ঢাকা,সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

কক্সবাজারে ভোটারের তথ্য সংগ্রহে ৯৪৭ কর্মকর্তা মাঠে

নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার ;:

# কক্সবাজারে ভোটার হবে ১,১৩,৭৮৯ জন
# রোহিঙ্গা নিয়ে সতর্ক প্রশাসন
# ৮ উপজেলাকেই বিশেষ এলাকা ঘোষণা

জেলায় ২ ধাপের প্রথম ধাপে চলছে ছবিসহ ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম। ২০০৭ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে যাদের জন্ম-তারা এবার নিবন্ধনের সুযোগ পাচ্ছে। ইতোমধ্যে জেলায় ২ দফার তথ্য সংগ্রহের জন্য তথ্যসংগ্রহকারী ও সুপারভাইজার নিয়োগ দিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছে জেলা নির্বাচন অফিস। এবার ৯৪৭ জন কর্মকর্তা ২০ মে থেকে মাঠে নেমেছেন। এরমধ্যে ৭৭৫ জন তথ্য সংগ্রহকারি এবং ১৭২ জন সুপারভাইজার। তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করেছেন।

জেলা নির্বাচন অফিসার এসএম শাহাদাৎ হোসেন প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ি- সম্ভাব্য ৭.৫ শতাংশ হারে ভোটার করা হবে তাদের সংখ্যা, উপজেলা ভিত্তিক তথ্য সংগ্রহকারি ও সুপারভাইজারদের পরিসংখ্যান হলো কক্সবাজার সদরে ভোটার করা হবে ২১,৪০৯ জন, তথ্য সংগ্রকারি ১৪৫ জন, সুপারভাইজার ২৯ জন। চকরিয়াতে ২৩,৪০২ জন, তথ্য সংগ্রহকারি ১৫০ জন, সুপারভাইজার ১৫ জন। পেকুয়ায় ৯০৪১ জনের তথ্য সংগ্রহ করবে ৬০জন তথ্য সংগ্রকারি ও সুপারভাইজার ১৩ জন। রামুতে ১৩,৪০০ জনের তথ্য সংগ্রহ করবে ১১৯ জন তথ্যসংগ্রহকারি ও ২৫ জন সুপারভাইজার। মহেশখালীতে ১৭,৬৭৭ জনের জন্য তথ্য সংগ্রহকারি১১০ জন এবং সুপারভাইজার ২২জন।কুতুবদিয়ায় ৬৬৪৭ জনের জন্য তথ্যসংগ্রকারি ৫৪ জন এবং সুপারভাইজার ১৫ জন। টেকনাফে ১১,৭৯০ জনের জন্য তথ্য সংগ্রহকারি ৭৫ জন এবং সুপারভাইাজার ১৮ জন। উখিয়ায় ১০,৪২৩ জনের জন্য তথ্য সংগ্রহকারি ৬২ জন এবং সুপারভাইজার ১৫ জন মাঠে রয়েছে।

জেলায় দুই ধাপে ৪ উপজেলা করে এ কার্যক্রম চলবে। প্রথম ধাপে মহেশখালী, কুতুবদিয়া, চকরিয়া ও রামু উপজেলার ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম ৯ জুন পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহ করা হবে। দ্বিতীয় ধাপে কক্সবাজার সদর, টেকনাফ, উখিয়া ও পেকুয়া উপজেলার ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম ১ আগস্ট থেকে ২২ আগস্ট পর্যন্ত নতুন ভোটারের তথ্য সংগ্রহ, মৃত ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ ও ভোটার স্থানান্তরের কাজ চলবে।

জেলা নির্বাচন অফিসার এস.এম শাহাদাত হোসেন দৈনিক চকরিয়া নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এবার যাদের ২০০৫ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে যাদের জন্ম তারা ২০২৩ সালের হালনাগাদ ভোটার তালিকায় অর্ন্তভুক্ত হবেন এবং দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন। মহেশখালী উপজেলায় সংগৃহীত তথ্য বিশেষ কমিটি কর্তৃক ১৫ জুন থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত যাচাই-বাছাই শেষ করে আগামী ২১ জুলাই থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রেজিষ্ট্রেশন কেন্দ্রে ছবিসহ নিবন্ধন কার্যক্রমের মধ্যদিয়ে শেষ হবে।

কুতুবদিয়া উপজেলায় সংগৃহীত তথ্য বিশেষ কমিটি কর্তৃক ১৫ জুন থেকে ২৮ জুনের মধ্যে যাচাই-বাছাই শেষ করে আগামী ২৩ জুন থেকে ১৮ জুলাই পর্যন্ত । চকরিয়া উপজেলায় সংগৃহীত তথ্য বিশেষ কমিটি কর্তৃক ১৫ জুন জুলাই থেকে ৬ আগস্ট পর্যন্ত যাচাই-বাছাই শেষ করে আগামী ২৩ জুন থেকে ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রেজিষ্ট্রেশন কেন্দ্রে ছবিসহ নিবন্ধন কার্যক্রমের মধ্যদিয়ে শেষ হবে।

এছাড়া রামু উপজেলায় সংগৃহীত তথ্য বিশেষ কমিটি কর্তৃক ১৫ জুন থেকে ১৭ জুলাই পর্যনÍ যাচাই-বাছাই শেষ করে আগামী ২৩ জুন থেকে ১৯ আগষ্ট পর্যন্ত রেজিষ্ট্রেশন কেন্দ্রে ছবিসহ নিবন্ধন কার্যক্রমের মধ্যদিয়ে জেলার প্রথম ধাপের ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমের প্রথম ধাপ শেষ হবে।

এদিকে, দ্বিতীয় ধাপে কক্সবাজার সদর উপজেলায় সংগৃহীত তথ্য বিশেষ কমিটি কর্তৃক ২৫ আগস্ট থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত যাচাই-বাছাই শেষ করে আগামী ৬ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ অক্টোবর রেজিষ্ট্রেশন কেন্দ্রে ছবিসহ নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ হবে।

পেকুয়া সংগৃহীত তথ্য বিশেষ কমিটি কর্তৃক ২৫ আগস্ট থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যাচাই-বাছাই শেষ করে আগামী ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পযন্ত রেজিষ্ট্রেশন কেন্দ্রে ছবিসহ নিবন্ধন শেষ হবে।

উখিয়া উপজেলায় সংগ ২৫ আগস্ট থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যাচাই-বাছাই শেষ করে , ৮ নভেম্বর থেকে ১৯ নভেম্বর রেজিষ্ট্রেশন কেন্দ্রে ছবিসহ নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ হবে।

ভোটার তালিকায় মায়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের অন্তর্ভুক্তি ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। স¤প্রতি তাদের জন্য একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে ইসি। প্রজ্ঞাপনে নির্দেশনা দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতেও বলা হয়েছে। নির্দেশনার মধ্যে অন্যতম হলো বিশেষ এলাকা চিহ্নিত করে রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকাভুক্তি যেন কোনক্রমেই না হয় সেদিকে সচেতন হওয়া। রোহিঙ্গা অধ্যুষিত ৩০টি বিশেষ উপজেলা হলো কক্সবাজার জেলার কক্সবাজার সদর, চকোরিয়া, টেকনাফ, রামু, পেকুয়া, উখিয়া, মহেশখালী ও কুতুবদিয়া।

এছাড়া বান্দরবান জেলার বান্দরবান সদর, রুমা, থানচি, বোয়াংছড়ি, আলীকদম, লামা ও নাইক্ষ্যংছড়ি। রাঙামাটির জেলার রাঙ্গামাটি সদর, লংগদু, রাজস্থলী, বিলাইছড়ি, কাপ্তাই, বাঘাইছড়ি, জুরাছড়ি ও বরকল। চট্টগ্রামের জেলার বোয়ালখালী, পটিয়া, আনোয়ারা, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, লোহাগড়া ও বাঁশখালী।

পাঠকের মতামত: