ঢাকা,রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে ভ্রমণে এসে ট্যুরিস্ট পুলিশের হয়রানির শিকার পর্যটকরা

সুজাউদ্দিন রুবেল :   পর্যটন মৌসুমে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে ভ্রমণে এসে নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন পর্যটকরা। তাদের অভিযোগ, ট্যুরিস্ট পুলিশের অসদচারণের পাশাপাশি নিরাপত্তাহীনতাসহ নানা কারণে কক্সবাজারে ভ্রমণে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন না তারা। পর্যটন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পর্যটকদের সেবায় যারা নিয়োজিত রয়েছে; তাদের দ্বারা যদি হয়রানির শিকার হয় তাহলে কক্সবাজার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবেন পর্যটকরা। তবে পুলিশের দাবি, যারা অসদচারণ করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিতে কাজ করছে।

পর্যটন মৌসুম শুরু হওয়ায় ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কক্সবাজারে ছুটে আসছেন ভ্রমণ পিপাসুরা। যান্ত্রিকতা পেরিয়ে সমুদ্র সৈকতে ভিন্নতার খোঁজে প্রতিদিনই পর্যটকের পদভারে মুখরিত থাকছে সৈকতের সবক’টি পয়েন্ট। পর্যটকরা সৈকতে বিভিন্ন পয়েন্টে আনন্দ, হৈ-হুল্লোড়ের পাশাপাশি সমুদ্রস্নানে মেতে উঠছেন নিজের মতো।

কিন্তু তাদের আনন্দে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন পর্যটকরা। তাদের অভিযোগ, সৈকতের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশের কার্যক্রম পরিচালিত হলেও তাদের দেখা মিলে খুবই কম। আর যাদের দেখা মিলে তারাও করছেন অসদচারণ।

পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশের যাত্রা শুরু হলেও তারা কার্যত পর্যটকবান্ধব হয়ে ওঠেনি। এতে পর্যটকদের মাঝে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বলে মনে করছেন হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের এ নেতা।

হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মুখপাত্র মো. সাখাওয়াত হোসাইন বলেন, ‘পর্যটকদের সেবা করার জন্য তাদের নিযুক্ত করা হয়েছে, কিন্তু তাদের দ্বারাই যদি পর্যটকেরা হেনস্থা হয় তাহলে কিভাবে হবে?’

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল বলেন, ‘টুরিস্ট পুলিশের বিচ্ছিন্ন ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে পর্যটকবান্ধব পুলিশিং ব্যবস্থা এবং পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় কাজ করা হচ্ছে।’

হোটেল মালিকদের দেয়া তথ্য মতে, পর্যটন মৌসুমে গড়ে প্রতিদিন এক লাখ পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণ করছেন। আর ছুটির দিন থাকলে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩ লাখে।

পাঠকের মতামত: