ঢাকা,সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় কলেজ ছাত্র অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবির অভিযোগ

indexস্টাফ রিপোর্টার, চকরিয়া :
চকরিয়ার ডুলাহাজারা কলেজে পড়‍ুয়া একাদশ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র জিমান উদ্দিন জিয়াকে (২০) অপহরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়ার পর ওই ছাত্রের বাবা গিয়াস উদ্দিনের কাছ থেকে সন্ত্রাসীরা মুক্তিপণ হিসেবে দুই লাখ ৪০ হাজার টাকা চাঁদাও দাবি করেছে। ওই টাকা পরিশোধ করতে না পারায় কলেজ ছাত্র জিয়াকে অপহরণকারীরা প্রাণে মারারও হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বাবা গিয়াস উদ্দিন।
অপহৃত ছাত্রের মা ও উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের পহরচাঁদা গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী রোজিনা জন্নাত বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগে ১০ জনকে আসামী করা হয়েছে। এতে দাবি করা হয়েছে, তাঁর একমাত্র ছেলে ডুলাহাজারা কলেজে পড়–য়া ছাত্র জিমান উদ্দিন জিয়া গত ৬ মার্চ রাত ৮টার দিকে বাড়ির নিকট কুতুব বাজারের ফার্মেসী থেকে ওষুধ কিনতে যায়। এ সময় আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা একদল মুখোশ পরিহিত সন্ত্রাসী অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে জিয়াকে একটি সিএনজি অটোরিক্সায় তুলে নিয়ে যায়। এর পর থেকে সন্ত্রাসীরা জিয়ার ব্যবহৃত মোবাইল থেকে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।
অপহৃত ছাত্র জিয়ার বাবা গিয়াস উদ্দিন জানান, ‘অপহরণের পর ইতিমধ্যে সন্ত্রাসীদের দেওয়া বিকাশ নম্বরে ৬০ হাজার টাকা প্রদান করেছেন। এখন আরো ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা দাবি করছে সন্ত্রাসীরা। টাকা না দিলে প্রাণে হত্যারও হুমকি দিচ্ছে সন্ত্রাসীরা।
উল্লেখ্য, গত বছরের সেপ্টেম্বরে জিমান উদ্দিন জিয়াকে আরো একবার অপহরণ করা হয় বলে তার বাবা থানায় মামলা করেছিলেন। মামলার পর পুলিশ জিয়াকে প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে ডুলাহাজারা এলাকা থেকে উদ্ধারের পর পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করে ওইসময় অপহরণের ঘটনাটি সে নিজেই রটিয়েছিল। নিয়মিত টাকা না দেওয়ায় বাবার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবির মতো কলেজ ছাত্র জিয়া এমন ঘটনা সাজায় বলেও তৎকালীন ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধরের কাছে স্বীকারোক্তিও দেয়। পরে এই স্বীকারোক্তি তার বাবা গিয়াস উদ্দিন ও মা রোজিনা জন্নাতসহ পরিবার সদস্যদের শোনানো হলে হতবাক হয়ে যান তারা। তাই এবারের অপহরণ ঘটনাটিও নাকি সাজানো নাটক তা নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে পুলিশে।
তবে চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামরুল আজম বলেন, ‘ওই ছাত্রকে অপহরণ ও মুক্তিপন দাবির অভিযোগে তার মা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। অভিযোগটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে এবং প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে ছাত্র জিয়াকে উদ্ধারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘ইতিপূর্বেও জিয়াকে অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবির অভিযোগ এনে তার বাবা থানায় মামলা করলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।
এর পর পুলিশের কাছে জিয়া স্বীকার করে বাবা গিয়াস উদ্দিনের কাছ থেকে টাকা আদায়ের জন্য এমন ঘটনার জন্ম দেয় সে। এখনকার ঘটনাটিও সাজানো কি-না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

পাঠকের মতামত: