ঢাকা,শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের জের

চকরিয়ায় হামলা চালিয়ে স্কুল শিক্ষার্থীকে গুলি ইউপি চেয়ারম্যানসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা 

কক্সবাজারের চকরিয়ায় বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে হামলা চালিয়ে গুলি করে ইয়াছিনুল হাকিম (১৬) নামের এক শিক্ষার্থীর শরীর ঝাঁঝরা করে দেওয়ার ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে  শুক্রবার রাতে চকরিয়া থানায় একটি মামলা হয়েছে।
আহত শিক্ষার্থীর বাবা শহিদুল করিম লিটন বাদি হয়ে চকরিয়া থানায় রুজু করা মামলায় উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নবী হোছাইন চৌধুরীসহ ১৩ জনের নামোল্লেখ করে আরও সাতজনকে অজ্ঞাতনামা দেখিয়ে  এজাহারে ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আহত শিক্ষার্থী ইয়াসিনুল হাকিম চকরিয়া গ্রামারস্কুলের দশম শ্রেণীতে অধ্যায়নরত। সে  সাহারবিল ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠিতা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল হাকিমের নাতি।
মামলার এজাহারে বাদি শহীদুল করিম লিটন বলেন , আমার স্কুলপড়ুয়া ছেলে ইয়াছিনুল হাকিম ইতোপূর্বে চকরিয়া উপজেলা সদরে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সহপাঠী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অংশ নিয়েছিলেন।
আন্দোলন পরবর্তী গত ৭ আগষ্ট বিকালে আমার ছেলে ইয়াছিন বাড়ির অদুরে রামপুরস্থ আমাদের পারিবারিক মৎস্য ঘেরে বেড়াতে গেলে সাহারবিলের চেয়ারম্যান নবী হোছাইনের ভাই বাদল ডাকাতের অতর্কিত হামলা ও গুলিতে মারাত্মক ভাবে আহত হয় আমার ছেলে। এসময় ছরা গুলিতে তার সারা শরীর ঝাঝরা হয়ে যায়।
ঘটনার সময় বাদলের সাথে থাকা অন্যান্য সহযোগীরা আমার ছেলেসহ কয়েক জনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাত্মক ভাবে জখম করে। বর্তমানে
আহত ইয়াসিন চট্টগ্রামের পার্কভিউ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
বাদি শহিদুল ইসলাম লিটন অভিযোগ করে বলেন, চকরিয়া উপজেলা সদরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ গ্রহণ করায় ক্ষুব্ধ হয়ে আমার ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করেছে নবী চেয়ারম্যানের ভাই বাদল।
জানতে চাইলে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, সাহারবিল ইউনিয়নের রামপুর মৎস্য ঘের এলাকায় স্কুল শিক্ষার্থীর উপর হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় এজাহার পাওয়া সাপেক্ষে একটি মামলা রুজু হয়েছে। এজাহারনামীয়  আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের একটি টিম কাজ শুরু করেছেন। ##

পাঠকের মতামত: