গতকাল ১১ ফেব্রুয়ারী ছিল কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনের তৃণমূল নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রতিনিধি সভা। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থি’তিতে হাজার হাজার আওয়ামী লীগ দলীয় নেতাদের উপস্থিতিতে কক্সবাজার বীরশ্রেষ্ট্র রহুল আমিন স্টেডিয়ামে সফলভাবে শেষও হয়েছে প্রতিনিধি সভা। কিন্তু ব্যতিক্রম ছিল শুধু মাত্র পেকুয়া আওয়ামীলীগে। কার্ড বিতরণ করা হয়েছে বিএনপির নেতাদের মাঝে। গলায় কার্ড ঝুলিয়ে প্রতিনিধি সভায় এক বিএনপি নেতা উপস্থিত হয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এ রকম একটি ছবি ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির মাঝে দেখা দিয়েছে চরম হতাশা। অথচ দীর্ঘদিনের অনেক পরিক্ষিত নেতাকর্মী প্রতিনিধি সভার কার্ড না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল।
জানা গেছে, প্রতিনিধি সভায় যোগদানের জন্য পেকুয়া উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে ইউনিয়ন আ.লীগ কমিটির জন্য ৬৫ আর ওয়ার্ড সভাপতি/সম্পাদকের জন্য ১৮টি কার্ড বিতরণ করা হয়। ইউনিয়ন ওয়ারী কোন সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীকে সে সময় কার্ড দেওয়া হয়নি। এরই ধারাবাহিকতায় রাজাখালী ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম আজাদকে ৫৫টি কার্ড বুঝিয়ে দেন উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম। নির্দেশ দেওয়া হয় ইউনিয়ন কমিটিভুক্ত নেতা ছাড়া যেন আর কেউ কার্ড না পায়। অথচ মূল্যবান এ কার্ডটি পেলেন রাজাখালী ইউনিয়ন বিএনপির প্রভাবশালী নেতা ও বিএনপির প্যানেল থেকে নির্বাচিত এমইউপি আজম উদ্দিন আজু। কার্ডটি পেয়ে মহাখুশিতে বিশাল প্রতিনিধি সভায় গলায় কার্ড ঝুলিয়ে সামনের সারিতে উপস্থিত ছিলেন এ বিএনপি নেতা। তার পার্শ্বে বসা ছিলেন টইটং ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী, রাজাখালী ইউপির চেয়ারম্যান ছৈয়দনুর ও চকরিয়ার সুরাজপুর মানিকপুর ইউপি চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন।
রাজাখালী ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আজম উদ্দিন আজু কিভাবে এ কার্ডটি পেয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কই আমিতো প্রতিনিধি সভায় যাইনি। কার্ড পাওয়ার প্রশ্নই আসেনা। এ ছবি কোথায় আসছে প্রশ্ন করলে তিনি সর্বশেষ জানান কক্সবাজার এক বন্ধুর কাজ থেকে নিয়েছি। তার নাম কি জানতে চাইলে তিনি জানাতে অপরাগত প্রকাশ করেন।
রাজাখালী ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম আজাদ জানান, আজু প্রভাবশালী বিএনপি নেতা। তাকে কেন আমি কার্ড দিব। হয়তোবা উপজেলা কমিটি তাকে কার্ড দিয়েছে। তার পার্শ্বে বসা টইটং ইউনিয়ন আ.লীগ সম্পাদক জাহেদুল ইসলাম জানান, আমি জানি সে বিএনপি নেতা। কিভাবে প্রতিনিধি কার্ড পেয়েছে তা আমার জানা নাই। সিট খালি থাকায় আমি তার পার্শ্বে বসেছি মাত্র।
পেকুয়া উপজেলা আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম জানান, বিএনপির প্রভাবশালী নেতা আজম উদ্দিন আজু মেম্বার। সে কিভাবে কার্ড পায় তা আমি বোধগম্য নই। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাঠকের মতামত: