ঢাকা,রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

টেকনাফ স্থলবন্দরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক রাজস্ব আদায়

tekna stolbondorনিজস্ব প্রতিবেদক, টেকনাফ :::

কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে গত জানুয়ারি মাসে ১৭ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে। মাসিক টার্গেটের চেয়ে ৭ কোটি ৮ লাখ টাকা বেশি রাজস্ব আয় হয় বলে জানায় বন্দর সংশ্লিষ্টরা।

 শুল্ক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের জানুয়ারি মাসে ৩৫২টি বিল অব এন্ট্রির মাধ্যমে ১৭ কোটি ৭ লাখ ৬৮ হাজার ৬১৮ টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে। ফলে মিয়ানমার থেকে ৪৮ কোটি ১৩ লাখ ৪ হাজার ১৪৫ টাকার পন্য আমদানি করা হয়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্তৃক এ মাসে ৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি টাকার রাজস্ব আদায় করা সম্ভব হয়েছে।

অপরদিকে ৬৩ টি বিল অব এক্সর্পোটের মাধ্যমে মিয়ানমারে ২ কোটি ৫৭ লাখ ৭৫ হাজার ৩৯ টাকার পন্য রপ্তানি করা হয়েছে। এছাড়া শাহপরীরদ্বীপ করিডোরে ৫০৪৮টি গরু, ২৪৮টি মহিষ আমদানী করে ২৬ লাখ ৪৮ হাজার  টাকা রাজস্ব আদায় হয় বলে জানায়।
টেকনাফ স্থলবন্দর শুল্ক কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল মন্নান জানান, গেল জানুয়ারী মাসে মিয়ানমার থেকে পণ্য আমদানী বেশি হওয়ায় মাসিক লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় তিন গুন বেশি রাজস্ব আদায় করা সম্ভব হয়েছে। তবে মিয়ানমারে দেশীয় পন্য রপ্তানীও স্বাভাবিক রয়েছে। সীমান্ত বানিজ্য ব্যবসাকে আরও গতিশীল করতে ব্যবসায়ীদের আমদানী-রপ্তানী বৃদ্ধিতে সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

উল্লেখ্য যে, ২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর মিয়ানমার আরকান রাজ্যের মংডুর সীমান্তরক্ষী বিজিপির কয়েকটি ক্যাম্পে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। ওই সময় স্থলবন্দরে মিয়ানমার পন্য আমদানি-রপ্তানি কিছু দিন বন্ধ ছিল। তবে স্থল বন্দরের ব্যবসায়ীরা জানায়, মিয়ানমার সহিংসতার পর স্থল বন্দরে পন্য আমদানি-রপ্তানী এখন অনেকটা স্বাভাবিক রয়েছে।
তবে মিয়ানমার থেকে পন্য আমদানী রপ্তানী স্বাভাবিক থাকলেও দুদেশের যাতায়ত মাধ্যম টেকনাফ-মংডু বর্ডার ও ট্রানজিট পাস এখনো বন্ধ রয়েছে। যার ফলে সীমান্ত বানিজ্য ব্যবসায়ীরা মিয়ানমার যেতে পারছেনা। তবে মিয়ানমার যাতায়ত যদি চালু থাকত বানিজ্য ব্যবসা আরো গতি ফিরে আসত বলে জানায় সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে মিয়ানমারে ঘটনার কয়েক মাস পার হলেও মংডু থেকে পন্যবাহী কোন ট্রলার বন্দরে আসেনি। মংডু থেকে সহজে পন্য আমদানি করতে না পেরে ইয়াঙ্গুন ও আকিয়াব হয়ে পন্য আমদানী-রপ্তানি করতে হয়েছে। ফলে ব্যবসায়ীদের সময় ও ব্যয় বৃদ্ধির পাশাপাশি নানা জােিমলা পৌহাতে হয়েছে। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হয় দু’দেশের ব্যবসায়ীরা। ইতি মধ্যে মংডু এলাকা থেকে কিছু কিছু পন্য আমদানী-রপ্তানী মূরু হয়েছে। এর ফলে বানিজ্য ব্যবসায় কিছুটা প্রাণচাঞ্চলতা ফিরে আসছে।
সীমান্ত বাণিজ্য ব্যবসায় আরও গতিশীলতা ফিরে আনতে দুদেশের নানা সমস্যা গুলো চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার দাবী করছেন বন্দর সংশ্লিষ্টরা।

পাঠকের মতামত: