সেলিম উদ্দীন,ঈদগাঁও ::
অভিজাত নেশাদ্রব্য হিসেবে পরিচিত ইয়াবার ব্যবহার কক্সবাজার সদরের পোকখালীর গোমাতলীতে আশংকাজনক হারে বেড়ে চলেছে। মাদক বিক্রেতাদের নাম পরিচয় সবার কাছে ওপেন সিক্রেট হলেও প্রভাবশালীদের ছত্র-ছায়ায় তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে স্থানীয় পাতি নেতাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ও রয়েছে। এতে শুধু অভিভাবকরাই নয় বরং স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার সদস্যদের মাঝেও উদ্বেগ-উৎকন্ঠা ও অস্বস্থি বিরাজ করছে।
কক্সবাজার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর, পুলিশ সহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, পোকখালী ইউনিয়নের বৃহত্তর গোমাতলীতে অন্তত ৮ টি স্পটে প্রতিদিন ইয়াবা কেনাবেচা হচ্ছে। তৎমধ্যে ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের পূর্ব গোমাতলী বার্মাইয়া পাড়া, বাংলা বাজার (বিলুপ্ত) স্লুইচ গেইট, ৮ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম গোমাতলী বাজার, ছিদ্দিক বাপের পাড়া, দক্ষিন পাড়া, ৭নং ওয়ার্ডের গাইট্যাখালী, রাজঘাটসহ উল্লেখিত স্থানসমূহের আশ-পাশের এলাকায় সহজেই ইয়াবা মিলছে।
এছাড়াও এসব গ্রামের চা-দোকানে পৌঁছে গেছে মরণ নেশা ইয়াবা।
এলাকাবাসির দেয়া তথ্য মতে, যেসব স্থানে মাদক দ্রব্য কেনাবেচা হয় সেখানে এখন ইয়াবাও পাওয়া যাচ্ছে। তারা উর্ধ্বতন পুলিশকে ইতিমধ্যে ৩ ওয়ার্ডের বেশ ক’জন পাইকারী ইয়াবা ব্যবসায়ীর তালিকা জমা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিদের দেয়া তথ্য মতে, গোমাতলীতে গত এক বছরে ইয়াবার বিস্তার ঘটেছে আশংকাজনকহারে। অস্ত্র উদ্ধারে র্যাবের কিছু সাফল্য থাকলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ইয়াবা উদ্ধারে উল্লেখযোগ্য সফলতা দেখাতে পারছে না।
ইয়াবা ব্যবসায়ীদের অনেকেই স্থানীয় পাতি নেতাদের ছত্রছায়ায় প্রশাসনের নাগালের বাইরে থেকে যাচ্ছে।
তবে পুলিশের একাধিক কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জানা গেছে, তাদের অসহায়ত্বের নানা চিত্র। এর মধ্যে পাতি নেতাদের হস্তক্ষেপকে প্রধান কারণ বলে তারা দাবী করেন।
এছাড়া আকারে ছোট ও বহন সহজসাধ্য এবং উপকূলীয় এলাকা হওয়ায় পুলিশ বিভিন্ন সময় চেষ্টা করেও তাদের আটক করতে পারেনা বলে জানান।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ইয়াবা ব্যবসায়ীরা মোবাইল ফোনে নির্দেশনার মাধ্যমে নির্দিষ্ট জায়গায় সেবীদের কাছে চাহিদা অনুযায়ী পৌঁছে দেয়।
এক্ষেত্রে গ্রাম এলাকায় তাদের নির্ধারিত কিছু উচ্ছৃখল যুবকও রয়েছে।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, গোমাতলী সন্ত্রাসী অধ্যুষিত, অন্যদিকে উপকূলীয় এলাকা হওয়ায় যোগাযোগ অসুবিধা রয়েছে। এ সুযোগ নিয়ে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা অল্পদিনে বিশাল বাজার গড়ে তুলেছে।
গ্রামের বেশির ভাগ চা দোকানে ইয়াবা কেনাবেচা হয় বলে পুলিশের কাছে তথ্য রয়েছে।
কক্সবাজার থেকে চৌফলদন্ডি হয়ে বিভিন্ন যানবাহন যোগে গোমাতলীতে পৌছে যায় বহুল আলোচিত এ মাদক। ১শ থেকে ২শ টাকার মধ্যে মিলে প্রতি পিস ইয়াবা। এর মধ্যে সর্বাধিক দাম জিপি’র। এটি ৩শ থেকে ৪শ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। অপরদিকে শম্পা সুপার পাওয়া যায় ১শ থেকে ১শ ৫০ টাকার মধ্যে।
সূত্র আরও জানায়, ইয়াবা সহজলভ্য হওয়ায় হেরোইন ও ফেনসিডিল আসক্তরা এখন উচ্চমাত্রার উত্তেজক মাদকদ্রব্য ইয়াবার প্রতি ঝুঁকছে। সাধারণত ৪ থেকে ৫মি.মি. ব্যাস এবং আড়াই থেকে তিন মি.মি পুরো গোলাকৃতি ট্যাবলেট আকারে এটি তৈরী হয়। দেখতে অনেকটা ছোট আকারের ক্যান্ডির মতো। এর রঙ লালচে, কমলা কিংবা সবুজাভ। এটি আঙ্গুর, কমলা, ভ্যানিলা ইত্যাদি বিভিন্ন স্বাদ ও গন্ধের হয়ে থাকে। এ কারনে কিশোর ও তরুণদের শক্তিদায়ক ক্যান্ডি বলে বিভ্রান্ত করে মাদকাসক্তরা সহজেই ইয়াবা ধরিয়ে দেয়। এর ব্যবহারে ১০ থেকে ১২ ঘন্টা শারিরিক ও মানসিকভাবে এমন এক জগতে অবস্থান করে যেখানে বেদনা, ক্ষুধা, ক্লান্তি ও অবসাদ থাকে না তেমনি একধরনের অতি মানবিক শক্তি ভর করে।
এ কারনেই দিনদিন এর প্রতি আগ্রহ বাড়ছে।
এছাড়া বিক্রেতারাও অন্য মাদকের চেয়ে অধিক লাভের আশায় নিত্য নতুন কৌশলে তা ছড়িয়ে দিচ্ছে।
অভিযানে নানা অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে ঈদগাঁও পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, বহনকারীরা অর্থের লোভে ঝুঁকি নিতেও দ্বিধা করেনা। তারপরও তাদের গ্রেফতারে তৎপরতা অব্যহত রয়েছে।
প্রকাশ:
২০১৯-০৩-০৫ ১২:২৪:৫৬
আপডেট:২০১৯-০৩-০৫ ১২:২৪:৫৬
- চকরিয়ায় তিনদিনের কৃষি মেলায় কন্দাল ফসল উৎপাদনে কৃষকেরা উদ্ভুদ্ধ
- হারবাং ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে রোগীর ভোগান্তি
- পেকুয়ায় নিখোঁজ স্কুল শিক্ষকের সন্ধান মেলেনি
- চকরিয়ায় অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোরদার করতে হবে -জামায়াত
- পেকুয়ায় ট্রাক চাপায় মুদি দোকানী নিহত
- খুটাখালীতে সকড় সংস্কারের পূর্বেই ইটগুলো গায়েব নীরব
- তথ্য প্রকাশের মাধ্যমে গুজব প্রতিরোধ সম্ভব” –ইউএনও চকরিয়া
- চকরিয়ায় সেনা কর্মকর্তা হত্যা: মূল হোতা নাছির উদ্দিন ও সহযোগী ডাকাত এনাম গ্রেফতার
- এডভোকেট মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান এর ২৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ ক্রোড়পত্র
- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের সাথে চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ শিক্ষকদের মতবিনিময়
- নিপীড়িত গরীব দুঃখী মেহনতি মানুষের মুক্তির জন্য জামায়াত কর্মীদের বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে -আবদুল্লাহ আল ফারুক
- লেফটেন্যান্ট তানজিম হত্যার ৬ সন্ত্রাসীকে আটক করেন সেনাবাহিনী
- সেনা কর্মকর্তা তানজিম হত্যা ও ডাকাতি,খুন,গুমের প্রতিবাদে খুটাখালী বহলতলীবাসী
- ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত ওয়াসিমের পরিবারের সাথে সাক্ষাতে সালাউদ্দিন আহমদ
- ডুলাহাজারার সংরক্ষিত বনে ডাকাতের আস্তানা, সন্ধ্যার পর শুরু হয় লুটতরাজ
- এডভোকেট মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান এর ২৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ ক্রোড়পত্র
- নিপীড়িত গরীব দুঃখী মেহনতি মানুষের মুক্তির জন্য জামায়াত কর্মীদের বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে -আবদুল্লাহ আল ফারুক
- চকরিয়ায় সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট তানজিম সরোয়ার খুনের ঘটনায় দুইটি মামলা
- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের সাথে চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ শিক্ষকদের মতবিনিময়
- খুটাখালীতে সকড় সংস্কারের পূর্বেই ইটগুলো গায়েব নীরব
- চকরিয়ায় অবৈধ বালু সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে মানববন্ধন
- চকরিয়ায় অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোরদার করতে হবে -জামায়াত
পাঠকের মতামত: