ঢাকা,শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

পরমাণু চুক্তি থেকে সরে আসার ঘোষণা ইরানের

নিউজ ডেস্ক :: ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত পরমাণু চুক্তি থেকে সরে আসার ঘোষণা দিয়েছে ইরান। দেশটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে- ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তির মাধ্যমে তাদের ওপর যেসব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল, তা আর মানা হবে না। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পরমাণু উপকরণ সমৃদ্ধকরণ ও গবেষণার কাজে আর কোনও সীমাবদ্ধতা রাখবে না ইরান। স্থানীয় সময় রবিবার (৫ জানুয়ারি) রাজধানী তেহরানে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার এক বৈঠকের পর রাতে এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

পরমাণু কেন্দ্র পরিদর্শন করছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি (ফাইল ছবি)

রবিবার (৫ জানুয়ারি) রাত ৩টার দিকে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এর প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। বলা হয়, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের সীমাবদ্ধতা আর না মানার ঘোষণা দিয়েছে ইরান। তবে দেশটির পক্ষ থেকে পারমাণু বিষয়ক আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার কথাও বলা হয়েছে।

এর আগে- ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, রাশিয়া, জার্মানি ও ফ্রান্সের কাছে ইউরেনিয়াম প্রকল্প সীমিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল ইরান। যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সেই চুক্তি না মানার ব্যাপারেও একাধিকবার অভিযোগ তুলেছে দেশটি।
এদিকে সম্প্রতি ইরাকের রাজধানী বাগদাদে মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানি কমান্ডার কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। রবিবার সন্ধ্যায় ইরাকের মার্কিন দূতাবাস এলাকায় চারটি রকেট হামলার ঘটনাও ঘটেছে। যদিও কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেছে কর্তৃপক্ষ।

ইরানি কমান্ডারকে হত্যার পরিপ্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে ইরাক থেকে মার্কিন বাহিনীর প্রত্যাহার চেয়ে ইরাকের পার্লামেন্টে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। এ ব্যাপারে ইরাকের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদুল মাহদী বলেন, অভ্যন্তরীণ ও বাইরের নানা প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও নৈতিকতা ও বাস্তবতার দিক থেকে মার্কিন বাহিনীকে প্রত্যাহার করাই হবে ইরাকের জন্য সেরা সিদ্ধান্ত।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি ভোরে বাগদাদ বিমানবন্দর এলাকায় ড্রোন হামলা চালিয়ে ইরানের কুদস ফোর্সের প্রধান কাসেম সোলাইমানিসহ তার ১০ সহযোগীকে হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্র। হামলার পর শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ইরাকজুড়ে ব্যাপক মার্কিনবিরোধী মনোভাব তৈরি হয়।

পাঠকের মতামত: