ঢাকা,মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

উত্তাল সাগরে নামতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে পর্যটকদের

কক্সবাজার প্রতিনিধি :: বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘুর্ণিঝড় ‘অশনি’র প্রভাবে কক্সবাজারে সাগর উত্তাল রয়েছে। স্বাভাবিকের চেয়ে ২-৩ ফুট উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে সাগরের পানি। অন্য দিনের তুলনায় সমুদ্র সৈকতে কমেছে মানুষের উপস্থিতি। তবে হাল্কা বৃষ্টি ও সতর্কতা সংকেত উপেক্ষা করে সাগরে নামছেন কিছু পর্যটক।

ট্যুরিস্ট পুলিশ ও লাইফ গার্ড কমীরা বলছেন, সমুদ্রে নামতে চাওয়া পর্যটকদের নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। বৈরি আবহাওয়া ও সাগর উত্তাল থাকায় হাঁটু পানির গভীরে সাগরে না নামার জন্য হ্যান্ডমাইকে বারবার সতর্ক করছেন লাইফ গার্ড ও কক্সবাজার বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির কর্মীরা। যারা সৈকতের ছাতা-চেয়ারে বসে বা বালিয়াড়িতে দাঁড়িয়ে সমুদ্র দেখছেন তাদের মুখে অতৃপ্তির সুর।
সৈকতে দায়িত্বরত সী-সেইফ লাইফ গার্ড জয়নাল আবেদীন বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তায় তারা সতর্ক দৃষ্টি রেখেছেন। হাঁটু পানির গভীরে সাগরে না নামার জন্য হ্যান্ডমাইকে বারবার সতর্ক করা হলেও অনেক পর্যটক তা মানছেন না।
এদিকে বৈরি আবহাওয়ায় সৈকত ভ্রমনে আসা পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নানা পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের সহকারী পুলিশ সুপার চৌধুরী মিজানুজ্জামান।

তিনি জানান, পর্যটকদের সাগরে নামতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। হোটেলগুলোতেও বলে দেওয়া হয়েছে তারা যেন পর্যটকদের এ বিষয়ে বুঝান। এছাড়াও সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে ট্যুরিস্ট পুলিশ সদস্যরা পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছেন।
ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোতে ২ নম্বর দূরবর্তী হুশিয়ারি সংকেত জারি রয়েছে। অনেক পর্যটক এরই মধ্যে কক্সবাজার ছাড়তে শুরু করেছেন। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জেলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৫৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্র। ঘুর্ণিঝড় প্রবল হলে এইসব আশ্রয়কেন্দ্রে উপকূলের ৫ লক্ষাধিক মানুষকে নিরাপদে আশ্রয় দেওয়া সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।

পাঠকের মতামত: