ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

কক্সবাজার এক্সপ্রেসের টিকেট কোথায় যাচ্ছে, তদন্তে র‌্যাব

কক্সবাজার  প্রতিনিধি ::
কক্সবাজার এক্সপ্রেসের টিকেট কালোবাজারি হচ্ছে কি না তা তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলেছে আদালত। ঢাকা–কক্সবাজারের মধ্যে চলাচলকারী এই ট্রেনের টিকেট নিয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের পর স্বপ্রণোদিত হয়ে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম–১ আদালতের বিচারক শ্রীজ্ঞান তঞ্চঙ্গ্যা গত রোববার বিকালে এই আদেশ দেন। খবর বিডিনিউজের।

আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) ফরিদুল আলম বলেন, বিচারক র‌্যাব–১৫ কে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন। ঝিংলজায় অবস্থিত আইকনিক রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনের টিকেট কোথায় যাচ্ছে, কোনো সিন্ডিকেটের কবলে কালোবাজারি হচ্ছে কি না, কারা জড়িত এসব তদন্ত করতে বলা হয়েছে। ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদনটি আদালতে জমা দিতে বলা হয়েছে। ১১ নভেম্বর কক্সবাজারে স্বপ্নের ট্রেনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে বাণিজ্যিকভাবে যাত্রীবাহী কক্সবাজার এক্সপ্রেস চলাচল শুরু করে ১ ডিসেম্বর থেকে।

এই ট্রেনের টিকেট নিয়ে কক্সবাজারে শুরু হয়েছে হইচই। অভিযোগ ওঠে, ট্রেনের টিকেটের একটি বড় অংশই কালোবাজারি ও সিন্ডিকেটের দখলে চলে যায়। কাউন্টারে গিয়ে টিকেট পাওয়া যায় না। কিন্তু অতিরিক্ত দেড় থেকে দুইশ টাকা দিলে বাইরে টিকেট মিলছে অহরহ। অনলাইনেও পাওয়া দুষ্কর। এ নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক স্বপ্রণোদিত হয়ে তদন্তের আদেশ দেন।

মামলায় বলা হয়েছে, সমপ্রতি সংবাদমাধ্যমে কক্সবাজারের ট্রেনের টিকেট কালোবাজারি হচ্ছে বলে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদে বলা হচ্ছে, একটি সিন্ডিকেট এসব টিকেট বাগিয়ে নেওয়ায় সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়ছেন। যা ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ১৯০ (১) (সি) ধারায় আমলে নেওয়ার প্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে শ্রীজ্ঞান তঞ্চঙ্গ্যার নজরে আসেন। এটি ১৯৭৪ এর ২৫ ধারায় অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে মর্মে সন্দেহ তৈরি হওয়ায় তদন্ত জরুরি।

এ ব্যাপারে র‌্যাব–১৫ কক্সবাজার কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী বলেন, আদালতের আদেশটি এখনও হাতে পৌঁছেনি। পৌঁছার পর যথাযথভাবে তদন্ত করবে র‌্যাব।

পাঠকের মতামত: