নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: কক্সবাজারের চকরিয়ায় যাত্রীবাহী হানিফ বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে রেললাইন নির্মাণকাজে মাটি ও বালি পরিবহনে নিয়োজিত ডাম্পার গাড়ির। সংঘর্ষে অন্তত ২০জন আহত হয়েছেন। তন্মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।২৬ অক্টোবর, মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মালুমঘাটের রিংভং ছগিরশাহকাটা দরগা গেটের কাছে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
আহতদের মধ্যে কয়েকজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তারা হলেন হানিফ বাসের যাত্রী চট্টগ্রামের বাশঁখালীর জলদী এলাকার হাজী আব্দুর রহমানের পুত্র মাওলানা জামাল উদ্দিন, চকরিয়া পৌরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের মৃত মোজাম্মেল হোসেনের পুত্র শামসুল আলম, রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের মৃত সিরাজুল হকের পুত্র নুরুল ইসলাম, টেকনাফ উপজেলার কুতুপালং এলাকার মকতুল হোসেনের পুত্র ছৈয়দ আলম, লোহাগাড়া উপজেলার পুটিবিলা ইউনিয়নের সিকদার পাড়ার আহমদ হোসেনের পুত্র মো. ইমরান ও তার ভাগ্নে মো. জায়েদ।
আহত অন্যদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে আহতদের মধ্যে দুই গাড়ির চালক, নারীসহ তিনজন যাত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কক্সবাজারমুখী যাত্রীবাহী হানিফ বাসটি ঘটনাস্থলে পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা ডাম্পারের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুই গাড়ির সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এ সময় মহাসড়কের দুইদিকে আটকা পড়ে শত শত যানবাহন। এতে প্রায় একঘণ্টা ধরে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। তবে হাইওয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এ সময় ক্রেন দিয়ে দুর্ঘটনায় পতিত গাড়ি দুটি সরিয়ে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
মহাসড়কের মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইন্সপেক্টর (ইনর্চাজ) শেফায়েত হোসেন বলেন, দুর্ঘটনাটি ভয়াবহ হলেও এখনো পর্যন্ত কেউ মারা যায়নি। দ্রুত আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। জব্দ করা হয় দুর্ঘটনায় পতিত গাড়ি দুটি। এ ব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
অন্যদিকে, মহেশখালীতে আনুমানিক ১০ টন লবণ বোঝাই একটি পিকআপ রাস্তার পাশে খাদে পড়ে গিয়ে অন্তত ৮ লাখ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের মগকাটা এলাকায় মঙ্গলবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কুতুবজোমের মগকাটা থেকে লবণ বোঝাই করে একটি পিকআপ চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওয়ানাকালে মগকাটা নামক স্থানে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে উল্টে যায়। এতে গাড়িতে থাকা অনুমানিক ৮ থেকে ১০ টন লবণ পার্শ্ববর্তী খাদের পানিতে পড়ে নষ্ট হয়ে ৭/৮ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। উপস্থিত লোকজন ড্রাইভার ও হেলপারকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন।
স্থানীয়রা জানান, কুতুবজোম-কালামিয়া বাজার সড়কটি দীর্ঘদিনেও সংস্কার না হওয়ায় ভারী যানবাহন চলাচলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ফলে প্রায় ঘটছে দুর্ঘটনা। বড় ধরণের অনাকাক্সিখত ঘটনা এড়াতে এখনই রাস্তাটি সংস্কার জরুরি বলে মনে করছেন এলাকাবাসীরা।
পাঠকের মতামত: