ঢাকা,বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

চকরিয়ার বদরখালী-মহেশখালী সেতুতে ইজারাদারের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::

চকরিয়া উপজেলার বদরখালী-মহেশখালী সেতু পারাপারে ইজারাদারের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে সেতু পারাপারে বিভিন্ন যানবাহনের চালকদের মাঝে অসন্তোস বিরাজ করছে। প্রতিদিন সেতুর ইজারাদার যানবাহন মালিক ও চালকদের জিম্মি করে অতিরিক্ত টোল আদায় করে আসছে। প্রতিবাদ করলে চালকদের মারধরসহ নানাভাবে হয়রানি করা হয়। কক্সবাজার সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্ধারতি টোল ফি আদায়ে নিয়ম মানছে না ইজারাদারী প্রতিষ্ঠান।

জানা গেছে, কক্সবাজার সড়ক ও জনপদ বিভাগ টেন্ডার দিলে গত অর্থবছরে স্থানীয় মেসার্স রাহাত কনস্ট্রাকশন ইজারা পান বদরখালী-মহেশখালী সেতুটি। ইজারা নেয়ার পর থেকে ইজারাদার নিয়ম বহির্ভূতভাবে টোল আদায় করে আসছে। টোল আদায়ে নিয়োজিত লোকজনের খারাপ আচরণেও অতিষ্ট সড়কে চলাচলকারী যানবাহনের চালকরা। বদরখালীর যুবদল ক্যাডার বুলবুল সিকদার নামের এক যুবক প্রভাব বিস্তার করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান রাহাত কনস্ট্রাকশনকে সহযোগীতা করে আসছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পিকআপ চালক জানান, গতকাল রবিবার সকালে বালি ভর্তি করে একটি পিকআপ মহেশখালী যাওয়ার পথে ব্যারিকেড দিয়ে ট্রেইলার যানবাহনের ২৫০টাকা মুল্যের ২টি রশিদ ধরিয়ে দিয়ে ৫শত টাকা আদায় করে। কিন্তু পিকআপের টোল ফি সড়ক ও জনপদ বিভাগ কর্তৃক ১৭৫ টাকা নির্ধারিত আছে। তাছাড়া দেশের বৃহত্তর মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পে মালামাল নিয়ে আসা ট্রাক ও ট্রেইলার যানবাহন থেকে ৫০০ থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করে বলে অভিযোগ করেন চালকরা। বিদেশ ও সারা দেশে মহেশখালী থেকে মিষ্টিপান, লবণ ও চিংড়ি রপ্তানি করা হয়। যার একমাত্র যোগাযোগ সংযোগ সড়ক হল বদরখালী সেতুটি। প্রতিদিন প্রায় ৫শতাধিক যানবাহন চলাচল করে এই সেতু দিয়ে। তাদের দাবীকৃত টাকা দিতে অস্বীকার করলে গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধর ও নানা ধরনের হুমকি দেওয়া হয়।

তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, এ অবস্থার কারনে গাড়ি চালকরা প্রতিনিয়ত হয়রানীর শিকার হচ্ছেন। এর ধারাবাহিকতা থাকলে মহেশখালীতে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ বাঁধাগ্রস্থ হবে।

অতিরিক্তি টোল আদায়ের ব্যাপারে ইজারাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স রাহাত কনস্ট্রানশনের পক্ষে মো. এমরানের কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রথমে অভিযোগ অস্বাকীর করেন। পরে তিনি বলেন, ট্রেইটারের টোল ফ্রি পিকআপ থেকে কেন নিবে। আমরা গাড়ির ধরণ অনুয়ারি টোল আদায় করা হয়। আমি সরকারী নিয়ম অনুযায়ী টোল আদায় করি।

জানতে চাইলে কক্সবাজার সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রানা প্রিয় বড়–য়া বলেন, সরকার নির্ধারিত কোন গাড়ির টোল ফ্রি কত তা বিল বোর্ড সেতুর প্রবেশ দেওয়া আছে। সেই নিয়মে যানবাহন চালকরা টোল দিবে। যদি ইজারাদার অতিরিক্ত টোল দাবি করে তাহলে কক্সবাজার সড়ক ও জনপদ বিভাগে অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ###

পাঠকের মতামত: