ঢাকা,বুধবার, ৬ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টা

মোঃ নিজাম উদ্দিন, চকরিয়া ::

চকরিয়ায় এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উদ্ধার করতে গিয়ে মারধরে আঘাত করা হয় স্কুলছাত্রী ও পরিবারের সদস্যদের।

এ ঘটনায় থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে। ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ডুমখালী গ্রামে গতকাল শুক্রবার সকালে সংগঠিত এ ঘটনায় স্থানীয়ভাবে তোলপাড় চলছে। দায়েরকৃত এজাহারে জানাযায়, মালুমঘাট আইডিয়াল স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রী (১৪)কে স্কুলে আসা-যাওয়ার সময় প্রতিনিয়ত উত্ত্যক্ত করতো একই এলাকার এক বকাটে।

ঘটনারদিন সকালে ওই ছাত্রীকে ডুমখালীর বসতবাড়িতে রেখে পরিবারের লোকজন একটি বিয়ে অনুষ্ঠানে খুটাখালী যাচ্ছিল। এসময় একা পেয়ে আাসমীরা তার বাড়ীতে প্রবেশ করে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। তাৎক্ষণিক এ খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা ফিরে এসে কিশোরী ছাত্রীকে উদ্ধার করে। উদ্ধারকালে আসামীরা লাঠি দিয়ে আঘাত করায় স্কুলছাত্রী ও পরিবারের লোকজন জখম হয়। তাদের শোর চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে দ্রুত পালিয়ে যায় আসামীরা।

স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য ক্লিনিকে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক আহত ছাত্রীকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করে। ওইদিন ভিকটিমের নানী ডুমখালী এলাকার শফিউল আলমের স্ত্রী জাহেদা বেগম বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় একখানা এজাহার দায়ের করেন। এতে আসামী করা হয়, ডুলাহাজারা (২নং ওয়ার্ড) ডুমখালী গ্রামের জাকের আহমদের ছেলে আহামদু (২৬), একই এলাকার ছগির আহমদের ছেলে আবদুর রহিম (২৮), নুরুল আলমের ছেলে মোঃ আবছার (২৬) ও জাকের আহমদের ছেলে জলু উদ্দিন (১৯)সহ অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জনকে।

এ ব্যাপারে মালুমঘাট আইডিয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবদুল মালেক জানায়, বিষয়টি তিনি খবর নিয়ে দেখবেন। তবে এখনো পর্যন্ত তাকে কেউ জানায়নি।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বকতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, ডুলাহাজারায় এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টা ও মারধর সংক্রান্ত বিষয়ের একটি এজাহার পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানায়।

পাঠকের মতামত: