সেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও (কক্সবাজার ) প্রতিনিধি ::
কক্সবাজার সদর উপজেলার ইসলামাবাদের বাঁশঘাটা যোগাযোগ ব্রীজটি দীর্ঘদিনেও নির্মাণ না হওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন বৃহত্তর এলাকাবাসী। ভাঙ্গনের বহুমাস পার হলেও কর্তৃপক্ষের এখনো টনক নড়েনি। নানা কাজকর্মে দৈনিক হাজার হাজার লোকজন চলাফেরায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
জানা যায়, বিগত বছর বন্যার সময় ইসলামাবাদের বাঁশঘাটা ফুট ব্রীজটি মাঝখানে ধসে পড়ে। সে থেকে দীর্ঘদিন পর্যন্ত বিশাল এলাকার লোকজন নানা কষ্টের বিনিময়ে ঈদগাঁও বাসস্টেশন হয়ে যাতায়াত করে চলছে। মাঝপথে বাঁশঘাটা ফুট ব্রীজের নিচে নৌকা দিয়েও বেশ কিছুদিন অসহায় লোকজন নদী পারাপার হতে দেখা যায়। দুর্ভোগ আর দূর্গতিতে নিপতিত ছিল বৃহত্তর এলাকার লোকজন। পরে এলাকাবাসীর সহায়তায় বাঁশঘাটা ব্রীজটি গাছ দিয়ে কোন রকম যাতায়াতের সুব্যবস্থা করে।
জানা যায়, এ নড়বড়ে ব্রীজ দিয়ে ইসলামপুর, পোকখালী, গোমাতলী, ইসলামাবাদের পাহাশিয়াখালী, বোয়ালখালী, ইউছুপেরখীল, টেকপাড়া, আউলিয়াবাদ, খোদাইবাড়ীর একাংশ, হরিপুরসহ বাঁশঘাটার আশপাশ এলাকার লোকজন ও পোকখালীর গোমাতলীসহ বিভিন্ন এলাকার লোকজন প্রতিনিয়ত কোন না কোন কাজকর্মে জেলা সদরের ঐতিহ্যবাহী বাণিজ্যিক কেন্দ্র ঈদগাঁও বাজারমুখী হতে দেখা যায়। অথচ এ বাজারে আসতে অসহায় লোকজনকে পোহাতে হচ্ছে নানা দূর্ভোগ আর দূর্গতি।
এছাড়াও ঈদগাহ জাহানারা ইসলাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও লুৎফুল কবির আদর্শ বালিকা মাদ্রাসার অসংখ্য শিক্ষার্থী বর্তমানে লন্ডভন্ড এ সাঁকোর উপর দিয়ে চরম ঝুঁকি নিয়ে তাদের প্রিয় শিক্ষাঙ্গনে আসতে দেখা যায়। এমনকি বিশাল এলাকার দৈনিক ১০থেকে ১৫ হাজার লোকজন বিভিন্ন কাজকর্মের লক্ষ্যে বাজারে যাতায়াত করতে হচ্ছে। তার পাশাপাশি ফুট ব্রীজটি ছোট আকারে হওয়ায় যানবাহন চলাচলে অক্ষম ছিল। সে থেকে এ পর্যন্ত নানা লোকজন কিংবা অসুস্থ রোগীকে নিয়েও এ ব্রীজের উপর দিয়ে ছোট যানবাহন চলাচল করতে না পারায় মহাকষ্টে দিন পার করছে। তবে এলাকার একাধিক লোকজন ব্রীজটি ভেঙ্গে নতুন রূপে বড় করে নির্মাণ করার আহবান জানান ।
অন্যদিকে আবুল হোছন, ছফুর আলম, শের আলীসহ বেশ ক’জনের মতে, এ ব্রীজটি বড় আকারে করে নির্মাণ করলে বিশাল এলাকার লোকজনের যাতায়াতের পাশাপাশি যানবাহন চলাচলে সুযোগ সৃষ্টি হবে। তাহলেই লোকজনের ভোগান্তি কমবে। আবার কয়েক শিক্ষার্থীর মতে, দীর্ঘদিন ধরে অযতœ-অবহেলায় পড়ে থাকা এ যাতায়াত ব্রীজটি নিয়ে নানা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ বৃহত্তর এলাকার হাজার হাজার লোকজন চলাচলের ক্ষেত্রে দুর্ভোগ আর দুর্গতির শিকার হচ্ছে।
পাঠকের মতামত: