ঢাকা,শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে লবনের পানিতে বাড়ছে দুর্ঘটনা

330
উখিয়া প্রতিনিধি  :::

লবণের পানিতে টেকনাফ-কক্সাবাজার সড়ক (শহীদ এটিএম জাফর আলম সড়ক) দিন দিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ট্রাকের গলিত লবণাক্ত পানি সীমান্তের প্রধান সড়ক পিচ্ছিল হয়ে পড়ায় চলাচলের অনোপযোগী হয়ে পড়ছে। এতে করে এই রোড়ে প্রতিনিয়ত সড়ক দুঘর্টনাও বাড়ছে। খোলা ট্রাকে লবণ পরিবহনে এক ধরণের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও লবণ ব্যবসায়ী-পরিবহন সংশ্লিষ্ট তা কিছুতেই মানছেনা। কার্ভাড ভ্যান এবং পানি চষে না পড়ার মত করে লবণ পরিবহনের নির্দেশনা টেকনাফে বাস্তবায়িত হচ্ছেনা। লবণ পরিববহণ এবং তৎসংশ্লিষ্ট নীতিমালা না থাকায় কতিপয় সুবিধাভোগী লাভবান হলেও জনসাধারণের চরম ক্ষতি হচ্ছে। লবণের ট্রাক থেকে গলিত খরা পানি টেকনাফ-কক্সবাজার সড়কের স্থায়িত্ব দিন দিন নষ্ট করে দিচ্ছে। স্থানীয় সচেতন মহল জরুরী ভিত্তিতে লাভের বিপরীত ক্ষতির দিক বিবেচনায় খোলা ট্রাকে লবণ পরিবহন বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট নীতিমালা প্রণয়নের জোর দাবী জানিয়েছেন।

সাধারণত টেকনাফ-কক্সবাজার রোড়ে সড়কের উপর যত্রতত্র ট্রাকে লবণ লোড করতে চোখে পড়ে। কতিপয় অসাধু মহল রাস্তার উপর জেদ করে গাদাগাদি ভাবে লবণ লোডের প্রতিযোগীতায় নেমেছে। দুঘর্টনা এবং লবণের পানিতে সড়ক নষ্ট হলেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নজরদারী নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সরেজমিন ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানাগেছে, পালংখালী, বালুখালী, কুতুপালং, থাইংখালী, উখিয়া ষ্টেশন, কোটবাজার, মরিচ্যা ও হোয়াইক্যংয়ের নয়াবাজার, কাঞ্জরপাড়া, হ্নীলার রঙ্গিখালী, আলীখালী, নাটমুরা পাড়া, উলুচামরী, মোচনী, জাদীমুরা, টেকনাফ, সাবরাং, নয়াপাড়া এলাকায় সড়কের উপর ট্র্রাক রেখে লবণ লোড করা হচ্ছে। সকাল থেকে বিকাল দীর্ঘ সময় প্রতিদিন ডজন ডজন ট্রাক লবণ ভর্তি না হওয়া পর্যন্ত সড়কের দু’পাশে দাঁড় করিয়ে রাখাতে যাত্রীবাহী গাড়ী চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সন্ধ্যায় পযর্টকবাহী গাড়ী চলাচলে মারাত্মক অসুবিধা দেখা দিয়েছে।

অনুসন্ধানে জানাগেছে, এসব সড়কের উপর বড় বড় লবণের ট্রাক রেখে লোড করার সময় পথ যাত্রীদের সাথে প্রতিনিয়ত বাক বিতন্ডা লেগে থাকে। কেউ কিছু বললে লবণ ব্যবসায়ীর নামে অসাধুরা বিভিন্ন ধরণের হুমকি ধমকি প্রদান করে। উল্টো পথচারীদের উপর বিপদ নেমে আসে। স্থানীয়রা বলছেন, রোডের উপর গাড়ী রেখে লবণ ভর্তি করতে করতে বছর আগে ২২কোটি টাকা ব্যায়ে সংস্কারকৃত রাস্তা দ্রুত সময়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়বে। উল্লেখিত এলাকায় সওজের কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ম্যানেজ করে মেইন রোড়ের নিচে বিশেষ গর্ত করে পাইপের মাধ্যমে লবণ পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। ক্ষেত্র বিশেষে সড়কের উপর পানির ড্রেইন তৈরীর মাধ্যমে লবণ মাঠে অবাধে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। সড়কের দু’পাশে লবণ ব্যবসায়ীদের জেদাজেদী ট্রাকে লবণ লোড, মেইন রোড়ের নীচে বিশেষ কায়দায় গর্ত করে পানি সরবরাহ ও সড়কের উপর দিয়ে ড্রেইন করে পানি চলাচলে সওজ এবং সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে রীতিমত সমালোচনার ঝড় বইছে। সচেতন মহল মনে করছেন, লবণ ব্যবসায়ীরা রাজস্ব খাতে তেমন উল্লেখ যোগ্য ভূমিকা রাখেনা। কিন্তু লবণ ব্যবসায়ীরা প্রতিনিয়ত সড়কের বারাটা বাজাচ্ছে। ট্রাক এবং রোড় ক্যাপাসিটির বাইরে এসব ব্যবসায়ীরা কৌশলে প্রচুর পরিমাণে লবণ লোড করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় চালান করছে। জরুরী ভিত্তিতে সড়কের উপর অনিয়ন্ত্রিত গাড়ী পাকিং করে লবণ লোড বন্ধ করতে অসাধু এসব ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। খোলা ট্রাকে লবণ পরিবহনে সড়কের উপর লবণাক্ত পানি পড়ে ক্ষতি হচ্ছে জানিয়ে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাঈন উদ্দিন বলেন, লবণের পানি পড়ে প্রতিনিয়ত টেকনাফ-কক্সবাজার চলাচলের রোড়ে (শহীদ এটিএম জাফর সড়ক) সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। জনসাধারণ ও পর্যটকদের সুবিধার্থে অপরিকল্পিত ভাবে সড়কের উপর ট্রাক লোডিং এবং লবণ পরিবহনে বিষয়ে শীঘ্রই তিনি অভিযান পরিচালনা করার কথা জানান।

……………………………………………………

উখিয়ায় বসত ভিটা দখল, দুর্বত্তদের হামলায় স্কুল ছাত্র সহ আহত- ৩

উখিয়া প্রতিনিধি ::

কক্সবাজারের উখিয়ায় কিছু দুর্বত্ত অস্ত্রধারীরা দিন দুপুরে হতদরিদ্র শফি আলমের দীর্ঘ দিনের ভোগ দখলীয় বসত ভিটাটি দখলে নিতে না পেরে হামলা চালিয়ে স্কুল ছাত্র সহ ৩ জনকে গুরুতর আহত করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সকাল ৯ টার দিকে। জানা গেছে, উপজেলার উপকূলীয় জালিয়াপালং ইউনিয়নের মোঃ শফির বিল এলাকার মৃত আব্দুস সোবাহানের ছেলে হতদরিদ্র শফি আলমের দীর্ঘ দিনের ভোগ দখলীয় বসত ভিটাটি পূর্ব শত্র“তার জের ধরে একই গ্রামে চিহ্নিত ভুমিদস্যু মৃত আব্দুস সোবাহানের ছেলে মুফিদুল আলমের নেতৃত্বে সুরুত আলম, ইব্রাহিম ও ফাতেমা বেগম সহ সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে সকালে একই এলাকার হতদরিদ্র ও দিন মজুর শাহ আলমের বসত ভিটাতে অনুপ্রবেশ করে তাদের অস্ত্রের মূখে জিম্মি করে তার বসত ভিটার ৭ টি সুপারী গাছ কর্তন করে বসত ভিঠাটি দখলে নেওয়ার চেষ্টাকালে খবর পেয়ে শাহ আলমের স্ত্রী রশিদা বেগম, সোনার পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর ছাত্র আজিজুল হক ও পিতা শাহ আলম বাঁধা প্রদান করলে সন্ত্রাসীরা তাদেরকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর জখম করে মাটিতে ফেলে দেয়। এ সময় আহতদের শৌর চিৎকারে পার্শ্ববর্তী লোকজন এগিয়ে এসে অহতদেরকে অস্ত্রধারীর কবল থেকে উদ্ধার করে দ্রুত উখিয়া হাসপাতালে ভর্তি করেন। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে বর্তমানে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে আহত শাহ আলমের স্ত্রী রশিদা বেগম বাদী হয়ে ৪ জন কে প্রদান আসামী করে উখিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ ব্যাপারে ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক আরিফুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন এবং ঘটনার সাথে জড়িতদেরকে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

……………………………………………………

উখিয়ায় দিনব্যাপি বইমেলা সম্পন্ন

ওমর ফারুক ইমরান ::

“বই পড়ি আলোকিত আগামী গড়ি” শ্লোগানকে সামনে রেখে এনজিও সংস্থা ব্র্যাক উদ্যোগে দিন ব্যাপি বই মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ১৪ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০ টায় আরম্ভ হয়ে বিকাল ৫টায় অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে। উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাঈন উদ্দিন বইমেলা অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন। উখিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে এনজিও সংস্থা ব্র্যাকের উদ্যোগে আয়োজিত এ বইমেলা অনুষ্ঠানে উপজেলার বিভিন্ন বই বিতান কেন্দ্র বা লাইব্রেরী, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বই পড়ার জন্য সাহিত্য প্রেমিদের উৎসাহিত করতে ১৭টি স্টল দেওয়া হয়। স্টল গুলোতে দেশের সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত লেখকদের অনেক বই পাঠকদের পড়তে দেখা গেছে। বই মেলার উদ্বোধণী অনুষ্ঠানে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) নুরুদ্দিন মোঃ শিবলী, উখিয়া প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সুব্রত কুমার ধর, সহকারি প্রাথমিক কর্মকর্তা মোক্তার আহমদসহ ব্র্যাক এনজিও সংস্থার বিভিন্ন পদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

……………………………………………………

উখিয়ায় আইন শৃংখলা সমন্বয় সভায় ইউএনও – মাঈন উদ্দিন

উখিয়াকে যে কোন মূল্যে ইয়াবা মুক্ত করা হবে

ওমর ফারুক ইমরান, উখিয়া :::

মাদক-ইয়াবা পাচার ও চোরাচালান ব্যবসা বন্ধের জন্য আইন শৃংখলা রক্ষা এবং উন্নয়ন সমন্বয় সভা একক সিদ্ধান্তের মধ্যদিয়ে উখিয়া উপজেলায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ জনপ্রতিনিধিগণ এক কাতারে যে কোন মূল্যে মাদক প্রতিরোধের অঙ্গিকার করেন। গতকাল মঙ্গলবার ১৪ ফেব্রুয়ারি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাঈন উদ্দিনের সভাপতিত্বে উপজেলা সম্মেলন কক্ষে উক্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বক্তব্য রাখেন, উখিয়া থানার ওসি মোঃ আবুল খায়ের, হলদিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ শাহ আলম, জালিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল আমিন চৌধুরী, রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাংগীর কবির চৌধুরী, রতœাপালং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খাইরুল আলম চৌধুরী, পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরীসহ বিজিবি, কাষ্টমস, মুক্তিযোদ্ধা ও আইন শৃংখলা কমিটির সদস্যবৃন্দ। এ সময় বক্তারা উখিয়া উপজেলার চিহ্নিত ইয়াবা চোরাচালানিদের কঠোর হস্তে দমন করে ইয়াবা মুক্ত উপজেলায় পরিনত করতে সকলেই একমত পোষণ করেন। এছাড়াও সভায় যারা ইতিমধ্যে ইয়াবা চোরাচালানের মাধ্যমে বাড়ি, গাড়ি, দোকান-পাট, ব্যবসা বাণিজ্যসহ কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন তাদের চিহ্নিত করে দুর্নীতি দমন কমিশনের অনুসন্ধানি কর্মকর্তাদের উচিত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া। এছাড়া পুলিশসহ আইন শৃংখলা রক্ষা ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনকে সংগৃহীত ইয়াবা চোরাচালানির তালিকা প্রদান করে ওই তালিকায় চিহ্নিত পাচারকারিদের আগামী ১ মাসের মধ্যে যে কোন মূল্যে গ্রেফতার করা হবে বলে বক্তারা হুশিয়ারী দেন।

পাঠকের মতামত: