ঢাকা,শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় বহিস্কৃত যুবলীগ নেতা আবছারের জবর দখল ও চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

চকরিয়া অফিস:

নানা অপর্কমের মূল হোতা খুটাখালী ইউনিয়নের বহিস্কৃত যুবলীগ নেতা নুরুল আবছার বহুল আলোচিত দুই মামলার আসামী হলেও প্রকাশ্যে চলাফেরা আর পুলিশের বক্তব্য কোথাও দেখা মিলছেনা। পুলিশ বলছে সে পলাতক রয়েছেন। আর পুিলশ তাকে না আটক করায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। অভিযুক্ত নুরুল আবছার উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মেধাকচ্ছপিয়া গ্রামের মৃত ফজল করিমের পুত্র।

অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, দলীয় শৃংখলা ভঙ্গের দায়ে গত ৩বছর পূর্বে চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেন ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি এডভোকেট ওমর ফারুক শিবলী ও সাধারণ সম্পাদক আবু তৈয়ব। এর পর থেকে স্বেচ্ছাসেবকলীগের নাম ব্যবহার করে জমি জবর দখল, বনের মূল্যবান গাছ কেটে লুট সহ চাঁদাবাজী অব্যাহত রাখে। উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি শওকত হোসেন জানিয়েছেন, নুরুল আবছার নামে খুটাখালীতে স্বেচ্ছাসেবকলীগের কোন নেতা নেই।

স্থানীয় মেধাকচ্ছপিয়া এলাকার ইসলাম আহমদের ছেলে দুবাই প্রবাসী জসিম উদ্দিন জানান, নুরুল আবছার ক্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙ্গিয়ে তার কাছ থেকে মোটা অংকের চাঁদা দাবী করে। বর্তমানে তার মালিকানাধীন ও পৈত্রিক জমি জবর দখল ও গাছ কেটে লুটের হুমকি দিচ্ছে। ওই যুবলীগ নেতার কারণে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। একের পর এক অপরাধের কারণে সাধারণ মানুষ যুবলীগ নেতা আবছারের অত্যাচারে সাধারণ মানুষ জিম্মী হয়ে পড়েছে। নানা অপরাধে তার বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। দুই মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানা রয়েছে। এদিকে খুটাখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বেলাল আজাদ বলেন, যুবলীগ থেকে বহিস্কারের পরও দলের নাম ব্যবহার করে অপরাধ মূলক কর্মকান্ড অব্যাহত রেখেছে নুরুল আবছার। তিনি সহ স্থানীয় দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ জনতা প্রশাসনের কাছে বিহীত ব্যবস্থা নিতে হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

পাঠকের মতামত: