ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

পর্যটক খরায় সৈকত নগরী কক্সবাজার

নিজস্ব প্রতিবেদক :: সৈকত নগরী কক্সবাজারে পর্যটক খরা কাঠেনি এখনো। তবে ঈদের প্রথম দিন ফাঁকা গেলেও দ্বিতীয় দিনে সমুদ্র সৈকতে দেখা মিলেছে দর্শনার্থীর। কিন্তু তাদের অধিকাংশই স্থানীয়। তার পরেও দর্শনার্থীদের পদভারে সৈকতের লাবণী ও সুগন্ধা পয়েন্টে অনেকটা ভিড় দেখা গেছে।
সোমবার ও মঙ্গলবার বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এমন চিত্র দেখা গেছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে।

কক্সবাজার সৈকতে দায়িত্বরত বিচকর্মীদের দলনেতা মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন, ঈদুল আজহার প্রথম দিনে সৈকতে হাতে গোনা কিছু দর্শনার্থী এসেছিলো। কিন্তু আজ সোমবার দ্বিতীয় দিনে আগের চিত্রের বিপরীত দেখা গেছে। এদিন সৈকতে বিচরণ ঘটেছে বহু দর্শনার্থীর। তবে অন্তত ৮০ শতাংশ স্থানীয় লোকজন।

তিনি জানান, স্থানীয়রা পরিবার, বন্ধু-বান্ধব বা অন্যান্যরা দলবেঁধে সৈকতে ঘুরতে নামে। অন্যদিকে কিছু পর্যটকের দেখা মিললেও তা আশানুরূপ নয়। আগত দর্শনার্থীরা লাবণী পয়েন্ট, সুগন্ধ পয়েন্ট, কলাতলী পয়েন্টে ঘোরাফেরা করেছেন। অনেকে সাগরে নেমে গোসল করে, ঘোড়ায় চড়ে আনন্দ উদযাপন করেছেন।

এই কারণে সৈকত এলাকা চটপতি, ঝালমুড়ি, নিম্ন ও মাঝারি মানের অন্যান্য খাবারের দোকানগুলো অনেকটা সরব হয়ে ওঠেছে। এছাড়াও ঝিনুক মার্কেট, শুটকি মার্কেট ও পর্যটক কেন্দ্রিক অন্যান্য দোকানপাটগুলোতেও ক্রেতাদের কিছুটা বিচরণ দেখা গেছে। এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হালকা-পাতলা বেচাবিক্রি চলছে।

অন্যদিকে হোটেল-মোটেল মালিকরা জানিয়েছেন, যারা অগ্রিম হোটেল বুকিং দিয়েছিলেন সেসব পর্যটকেরা প্রায় এসেছেন। এছাড়া তাৎক্ষণিক বুকিংয়ে আজ হোটেলে কিছু পর্যটক ওঠেছেন।

হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম বলেন, অগ্রিম হোটেল বুকিং ছিলো ২০ থেকে ৩০ শতাংশের কাছাকাছি। বাকিগুলো পড়ে আছে। অনেক হোটেলে ৩০% থেকে ৫০% পর্যন্ত ছাড়ের ঘোষণা দিয়েও সাড়া পায়নি।

কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল করিম বলেন, পর্যটক সব রকমের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে টহল জোরদার করা হয়েছে। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ দলও মোতায়েন রয়েছে।

পাঠকের মতামত: