কক্সবাজারের ৮ উপজেলা সাব রেজিস্ট্রি অফিসে কর্মরত নকল নবীশরা (এক্সট্রা মোহরার) মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করেছে। চাকুরি জাতীয়করণসহ ১২ মাসের বকেয়া পারিশ্রমিক পরিশোধের দাবিতে আন্দোলন করছে আইন মন্ত্রণালয়ের অধীন নিবন্ধন অধিদপ্তরের নকলনবিশেরা (এক্সট্রা মোহরার)। কেন্দ্রীয়ভাবে ঘোষিত কর্মসূচীর অংশ হিসেবে আজ রবিবার দুপুরে কক্সবাজার জেলা রেজিস্ট্রার অফিস প্রাঙ্গনে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ এক্সট্রা মোহরার এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও আন্দোলন-সংগ্রাম কমিটির জেলা শাখার আহবায়ক মিনার মু. সাইফুদ্দিনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কমিটির সদস্য সচিব মো. নাসির উদ্দিন, সিনিয়র এক্সট্রা মোহরার ররীন্দ্রনাথ দে, শ্রীদুল রঞ্জন দাশ প্রমূখ। মানববন্ধন কর্মসূচীতে বক্তারা এক্সট্রা মোহরারদের বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা, শিক্ষা সহায়ক ভাতা, যাতায়াত ভাতা, টিফিন ভাতা, মহার্ঘ ভাতা ও সরকারি যাবতীয় সুযোগ-সুবিধাসহ অবিলম্বে বকেয়া বেতন পরিশোধ ও সরকারি স্কেলভুক্তকরণেরও জোর দাবি জানান।
এদিকে স্কেলভুক্ত করাসহ ১২ মাসের পারিশ্রমিক পরিশোধের দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসুচির অংশ হিসেবে গত ১২ ও ১৩ এপ্রিল কালোব্যাজ ধারণ করেন দেশের সকল এক্সট্রা মোহরাররা। আগামী ১৮ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত অর্ধদিবস এবং ২৪ এপ্রিল থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত পূর্ণদিবস ‘কলম বিরতি’ পালন করবে তারা। এরপরও দাবি আদায় না হলে আগামী ২ মে ঢাকায় মহাসমাবেশের মাধ্যমে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও জানানো হয়। বাংলাদেশ এক্সট্রা মোহরার এসোসিয়েশন সুত্রে জানা গেছে, এক্সট্রা মোহরারদের স্থায়ী করার জন্য ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আইন প্রণয়ন করেন। ১৯৮৪ সালের ১৫ আগষ্টের একটি জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার স্বীকৃতিও দিয়েছিলেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত এক্সট্রা মোহরারদের সমস্যার সমাধান হয়নি।
তৎকালীন সরকার তাদের দাবী মেনে নিতে সম্মত হয় এবং ১৯৮৪ সালের ২০ সেপ্টেম্বর সরকারের সাথে এক্সট্রা মোহরার এসোসিয়েশনের সাথে দ্বি-পাক্ষিক চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়ায় পরবর্তীতে ১৯৯৭ সালে রেজিস্ট্রেশন বিভাগীয় কর্মচারী ও এক্সট্রা মোহরার এসোসিয়েশন যৌথভাবে দাবী পেশ করলে কর্তৃপক্ষ একটি কমিটি করে দেয়। উক্ত কমিটি এক্সট্রা মোহরারদের পে-স্কেলভুক্ত করার সুপারিশ করে। কিন্তু এই সুপারিশ এখনো পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি। ##
পাঠকের মতামত: