ঢাকা,রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

পর্যটকের পদচারণায় চাঙা ব্যবসা-বাণিজ্য

কক্সবাজার প্রতিনিধি :: আবারও বিপুল পর্যটকের উপস্থিতিতে মুখর হয়ে উঠেছে কক্সবাজার। হোটেল-মোটেল-গেস্টহাউসগুলোতে ফিরেছে প্রাণচাঞ্চল্য। চাঙা হয়ে উঠেছে সৈকত কেন্দ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্য, রেস্তোঁরা, পরিবহন খাত, বার্মিজ পণ্যের দোকান, শুঁটকি ব্যবসা সহ সামগ্রিক পর্যটন খাত।

গতকাল রোববার দিনভর সৈকতের সবগুলো পয়েন্টে দেখা গেছে হাজারো মানুষের কোলাহল। প্রকৃতির অনিন্দ্য সুন্দর পরিবেশে স্বাচ্ছন্দ্যে ঘোরাফেরা করতে পেরে দারুণ খুশি পর্যটকরা।

চট্টগ্রাম থেকে বেড়াতে আসা পর্যটক রাজীব দাশ বলেন, ‘সমুদ্র স্নান, সৈকতের বালুতে ছুটাছুটি, সূর্যাস্ত অবলোকনসহ কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ভ্রমণের অনন্দটাই আমার কাছে স্বপ্নের মতো। তাইতো ছুটি পেলেই সাগর জলে শরীর-মন ভেজাতে ছুটে আসি কক্সবাজারে। এবার স্ত্রী-সন্তানের সাথে একমাত্র শ্যালিকাও এসেছে। সামনে তাঁর বিয়ে। তাই সাথে করে নিয়ে আসা।’

বিপুল পর্যটকের আনাগোনায় চাঙা কক্সবাজারের সামগ্রিক পর্যটন খাত। জমে উঠেছে হোটেল-রেস্তোঁরা, পরিবহন খাত, বার্মিজ পণ্যের দোকান, শুঁটকির দোকানসহ সৈকত কেন্দ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্য।

সৈকতের ফটোগ্রাফার দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘রোজার ঈদের পর প্রায় দুই মাস পর্যটকের খুব একটা দেখা মেলেনি। ওই সময়টা একপ্রকার বেকার ছিলাম। দিন কেটেছে চরম অর্থকষ্টে। গত দুইদিন ধরে আবারো পর্যটক আগমন শুরু হওয়ায় আমরা ভালোই আয় করতে পারছি। আজ একদিনেই আয় হয়েছে ৩ হাজার টাকা।’

সুগন্ধা পয়েন্টের শুঁটকি বিক্রেতা মো: আলম বলেন, ‘অন্যান্য বছর কোরবানির ঈদের পরের অন্তত দশ দিন প্রতিদিন ১ লাখ টাকার মতো শুঁটকি বিক্রি হতো। এবার প্রথম দুই দিন পর্যটকই আসেনি কক্সবাজার। তবে গতকাল থেকে মোটামুটি ভালোই বেচাকেনা হচ্ছে। আজকের দিনে বিক্রি হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার টাকার শুঁটকি। এরকম পর্যটক থাকলে ভালোই বেচাকেনা হয়।’

বৃহত্তর বীচ ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ আবদুর রহমান বলেন, ‘গত প্রায় দুই মাস ধরে কক্সবাজার সৈকতজুড়ে ছিলোনা খুব বেশি পর্যটকের আনাগোনা। পাঁচ শতাধিক হোটেলমোটেল ও গেস্টহাউস ছিলো প্রায় ফাঁকা। এতে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ছোট-বড় সব ব্যবসায়ীরা অর্থ কষ্টে পড়লেও কোরবানির ঈদের পর পর্যটকের সমাগম বাড়ায় খুশি ব্যবসায়ীরা। বর্তমানে হোটেল-মোটেলগুলোর ৭০-৮০ শতাংশ কক্ষ ভাড়া হয়ে গেছে। এতে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে হোটেল-মোটেল গেস্টহাউসগুলোতে। আমরা চাই সারাবছর পর্যটকে মুখর থাকুক কক্সবাজার। ‘

কক্সবাাজারের পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেলে প্রতিদিন পযটকের ধারণ ক্ষমতা এক লাখের বেশি। ব্যবসায়ীদের আশা, গত দুই দিনের মত পর্যটক আগমনের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে আগামী এক সপ্তাহে পর্যটন খাতে বাণিজ্য হবে কয়েকশো কোটি টাকার।

পাঠকের মতামত: