকের দায়িত্বে ছিলাম। কালু নিজে এককভাবে ভোগ দখলে নিতে পায়তারা করে। বিষয়টি নিয়ে ইউপি সদস্য জাঈদুল হক উভয়পক্ষকে নিয়ে সাতঘর পাড়া ষ্টেশনে বৈঠক করছিল। এ সময় কালুর পিতা হাকাবাকা করে চলে যায়। এক পর্যায়ে কালুর নেতৃত্বে মানিক মাঝি, কাইছার, নুর মোহাম্মদ মিয়া, আহমদ মিয়া সহ দুবৃর্ত্তরা আমাদের বাড়িতে হানা দেয়। এ সময় তারা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আমার ভাবী, ভাতিজিসহ তিনজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। এক পর্যায়ে তারা অলি আহমদের বসতঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। গ্রাম পুলিশ মোস্তফা কামাল জানায়, জিয়াউর রহমান একটি মামলার আসামী। আমি তাকে ধরে দিতে পুলিশকে সহায়তা করি। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হন। এর জের ধরে জিয়াউর রহমান গতকাল আমার পিতাকে লাঞ্চিত করে। খবর পেয়ে আমি সাতঘর পাড়া স্টেশনে গেলে জিয়াউর রহমান, নুর মোহাম্মদ, আনোয়ার, দিদার, সাকেরসহ কয়েকজন দুবৃর্ত্ত আমাকে ধারালো কিরিচ দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। পরে আমাকে টানা হেচড়া করে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে। ইউপি সদস্য জাইদুল হক জানায়, গ্রাম পুলিশ কালু স্লুইচ গেইটে যাচ্ছিলেন। এ সময় জিয়াউর রহমান গং তাকে পথে হামলা করে বাড়িতে তোলে নিয়ে যায়। তারা নিজেদের ঘর নিজেরা পুড়িয়ে দেয়। এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম খান জানান, খবর পেয়েছি। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি হতে বলেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পাঠকের মতামত: