ঢাকা,সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

পটিয়ার কৃতিসন্তান খোরশেদ আলম খাঁন নোয়াখালীর নতুন জেলা প্রশাসক

সরকারের ‘ই-নথি সিস্টেম’ ডেভেলপমেন্টের কারিগর

ছোটন কান্তি নাথ, চকরিয়া ঃ

বর্তমান সময়ে বহুল ব্যবহৃত ‘ই-নথি সিস্টেম’ ডেভেলপমেন্ট এর অন্যতম কারিগর সারাদেশে প্রায় চার হাজার সরকারি দপ্তরের ই-নথির সফল বাস্তবায়নকারী সরকারের উপসচিব চট্টগ্রামের পটিয়ার কৃতি সন্তান খোরশেদ আলম খাঁন নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক হিসেবে পদায়ন হয়েছেন।

তিনি প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রামের উপসচিব ও ডোমেন স্পেশালিস্ট হিসেবেও কাজ করেন। মূলত তাঁর সুদক্ষ নেতৃত্বেই বহুল ব্যবহৃত ‘ই-নথি সিস্টেম’ ডেভেলপমেন্ট হয় এবং পরবতীতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সহযোগীতায় তার টিম দেশের সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অধিদপ্তরসহ সর্বমোট প্রায় চার হাজার সরকারি দপ্তরে ই-নথির সফল বাস্তবায়ন করেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের সেই অগ্রসৈনিক খোরশেদ আলম খান এবার দায়িত্ব পেয়েছেন নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক হিসেবে।

এ ব্যাপারে নতুন পদায়নকৃত নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক খোরশেদ আলম খান বলেন, ‘সবেমাত্র মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে পদায়নের বিষয়ে সরকারি আদেশ জারি হয়েছে। একইসাথে বিভাগের নির্দেশনা মোতাবেক শীঘ্রই নোয়াখালীতে যোগদান করবো।’

একনজরে খোরশেদ আলম খাঁন ঃ ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী এই কর্মকর্তা দক্ষিণ চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী আবদুস সোবহান রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৮৮ সালে এসএসসি, পটিয়া সরকারী কলেজ থেকে ১৯৯০ সালে এইচএসসি এবং দেশের অন্যতম সেরা বিদ্যাপীঠ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিদ্যা বিভাগ থেকে কৃতিত্বের সাথে বিএসসি ও এমএসসি ডিগ্রী অর্জন করেন। পরবর্তীতে ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অফ বেডফোর্ডশায়্যার থেকে ইনফরমেশন সিস্টেম এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রী নেওয়া খোরশেদ আলম খাঁন ২২তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের একজন গর্বিত সদস্য হন। তিনি সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে ২০০৩ সালে যশোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যোগদান করেন। এরপর পর্যায়ক্রমে কক্সবাজার জেলা সদর, রাঙ্গামাটির লংগদু, কুমিল্লার হোমনা এবং কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় একই পদে তিনি সুনামের সাথে দায়িত্বপালন করেন। পরবর্তীতে চাকরি জীবনে তিনি কুমিল্লার বুড়িচং এবং সদর দক্ষিণ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে অত্যন্ত দক্ষতা ও নিষ্টার সাথে দায়িত্বপালন করেন। যা এখনো তাঁর পুরোনো কর্মস্থলের সচেতন মানুষ মনে রেখেছেন।

ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানের অগ্রসৈনিক খোরশেদ আলম খাঁন দীর্ঘ প্রায় সাড়ে তিন বছর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রামের উপসচিব ও ডোমেন স্পেশালিস্ট হিসেবে কাজ করেছেন। মূলত তার সুদক্ষ নেতৃত্বেই বর্তমান সময়ের বহুল ব্যবহৃত ‘ই-নথি সিস্টেম’ ডেভেলপমেন্ট হয় এবং পরবর্তীতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সহযোগীতায় তার টিম দেশের সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অধিদপ্তর সহ সর্বমোট প্রায় চার হাজার সরকারী দপ্তরে ই-নথির সফল বাস্তবায়ন করে।

সর্বশেষ তিনি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার এর একান্ত সচিব হিসেবে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি ও টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার ডিজিটালাইজেশনে সরাসরি জড়িত ছিলেন। কর্মজীবনের সকল সেক্টরে সততা এবং সফলতার সাথে দায়িত্বপালন করা খোরশেদ আলম খাঁনের এই পদোন্নতিতে তার নিজ উপজেলা চট্টগ্রামের পটিয়া এবং নিজ গ্রাম কুসুমপুরা ইউনিয়নের মনসা গ্রামের সাধারণ মানুষ বেশ খুশি। একইসাথে তাঁর পুরোনো কর্মস্থলের সাধারণ মানুষও একজন পরীক্ষিত ডিজিটাল কর্মকর্তাকে নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক হিসেবে দেখতে পেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন। ##

পাঠকের মতামত: