আপনাদের ভালোবাসা, সমর্থন দোয়া ও আস্থার প্রতিদান দিতে চাই
নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::
সম্মানিত প্রাণপ্রিয় চকরিয়া উপজেলাবাসী,আমি আলহাজ্ব ফজলুল করিম সাঈদী, তৃণমূল আওয়ামীলীগ ও নাগরিক কমিটি মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী চকরিয়া উপজেলা নির্বাচন ও সহ-সভাপতি, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগ। আমি আপনাদের সমর্থন, দোয়া,সহযোগিতা এবং ভালবাসা সাথে নিয়ে চকরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে সাধারণ জনগণের চাওয়াকে পূজি করে চেয়ারম্যান পদে নাগরিক কমিটির ব্যানারে প্রার্থী হয়েছি আপনাদের সেবক হিসেবে কাজ করার অভিপ্রায় নিয়ে। সেইলক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করি এবং আল্লাহ পাকের অসীম রহমতে আপনাদের দোয়ায় শত ষড়যন্ত্র ও প্রতিকুল অবস্থা অতিক্রম করে আমার মনোনয়ন বৈধ ঘোষিত হয়। কতিপয় মহল ইর্ষাণিত হয়ে টাকা ও পদের লোভের বিনিময়ে আমি নির্বাচন থেকে সরে দাড়াচ্ছি সংক্রান্ত আমার বিরুদ্ধে নানা ধরণের বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি, সেই ধরণের গুজব ও বিভ্রান্তিতে আপনারা হতাশ হবেন না। আমি আপনাদের ভালোবাসা, সমর্থন দোয়া ও আস্থার প্রতিদান দিতে চাই। আমার প্রতি আপনাদের দোয়া ও ভালবাসা এবং সমর্থন-সহযোগিতা দেখে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী ও তাঁর অনুসারীরা পাগল হয়ে গেছে।
আমি আপনাদের আশ^স্ত করতে চাই, আওয়ামীলীগ সভানেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, সাধারণ সম্পাদক মাননীয় সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী, কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক, মাননীয় সংসদ সদস্য চকরিয়া-পেকুয়ার গণমানুষের প্রিয়নেতা আমার অভিভাবক আলহাজ জাফর আলম মহোদয়ের প্রতি আমার অগাদ শ্রদ্ধা, বিশ্বাস সম্মান ছিল আছে, আজীবন থাকবে। ইনশাল্লাহ খুব শীঘ্রই আধাঁর কেটে যাবে।
সংগ্রামী কলাগাছ প্রেমি চকরিয়াবাসি এটাই আমার জীবনের শেষ নির্বাচন, কারণ নতুন নেতৃত্ব তৈরি হয়ে গেছে এবং আমি নির্বাচনে আছি এবং জনতার হয়ে জনতার মাঝেই থাকবো ইনশাল্লাহ। ২০১৬ সালে চকরিয়া পৌরসভার মেয়র নির্বাচনেও আমি আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয়, কক্সবাজার জেলা ও চকরিয়া উপজেলা নেতৃবৃন্দদের নির্দেশকে সম্মান জানিয়ে নিশ্চিত বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবণা থাকা স্বত্তেও নির্বাচন থেকে সরে দাড়ায় সিনিয়র নেতৃবৃন্দ এবং দলের প্রতি সম্মান দেখিয়ে।
একইভাবে চকরিয়া উপজেলা নির্বাচনে যখন এবার আমি প্রার্থী হলাম, উপজেলার প্রতিটি জনপদে দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের জনগন ভোট দিয়ে আমাকে বিজয়ী করতে মুখিয়ে আছেন, ঠিক তখনই আমাকে নানাভাবে বাধা দেয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে নির্বাচন থেকে সরে যেতে বিভিন্ন লোভনীয় অফার দিচ্ছেন। কিন্তু আমি চকরিয়াবাসির ভালোবাসাকে মাথায় তুলে নিয়ে তাদের এসব লোভনীয় ফাঁদে পা দিচ্ছি না। আমি মনে করি, তাদের এসব লোভনীয় অফারে পা দেওয়া মানে নিজেকে নিজে শেষ করে দেওয়া। আমি তাদেরকে বলবো, যদি আপনাদের সৎ সাহস থাকে নির্বাচনী চ্যালেঞ্জ গ্রহন করুন। আসুন আমরা শপথ করি সংগ্রামি চকরিয়াবাসী নিরাপদ পরিবেশে তাদের পবিত্র আমানত ভোটটি সুষ্ঠ ও সুন্দরভাবে যেন প্রয়োগ করতে পারে তার জন্য প্রশাসনকে সহযোগিতা করি। নির্বাচনে চকরিয়া উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার সংগ্রামী জনগন আমাকে যে রায় দেবেন তা মাথা পেতে নেব। আমার প্রিয় চকরিয়াবাসিকে বলবো, আপনারা সকল ধরণের ভয়ভীতিকে পদদলিত করে আগামী ১৮ মার্চ সারাদিন ভোট কেন্দ্রে থাকুন, ভোট কেন্দ্র পাহঁরা দেবেন। দেখে শুনে যোগ্য প্রার্থীকে আপনার/আপনাদের মূল্যবান ভোটটি প্রদান করুন।
সংগ্রামী চকরিয়াবাসি বিনয়ের সঙ্গে বলছি, আপনাদের ভোটের মূল্য হয়তো খুব একটা থাকতো না, যদি আমি সাঈদী নির্বাচনে প্রার্থী না হতাম। আপনারা যেন আপনাদের পবিত্র ভোটটি দিতে পারেন তার জন্য এবং অবহেলিত আওয়ামীলীগের তৃনমূল সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের পাশে থাকার জন্য আমি নির্বাচনে প্রার্থী হলাম। ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা সবাইকে।##
পাঠকের মতামত: