চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি :: কক্সবাজারের চকরিয়ায় একদল দুর্বৃত্তরা স্থাপনা নির্মাণকাজে হামলা ও ভাংচুর করে তান্ডব চালিয়য়েছে। এতে বাঁধা দিতে গেলে নারীসহ দুই ব্যক্তিকে বেদড়ক পিঠিয়ে ও মারধর করে গুরুতর আহত করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের বহদ্দারকাটা স্কুলে স্টেশনের পশ্চিমে গতকাল সকালের দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনায় আহতরা হলেন, বিএমচর ইউনিয়নের দক্ষিণ বহদ্দারকাটা এলাকার নাদের হোসেনের স্ত্রী মমতাজ বেগম (৪৬) ও তার নাতি তৌহিদুল ইসলাম (১৯)।
অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, বিএমচর ইউনিয়নের বহদ্দারকাটা স্কুলে স্টেশনের পশ্চিম পাশোক্ত জায়গায় নাদের হোসেনের ছেলে হাফেজ মিজানুর রহমান তাদের পৈত্রিক জায়গায় পাঁকা দালান (দোকান ঘর) স্থাপনা নির্মাণ করেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ওই জায়গা ভোগদখল করে আসছেন। তার দখলীয় জমিতে গতকাল সকালের দিকে স্থাপনা নির্মাণকালে একদল দুর্বৃত্তরা সন্ত্রাসী কায়দায় দেশীয় তৈরি ধারালো অস্ত্রনিয়ে হামলা ও ভাংচুর করে তান্ডব চালায়। এতে মিজানুর রহমান বাঁধা দিতে গেলে ওই দুর্বৃত্তরা তাকে আঘাত করতে গেলে ছেলে মিজানকে বাঁচাতে মা মমতাজ বেগম (৪৬) এগিয়ে আসলে তাকে বেদড়ক পিঠিয়ে ও মারধর করে গুরুতর আহত করা হয়। এসময় তার নাতি তৌহিদ (১৯) নানী মমতাজকে উদ্ধার করতে গেলে তাকেও মারধর করে আহত করেন দুর্বৃত্তরা। পরে ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা করা হয়।
বিএমচর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান স্থানীয় ইউপি সদস্য ইসমাঈল মানিক ও সংরক্ষিত নারী সদস্যা পুতিলা বেগমের উপস্থিতিতে স্থাপনা নির্মাণ কাজে অতর্কিত ভাবে হামলা ও ভাংচুর চালিয়েছে বলে দাবী করেছেন ভুক্তভোগী জায়গার মালিক মিজানুর রহমান।
ভুক্তভোগী মিজানুর রহমান বলেন, তার দখলীয় জায়গায় স্থাপনা নির্মাণের সময় আকস্মিক ভাবে একই এলাকার আবু ইউসুফ, সোহেল, মোহাম্মদ নোমানের নেতৃত্বে সহ ৭-৮জন দুর্বৃত্ত সন্ত্রাসীরা দেশীয় তৈরি ধারালো অস্ত্রনিয়ে এসে হামলা ও ভাংচুরের তান্ডব চালায়। এতে বাঁধা দিতে গেলে আমার মা ও ভাগিনাকে মারধর করে গুরুতর আহত করা হয়। ঘটনার পর থেকে ওই দুর্বৃত্ত সন্ত্রাসীরা আমাকে প্রাণনাশের হুমকি ও নানা ধরণের ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। এ ঘটনার বিষয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিএমচর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান ও স্থানীয় ইউপি সদস্য ইসমাঈল মানিক বলেন, জায়গার বিষয় নিয়ে থানায়বিচারাধীন রয়েছে। তারা উভয়পক্ষ পরস্পর নিকটাত্মীয়। তবে স্থানীয় ভাবে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি বিষয়টি সমাধান করার জন্য। মারধর করে আহত করার বিষয়টি তিনি অবগত নন বলে জানান।
মাতামুহুরী পুলিশ ফাঁড়ির আইসি (পুলিশ পরিদর্শক) মো. মিজানুর রহমান বলেন, মূলত জায়গা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ। এই বিষয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে একটি অভিযোগ বিচারাধীন রয়েছে। সন্ধ্যায় উভয়পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করা হয়। বৈঠকে সার্ভেয়ারের মাধ্যমে জায়গা পরিমাপ করে পরবর্তী প্রদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে তাদের জানানো হয়েছে।
পাঠকের মতামত: