ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

জেলায় জমে উঠেছে নৌকা-ধানের শীষের লড়াই

110-300x141কক্সবাজার প্রতিনিধি :::

জেলায় নৌকা ও ধানের শীষের লড়াই জমে উঠেছে। আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা এতদিন নির্বাচনী প্রচারণায় এগিয়ে থাকলেও বিএনপি সম্ভাবনাময় প্রার্থীদের পক্ষে জোর তৎপরতা শুরু করেছে। সম্প্রতি নির্বাচন কার্যক্রম শুরু হওয়ায় ২৬ টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও দুইটি পৌরসভার মেয়র পদের সবকটিতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের বিজয়ী করতে আওয়ামী লীগ মরিয়া হয়ে প্রচারণা চালালেও বিএনপি অন্তত একটি মেয়র ও ১৭টি চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রার্থীদের বিজয়ী করতে জোর তৎপরতা শুরু করেছে।
জেলায় জমে উঠেছে নৌকা ও ধানের শীষের লড়াই। যে যার যার মত করে প্রচারণা চালাচ্ছেন। পেকুয়া উপজেলার সাখাওয়াত হোসেন জানান, বিএনপি পেকুয়া উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ৬টিতে শক্তিশালী প্রার্থী দিয়েছে। তারা যেভাবেই হউক অন্তত ৬টি চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হতে চায় দলটি। আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরাও শক্তিশালী। ৭টি ইউনিয়নের জোর প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
কুতুবদিয়া উপজেলার আরিফুল ইসলাম জানান ৬টি ইউনিয়নেই বিএনপি শক্তভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সমর্থিত কোন প্রার্থী বিজয়ী হয়নি এমন ইউনিয়ন রয়েছে। আওয়ামী লীগ এবার প্রতিটি ইউনিয়নে বিজয় ছিনিয়ে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে। বড়ঘোপ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী দিয়েছে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ফরিদুল ইসলাম চৌধুরীকে। এ ছাড়াও অন্য ৫ ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ শক্তিশালী প্রার্থীদের মনোনয়ন দিয়েছে। সরকারের সাফল্য ও সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক’র উন্নয়ন কর্মকান্ডের উপর ভর করে বিজয়ী হতে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন প্রার্থীরা। ৫টি ইউনিয়নেই বিএনপি’র প্রার্থীদের সাথে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের। একটি ইউনিয়নে জামায়াত প্রার্থীর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর।
মহেশখালীতে ৭টি ইউনিয়নের ৪টি ইউনিয়নে বিজয়ী হতে জোর প্রচারণা চালাচ্ছে বিএনপি। তাদের প্রধান টার্গেট আওয়ামী লীগের ভোট হিসাবে খ্যাত কালারমারছাড়া, হোয়ানক ও মাতারবাড়ি ইউনিয়ন। এ ছাড়াও ছোট মহেশখালী ইউনিয়নও বিএনপির নজরে রয়েছে। উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের অন্তত ৫টি ইউনিয়নে বিজয়ী হতে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে বিএনপি। ধলঘাটা ও বড়মহেশখালী ইউনিয়নে বিএনপি প্রার্থীর তেমন কোন তৎপরতা নেই। বড়মহেশখালীতে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সাথে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। ধলঘাটা ইউনিয়নেও বিএনপির তেমন কোন তৎপরতা না থাকায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সাথে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী।
টেকনাফ উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের সবকটিতে বিজয়ী হতে মরিয়া হয়ে কাজ করছে বিএনপি ও জামায়াত। দলীয়ভাবে জামায়াত কোন প্রার্থী না দিলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যেভাবেই হউক অন্ততঃ একটি চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হতে তৎপর জামায়াত।
চকরিয়া পৌরসভার বিজয়ী হতে জোর প্রচারণায় চালাচ্ছে বিএনপি। সম্প্রতি আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর জন্য সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী এগিয়ে আছেন।
জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী জানান, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিএনপি অধিকাংশ ইউপিতে জয়লাভ করবে। নির্বাচনী প্রচারণার জন্য দলের শীর্ষনেতাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মহেশখালীতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডঃ শামীম আরা স্বপ্নাকে। কুতুবদিয়া ও পেকুয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এটিএম নুরুল বশর চৌধুরীকে। টেকনাফের দায়িত্ব পালন করছি আমি নিজে। সকল প্রার্থীর জন্য নির্বাচনী প্রচারণা আরো জোরদার করা হবে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের জন্য জোরদার প্রচারণা চলছে। সরকারের ব্যাপক সফলতা ও উন্নয়ন দলের প্রার্থীদের বিজয়ী হতে সহায়তা করবে। নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের জন্য ইতোমধ্যে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে দাবী করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস আছে। তাই সাধারণ ভোটাররা আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের ভোট দিয়ে বিজয়ী করবে।

পাঠকের মতামত: