ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় ইয়াবা স¤্রাট‘নুরুল আলম’ আটক, ৩৭০পিচ ইয়বা উদ্ধার

yaba atokপেকুয়া প্রতিনিধি :::

পেকুয়ায় ইয়াবা স¤্রাট নুরুল আলমকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে ৩৭০পিচ ইয়াবা ও ইয়াবা বিক্রির ৫হাজার টাকা উদ্ধার করে পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত রবিবার (১৭জুলাই) রাত সাড়ে ৯টার দিকে পেকুয়া থানা পুলিশ উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের জেটিঘাট সংলগ্ন মৌলারপাড়া থেকে তাকে আটক করে। নুরুল আলম ওই এলাকার উকিল আহমদের ছেলে। পেকুয়া থানার এএসআই নাছির উদ্দিন ও এএসআই মনিতোষ ওইদিন নুরুল আলমের বাড়ি থেকে ইয়াবাসহ তাকে গ্রেফতার করে। পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে নুরুল আলম একজন ইয়াবা স¤্রাট। দীর্ঘ দিন ধরে মগনামা জেটিঘাট কেন্দ্রিক তার নিজ বাড়িতে ইয়াবা বিকিকিনির মহোৎসব চলছিল। মাদক সেবনকারীরা নিয়মিত তার বাড়ি থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে থাকে। সন্ধ্যার পর নুরুল আলমের বাড়িতে নিয়মিত চলত মদের আসর। উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে সোর্সের মাধ্যমে নুরুল আলম ইয়াবা সরবরাহ দিতেন। কুতুবদিয়া চ্যানেল সংশ্লিষ্ট নিকট এলাকায় তার বাড়ি হওয়ায় সাগর পথে ইয়াবা পাচারে লিপ্ত ছিল নুরুল আলম। তার স্ত্রী মগনামা ইউপির সাবেক সদস্য শাহনাজ পারভিন স্বামীর সাথে ওই ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে। বাহির থেকে ওই মহিলা নিজেই ইয়াবা এনে যোগান দিতেন স্বামীকে। স্থানীয়রা জানায় নুরুল আলম এক সময় নেশাখোর ছিল। নেশা ছাড়া তার দিন যেতনা। এদিকে গত কয়েক মাস আগে পেকুয়া থানা পুলিশ নুরুল আলমকে তার বাড়ি থেকে ইয়াবাসহ গ্রেফতার করে। কয়েক মাস জেল হাজতে ছিলেন। কারাগার থেকে বের হয়ে তিনি ইয়াবা ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। দিন দিন তার এ ব্যবসা প্রসার ঘটে। অল্প সময়ে তিনি হয়ে যান উপকুলের ইয়াবা স¤্রাট। ওইদিন রাতে ইয়াবা চালানের গোপন সংবাদে পুলিশ তার বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় নুরুল আলম হাতে নাতে পুলিশ কাছে ধরা পড়ে। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বিপুল ইয়াবা নিয়ে তার স্ত্রী শাহনাজ পারভিন বাড়ির দক্ষিন দিকের দরজা দিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছেন। এএসআই নাছির উদ্দিন জানায় এ ব্যাপারে থানায় নুরুল আলমকে প্রধান আসামি করে তিনজনের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদি হয়ে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। আজ সোমবার (গতকাল) তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে। অপর আসামিরা হলেন মগনামা ইউনিয়নের নাপিতারপাড়া এলাকার বিমল (৩০) ও ফতেয়ালীমার পাড়ার মোজাম্মেল হকের ছেলে মো.ফারুক (২৩)। পুলিশ জানায় তারা তিনজন ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত। ধৃত নুরুল আলম ফারুক ও বিমলের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন।

পাঠকের মতামত: