ঢাকা,শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় ছোট ভাইয়ের স্ত্রীর মিথ্যা মামলায় ভাসুর জেলে

pekua,,পেকুয়া প্রতিনিধি :::

পেকুয়ায় ছোট ভাইয়ের স্ত্রীর দায়েরকৃত মামলায় কারাভোগ করছেন ভাসুর। দীর্ঘ দিনের ব্যবহৃত সার্বজনীন পুকুর ও পৈত্রিক বসত ভিটার জায়গা নিয়ে আপন দু’সহোদরের মধ্যে বিরোধ চলছিল। বিরোধের জের ধরে গত ৫ সেপ্টম্বর সকালে ছোট ভাই হরিরঞ্জন নাথ তার মা ছবি বালা নাথ ও ভাবী অর্চনা বালা নাথকে নির্দয় পিটিয়ে আহত করে। খবর পেয়ে বড় ভাই অনিল দেব নাথ ওই স্থানে গিয়ে বৃদ্ধা মা ও স্ত্রীকে ছোট ভাই হরি রঞ্জন ও তার স্ত্রী লাকি প্রভা নাথের রোষানল থেকে উদ্ধার করে। এমনকি ওই ঘটনার প্রতিবাদ করে অনিল দেব নাথ। এনিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এদিকে ওই ঘটনার সুত্র ধরে একটি মামলাবাজ চক্র কাল্পনিক ও রং ছিটানো ঘটনা সাজিয়ে ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে দিয়ে পেকুয়া থানায় পরের দিন ৬ সেপ্টম্বার একটি ধর্ষন চেষ্টার মামলা রুজু করেন। যার নং-৬/১৬। ওই মামলায় পুলিশ অনিল দেব নাথকে আটক করে। উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের উত্তর নাথ পাড়া এলাকার বসবাসরত হিন্দু সম্প্রদায় ও মুসলিম নারী পুরুষরা জানায় ঘটনার দিন বিকেলের দিকে অনিল দেব নাথকে পুলিশ আটক করে। পরে মামলা দিয়ে তাকে জেলে পাঠায়। এলাকাবাসিরা জানায় পৈত্রিক বসতভিটার জায়গা নিয়ে অনিল ও ভাই হরি রঞ্জনের মধ্যে বিরোধ চলছে। একই ভাবে নাথ পাড়ার সার্বজনীন একটি পুকুরের আধিপত্য নিয়ে প্রতিবেশি পল্লী চিকিৎসক সুকুমারের সাথে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রায় ১৮-২০পরিবারের সাথে বিরোধ দেখা দেয়। অনিল সার্বজনীন পুকুর রক্ষার পক্ষে জোরালো প্রতিবাদ করতেন। ওই সুবাধে সুকুমার তার প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে হাত মেলায় হরি রঞ্জনের সাথে। এর সুত্র ধরে সুকুমার ছোট ভাই হরি রঞ্জনকে ম্যানজ করে স্ত্রীকে দিয়ে অনিলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। অনিলের স্ত্রী অর্চনা বালা নাথ জানায় আমার স্বামী একজন ভ্যান চালক। ওইদিন আমি ও আমার শ্বাশুরী উঠানে ঘিরা দিচ্ছিলাম। এ সময় জাঁ লাকি প্রভা নাথ এসে গালি গালাজ করে। পরে দেবর হরি রঞ্জন এসে আমি ও আমার শ্বশুরীকে মারধর করে। স্বামী এসে এ সবের প্রতিবাদ করলে ওই মহিলা উৎশৃংখল হয়ে উঠে। এক পর্যায়ে ভাই শাশুরের সামনে বেহায়াপনা আচরন করে। পরে জেনেছি ওই মহিলা আমার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করে। মামলায় যেসব কথা উল্লেখ করা হয়েছে এগুলো সব মিথ্যা। আমার স্বামী একজন মানবতাবাদি ও চরিত্রবান। অনিলের মা ছবি বালা নাথ জানায় অনিল জেলে যাওয়ার পর থেকে সংসারে চুলায় আগুন জ্বলছেনা। ভ্যান চালিয়ে সংসার চালায়। এক মেয়ে ও এক ছেলে পড়া লেখা করছে। এখন তারা ভেঙ্গে পড়েছে। আমার পুত্রবধু লাকি নষ্ট চরিত্রের মহিলা। সে আমেকেও অনেকবার মারধর করে আহত করে। ছেলে আমাকে ভরন পোষন দেয়না। অনিল আমি ও আমার এক মেয়ের পুরো সংসার চালায়। আমার পাঁচ মেয়েকে ভ্যান চালিয়ে অনিলেই বিয়ে দিয়েছে। লাকির সাথে পর পুরুষের অবৈধ সম্পর্ক আছে। তারাই ওই মহিলাকে দিয়ে অনিলকে ফাঁসিয়েছে। নাথ পাড়া এলাকার মালতি প্রভা নাথ, রিনা বালা নাথ, রুপসী বালা নাথ, শিখা বালা নাথ, পাঁচ করি দেব নাথ, প্রতিবেশি সেলিনা আক্তার, কুলসুমা বেগম, মহল্লা কমিটির সভাপতি সজল দেব নাথ জানায় লাকি বালা নাথ উৎশৃংখল চলাফেরা করে। তার আচার আচরনে অতিষ্ট হয়েছে মানুষ। ভাসুরের বিরুদ্ধে এটি চক্রান্ত। তাকে মারধর কিংবা শ্লীনতাহানি করা হয়নি। নিজেই অপবাদ তৈরি করে মামলায় জড়িয়েছে। ওই সময় আমরা উপস্থিত ছিলাম। পরে জেনেছি সুকুমার ও পুঁজা উদযাপন কমিটির সভাপতি সুমন বিশ্বাস মিলে অনিলের বিরুদ্ধে মামলা করতে ওই মহিলার সাথে হাত মেলায়। সার্বজনীন র্দুগা মন্দির ও পুকুর এককভাবে নিয়ন্ত্রন নিতে চাই সুকুমার। অনিল এর প্রতিবাদ করে। ওই সুযোগে সুকুমার কৌশলে লাকি দিয়ে অনিলকে ফাঁসায়। অনিলের বোন নমীতা বালা নাথ, পাখি বালা নাথ, কনিকা বালা নাথ, অঞ্জলী বালা নাথ ও ববিতা বালা নাথ জানায় আমরা পাঁচ বোনকে বিয়ে দিয়েছে অনিল। লাকি দুশ্চরিত্র মেয়ে। ভাই অনিল নির্দোষ। মিথ্যা অপবাদ রটিয়ে লাকি তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে।

পাঠকের মতামত: