ঢাকা,মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় ছিনতাইকৃত মোটরসাইকেল বসতঘর থেকে উদ্ধার

 

মোঃ নিজাম উদ্দিন, চকরিয়া:
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ায় ছিনতাইয়ের পর একটি মোটরসাইকেল বসতঘর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে চকরিয়া উপজেলার মইঘ্যারমার চড়া নামক এলাকায় মোটরসাইকেল ও নগদ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। জিপিআরএস সিস্টেমের মাধ্যমে রাত দেড়টার সময় উপজেলার চিরিঙ্গা ইউনিয়নস্থ পালাকাটা এলাকার বসতঘর থেকে মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়।

ঘটনা সুত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে মোঃ মনির নামের ঈদগাঁও বাজারের থাই গ্লাস ব্যবসায়ী মোটরসাইকেল যোগে নিজ বসতবাড়ী চট্টগ্রামের লোহাগাড়া যাচ্ছিলেন। তিনি সেখানকার সিকদার পাড়া এলাকার আবুল কাশেমের পুত্র। মালুমঘাট দরগাহর গেইট পার হয়ে মনির ঢালা এলাকা পৌঁছা মাত্রই ছিনতাইয়ের শিকার হন।

ভুক্তভোগীর উদ্ধৃতি দিয়ে মালুমঘাট হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক টিপু রায় জানান, এসময় ৪-৫ জন মুখোশধারী দুটি মোটরসাইকেল যোগে মনিরের পথ গতিরোধ করে। বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করে মুখোশধারীরা তার কাছে থাকা এক লাখ টাকা ও ব্যবহারের সুজুকি নতুন মোটরসাইকেলটি ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। তখন ছিনতাইয়ের শিকার মনির মালুমঘাট হাইওয়ে থানার টহল পুলিশকে বিষয়টি অবগত করে। ঘটনার বিস্তারিত শুনে হাইওয়ে থানার ইনচার্জ মাকসুদ আহমেদসহ একটি টিম চকরিয়া থানা পুলিশের সহযোগিতা নেয়। পরে থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তীসহ উভয় থানার পুলিশ যৌথভাবে এ উদ্ধার অভিযান চালায়।

পুলিশ জানায়, জিপিআরএস সিস্টেম অন থাকায় ট্রেকিং এর মাধ্যমে মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করতে সহজ হয়েছে। এটি চিরিঙ্গা ইউনিয়নের পালাকাটা জঙ্গিপীর মাজার সংলগ্ন মিজানুর রহমান মালিকানাধীন বসতঘর থেকে উদ্ধার করা হয়। গৃহকর্তা মিজানকে তাৎক্ষণিক পাওয়া না গেলেও ঘরের ভেতর মোটরসাইকেল আসার ঘটনা স্ত্রী লিটা মনি বর্ননা দিয়েছেন বলে জানায় পুলিশ। এ ঘটনায় ছিনতাইয়ের শিকার মোঃ মনির বাদী হয়ে মামলা করা হয়েছে বলেও সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে। চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী মোটরসাইকেল উদ্ধারের বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করেন।

পাঠকের মতামত: