কক্সবাজার প্রতিনিধি :: ক্ষমতার অপব্যবহার করে জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে একজনের জমি অন্য জনকে মালিক সাজিয়ে আত্মসাতের চেষ্টার অভিযোগে চকরিয়া-পেকুয়া আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সাংসদ জাফর আলমের স্ত্রী শাহেদা বেগম ও সাব রেজিস্ট্রারসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারী (মামলা) দরখাস্ত দায়ের করা হয়েছে।
চট্টগ্রামের বাঁশখালীর ছনুয়া গ্রামের মৃত ফজলুর রহমান চৌধুরীর পুত্র কামরুল হাসান চৌধুরী প্রকাশ মোহাম্মদ হোসেন বাদী হয়ে গত ৯ সেপ্টেম্বর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে ওই দরখাস্ত দায়ের করেন।
গত ১০ সেপ্টেম্বর আদালতের বিচারক দরখাস্তটি আমলে নিয়ে ৩০ দিনের মধ্যে বিষয়টি তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
দরখাস্তে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে তারা হলেন, বাঁশখালী ছোট ছনুয়া ছুরতিয়া পাড়ার মৃত ফকির মোহাম্মদের পুত্র মোঃ হোসেন, চকরিয়া পৌরসভার পালাকাটা ইমাম উদ্দিন পাড়ার বাসিন্দা ও চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলমের স্ত্রী শাহেদা বেগম, পেকুয়া সদরের জালিয়াখালীর দিলশা মিয়ার পুত্র মেহের আলী, বাঁশখালী ছোট ছনুয়া ছুরতিয়া পাড়ার মৃত সোলতান আহামদের পুত্র মোহাম্মদ ওচমান, চকরিয়া সাহারবিল কোরালখালীর নুরুল আমিনের পুত্র আনোয়ারুল আজিম, চকরিয়া পৌরসভার কাহারিয়াঘোনার মৃত আবদুল হাকিমের পুত্র রশিদ আহামদ, কৈয়ায়বিলের মৃত মুবিনুল ইসলামের পুত্র মাসুদুল ইসলাম, চকরিয়ার সাব রেজিষ্ট্রার শামসুজ্জামান সরদার ও চকরিয়া বেতুয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল মনছুর।
নালিশী দরখাস্তের বাদী চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা কামরুল হাসান চৌধুরী প্রকাশ মোহাম্মদ হোসেন বলেন, চকরিয়া উপজেলার ঢেমুশিয়া ইউনিয়নে পৈত্রিকভাবে পাওয়া ৬ একর ৯ শতক জমি রয়েছে। ওইজমি বর্গা দিয়ে চাষবাস করে আসছিলেন। স¤প্রতি পৈত্রিকভাবে পাওয়া জমি জবর দখল নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন জাফর আলম এমপি’র সহধর্মীনী শাহেদা বেগম ও পেকুয়া সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা মেহের আলী।
তিনি আরও বলেন, গত ৯ আগষ্ট বাঁশখালী উপজেলার ছোট ছনুয়ার বাসিন্দা মো: হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে তার জমির ভূয়া মালিক বানিয়ে চকরিয়া সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে জমি রেজিষ্ট্রি সম্পাদন করেন। তাৎক্ষনিক জানতে পেরে চকরিয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও চকরিয়া সাব রেজিষ্ট্রার অফিসারকে জালিয়াত ও প্রতারণার মাধ্যমে জমি রেজিষ্ট্রির বিষয়টি অবহিত করি।
গত ৯ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞ সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত, কক্সবাজার-এ হাজির হয়ে দূর্নীতি, জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে ৯ জনের বিরুদ্ধে একটি ফৌজদারী দরখাস্ত দায়ের করেছি। আদালতের বিচারক দরখাস্তটি আমলে নিয়ে ৩০ দিনের মধ্যে বিষয়টি তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
পাঠকের মতামত: