ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে ঈদগাঁওর উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি পরিত্যাক্ত !

এম আবু হেনা সাগর, ঈদগাঁও ::  কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁওর উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে পরিত্যাক্ত। চরম বিপাকে পড়েছে গ্রামগঞ্জ থেকে আসা রোগীরা।

হাসপাতাল এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ঈদগাঁও বাজারস্থ জালালাবাদ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রের পাশ্ববর্তী ঈদগাঁওর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভবনটি বর্তমানে পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ভবনের ভেতরে পঁচা পানিতে ভরপুর। যেন ভূতুুড়ে পরিবেশ। সংস্কার ও নেই।

তথ্য মতে, জালালাবাদ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রে ঈদগাঁও উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের একজন মেডিকেল অফিসার,একজন উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার ও একজন অফিস সহায়ক রয়েছেন। ফামাসিষ্ট পদ শূন্য। জালালাবাদ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার সদরে প্রেষণে আছে। রয়েছেন একজন উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার এবং একজন পরিবার কল্যান পরিদর্শিকা। তবে অফিস সহায়ক ও ফার্মাসিষ্ট পদ শূন্য বলে জানা গেছে।

দীর্ঘবছর ধরে ঈদগাঁওর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রেটি পরিত্যক্ত থাকার ফলে ঐ কেন্দ্রের কর্মকতা-কর্মচারীরা পাশ্ববর্তী জালালাবাদ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। এই কেন্দ্র বৃহত্তর ঈদগাঁও ছাড়াও খুটাখালী,ঈদগড়,চৌফলদন্ডী ও ভারুয়াখালী থেকে আগত রোগীদের কারনে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চাপ থাকে। ফলে এত বিপুল সংখ্যক রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকি ৎসকরা।

সুজন, থানা শাখার মহিলা সম্পাদিকা রেহেনা আক্তার কাজল জানান, ঈদগাঁও উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র পরিত্যাক্ত থাকায় ইউনিয়নের স্বাস্থ্য সেবা প্রত্যাশিদের বাধ্য হয়ে অপরাপর ক্লিনিক বা হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা সেবা নিতে হয়। এতে তাদের মূল্যবান সময়,অর্থের অপচয় হচ্ছে। যা কোনভাবে মেনে নেওয়া যায়না। তিনি একটি হাসপাতাল প্রতিষ্টার দাবী জানান।

কেমিষ্ট এন্ড ডাগিষ্ট সমিতি,ঈদগাঁও শাখার সহ সাধারন সম্পাদক জিল্লুল এহেচান বুলু জানান, এ পরিত্যাক্ত উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি দীর্ঘ বছর ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। সরকারী সম্পদ পানিতে নষ্ট হচ্ছে। পুরাতন কেন্দ্রটি ভেঙ্গে নতুন হাসপাতাল নির্মানের জোর দাবী।

সেচ্ছাসেবী সংগঠক ইমরান তৌহিদ জানান, অবিলম্বে ঈদগাঁওতে ২০ শষ্যা হাসপাতাল নির্মান করে বিভিন্ন গ্রামাঞ্জল থেকে আসা
রোগীদের সেবা নিশ্চিত করার দাবী।

জালালাবাদ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রে উপসহকারী মেডিকেল অফিসার আবুল বশর জানান,এত বিপুল জনগোষ্টির কথা বিবেচনা করে ঈদগাঁওতে ২০ শষ্যা বিশিষ্ট একটি হাসপাতাল অতীব জরুরী।

পাঠকের মতামত: