নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে আকস্মিকভাবে একটি পুরুষ হাতির মৃত্যু হয়েছে। পার্কে র৩২ বছর বয়সী হাতিটির ‘সৈকত বাহাদুর’ নাম রাখা হয়েছিল।
সোমবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে পার্কের হাতির গোদা নামক বেষ্টনীর ভেতরে হাতিটি মারা গেছে। ওইদিন রাতেই ময়নাতদন্ত শেষে হাতিটি মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়েছে।
ডুলাহাজারার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাজহারুল ইসলাম এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আরো বলেন, সোমবার সারাদিন স্বাভাবিক ছিল হাতি সৈকত বাহাদুর। বিকেল ৪টার দিকে প্রতিদিনের মতো কলাগাছ ও মিষ্টি কুমড়া খেয়েছিল। খাবার গ্রহণের পর হঠাৎ মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এর পরপরই পার্কের চিকিৎসক বেষ্টনীতে গিয়ে শরীর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখতে পান হাতিটি মারা গেছে। তবে হঠাৎ হাতির মৃত্যু রহস্যজনক বলে মনে করেছে অনেকে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি চিকিৎসক হাতেম সাজ্জাত মো. জুলকার নাইনের বরাত দিয়ে মাজহারুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে হাতিটির মৃত্যু হতে পারে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সমর রঞ্জন বড়ুয়া ও পার্কের ভেটেরিনারি চিকিৎসকের নেতৃত্বে একটি দল ওই হাতির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করার পর মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়। হাতি সৈকত বাহাদুরের মৃত্যুর কারণ উদ্ঘাটন করতে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকার কেন্দ্রীয় রোগ অনুসন্ধান গবেষণাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে চকরিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
হাতিটির লালনপালন করা মাহুত মোহাম্মদ ফারুক হোসেন বলেন, হাতি সৈকত বাহাদুরকে প্রতিদিনের মতো সোমবার বিকেলে চারটি কলাগাছ ও চারটি মিষ্টিকুমড়া খেতে দেওয়া হয়। স্বাভাবিক আহার গ্রহণের পর পানি পান করে হঠাৎ মাটিতে ঢলে পড়ে। প্রথমে মনে করেছিলাম, হাতিটি খাবার খেয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিল। মিনিটখানেক পর দেখি মাথাও মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করলে দ্রুত পার্কের ভেটেরিনারি চিকিৎসক দেখে মৃত্যু নিশ্চিত করেছেন।
পাঠকের মতামত: