ঢাকা,সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

করোনাভাইরাস মহামারীতে চকরিয়ায় ব্রাকের প্রসংশনীয় উদ্যোগ

মুহাম্মদ মনজুর আলম, চকরিয়া :: করোনাভাইরাস (কোভিট-১৯) মহামারীতে সরকারী ও বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত নির্দেশনা মতে ব্র্যাক তাদের মাইক্রোফাইন্যান্স কর্মসুচির বন্ধ রেখে উপজেলার মানুষগুলোকে সর্তক ও সচেতনসহ সার্বিক সহযোগীতা করে যাচ্ছে চকরিয়া উপজেলা ব্র্যাক।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শুরুতে বিগত ২২ মার্চ/২০ থেকে তাদের মাইক্রোফাইন্যান্সের কার্যক্রম সম্পূন্নরূপে বন্ধ করে দিয়ে মানুষকে সচেতনামুলক প্রচারনাসহ লিফলেট বিতরণ,উপজেলা, পাড়া, মহল্লায় মাইকিং, মসজিদ, মন্দিরে হাত ধোয়ার পাশাপাশি জীবাণুনাশক স্প্রে ব্যবহার এবং হাসপাতাল ও ঔষধের দোকানগুলোতে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার জন্য বৃত্ত অংকন করে ব্র্যাক।

তাছাড়া গ্রাহকদের নিরাপত্তায় আর্থিক লেনদেনের জন্য নতুন বিকাশ ওয়ালেট চালুকরণ উদ্ধুদ্ধ করা হয়। গ্রাহকের চাহিদা বিবেচনা করে চকরিয়া উপজেলার ২ হাজার গ্রাহককে বিকাশের মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তার জন্য সঞ্চয় প্রদান করা হয়। মৃত সদস্যদের নমিনীকে বীমা প্রদান ও মাসিক মুনাফার লভ্যাংশ বিকাশের মাধ্যমে প্রদান করে চকরিয়া ব্র্যাক।

বিগত ১০মে/২০ এমআরএ কর্তৃক ঋণ কার্যক্রম নির্দেশনা থাকলেও অন্যান্য এনজিও মাঠ পর্যায়ে কার্যক্রম শুরু করলেও ব্র্যাক তাদের মাইক্রোফাইন্যান্স কর্মসূচির সিনিয়র পরিচালক গ্রাহকদের জীবন-জীবিকার কথা বিবেচনা করে মাঠ পর্যায়ে পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত আগামী ৩০জুন পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে।

কিন্তু অর্থনৈতিক কার্যক্রম গতিশীল রাখার জন্য ঋণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন চকরিয়া ব্র্যাক। তবে যারা স্বেচ্ছায় কিস্তি দিতে আগ্রহী সদস্যদের বিকাশ ওয়ালেট এর মাধ্যমে লেনদেনের ব্যবস্থা করে ব্র্যাক।

ব্রাক চকরিয়া এলাকার ব্যাবস্থাপক (দাবি) আবু নোমান মো. নাঈম জানান, ব্র্যাকের জন্ম মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী ১৯৭২ সাল থেকে অদ্যাবদি যে কোন দুর্যোগকালিন সময়ে মানব সেবায় কাজ করে যাচ্ছে।

বর্তমানে কোভিড-১৯ এর পাশাপাশি আম্পান দুর্র্গত এলাকায় কার্যক্রম চলছে। তিনি আরো বলেন, দেশের এ ক্রান্তিলগ্নে ব্র্যাক মানুষের পাশে দাঁড়াতে পেরেছে বিধায় আমরা ব্র্যাক কর্মীরা গর্বিত।

ব্র‍্যাক শুরু থেকে সাধারণ মানুষের জন‍্য কাজ করে আসছে।

 

 

পাঠকের মতামত: