ঢাকা,মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় কোথাও স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না! মার্কেটে শিশুসহ নারী-পুরুষের ভিড়!

নিজস্ব প্রতিবেদক :: চকরিয়ায় কোথাও সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না, মার্কের্ট গুলোতে শিশুসহ নারী-পুরুষের ভিড়! সরকারের বিধিমোতাবেক চকরিয়া পৌরসদরে করোনাভাইরাসের প্রকোপরোধে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব  মানছে না কেউ।

এ অবস্থায় স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে সচেতন মহলের ধারণা। মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে সারাদেশে গত ২৬ মার্চ থেকে ৩১মে পর্যন্ত লকডাউন ঘোষনা করা হয়। ৬৫ দিন পর ১ জুন লকডাউন খুলে দিলে ৭ জুন পর্যন্ত তা বহাল থাকে।

পরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি হওয়ায় চকরিয়ায় পৌরসভাকে রেডজোন হিসেবে চিহ্নিত করে গত ৭ জুন থেকে ২১ জুন পর্যন্ত প্রথম দফায় ও পরে ২৮ জুন পর্যন্ত দ্বিতীয় দফায় লকডাউন ঘোষণা করে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। ২৯ জুন থেকে লকডাউন শিথিল করে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত দোকানপাট খোলা ও ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালনার সিদ্ধান্ত দেয়া হয়।

সরেজমিন দেখা যায়, আজ বিকালে চকরিয়া পৌরশহরের বিভিন্ন শপিং সেন্টারে শিশুসহ অসংখ্য নারী-পুরুষ ক্রেতাদের ভীড়। সামাজিক দুরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন বালাই নেই দোকানদার ও ক্রেতাদের মাঝে। একজনের পাশে গাঁ গেষে আরেকজনকে বসতে দেখা গেছে বিভিন্ন দোকানে।  মাত্র ১০ বাই ১২ ফুটের প্রতিটি দোকানে ৭/৮ জন করে ক্রেতা একজন আরেকজনের সাথে গা ঘেষিয়ে বাজার করছে নির্বিঘনে।

চকরিয় পৌরশহরের বাসিন্দা আবদুল করিম বলেন, চকরিয়া পৌরশহরে লকডাউন শিথিলের পর মার্কেটগুলোতে প্রচুর ভীড়। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে পারে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের তদারকি দরকার।

চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ৭ জুন মঙ্গলবার পর্যন্ত চকরিয়ায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৩৪১জন, সুস্থ হয়েছেন ২১৯ জন, সরকারী হিসেবে ৬জনের মৃত্যু হলে ও করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরো ৪জন।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ শামসুল তাবরীজ বলেন, সাধারণ মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসন বিষয়টি গুরুত্ব দিচ্ছে। সামাজিক দুরত্ব মানা হচ্ছে কিনা নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে।

পাঠকের মতামত: