উখিয়ার থিমছড়ি খালের উপর রাবার ড্যাম প্রকল্পের নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন হওয়ায় স্থানীয় অধিবাসীদের মাঝে আনন্দ উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে। রাবার ড্যামের পানি দিয়ে শুস্কমৌসুমে অনাবাদী জমি চাষাবাদের আওতায় আসায় প্রাণ ফিরে পেয়েছে কৃষকরা।
উখিয়া উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা যায়, অংশগ্রহণমূলক ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ সেক্টর প্রকল্পের আওতায় রতœাপালং ইউনিয়নের থিমছড়ি খালে রাবার ড্যাম স্থাপন করে। বাংলাদেশ সরকার ও এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংকের যৌথ অর্থায়নে প্রায় ৪ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয় বরাদ্দে উক্ত প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এসএস ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড কন্ট্রাকশন লিঃ রাবার ড্যাম স্থাপন কাজ নির্মাণ করেন।
থিমছড়ি পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লিঃ এর সভাপতি মেম্বার মাহবুবুল আলম চৌধুরী জানান, সেচ ব্যবস্থা না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে বৃহত্তর ভালুকিয়া এলাকায় শত শত একর জমি শুস্কমৌসুমে অনাবাদী অবস্থায় পড়ে থাকছিল। সরকার কৃষকদের স্বার্থ বিবেচনা করে রাবার ড্যাম স্থাপনের মাধ্যমে সেচ ব্যবস্থা নিশ্চিত করায় অনাবাদী জমি চাষাবাদ ও সবজি ক্ষেতের আওতায় এসেছে। এর ফলে কয়েক শতাধীক কৃষক পরিবারের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে। রতœাপালং ইউপি চেয়ারম্যান খাইরুল আলম চৌধুরীর মতে রাবার ড্যাম প্রকল্প সফল ভাবে নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন হওয়ায় চাষীরা ফলন উৎপাদনের মাধ্যমে খাদ্যের ঘাটটি পূরণ করতে সক্ষম হবে।
উখিয়া উপজেলা প্রকৌশলী সুমন মাহমুদ বলেন, সরকার কৃষি ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিয়ে রাবার ড্যাম প্রকল্প হাতে নিয়েছে। থিমছড়ি খালে রাবার ড্যাম স্থাপন ও নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ায় প্রায় ৩শত একর জমি চাষাবাদের আওতায় আসতে সক্ষম হয়েছে। উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো: সোহরাব আলী জানান, উক্ত প্রকল্পের অফিস গৃহ, পাম্প হাউজ ও গার্ডসেড নির্মাণের জন্য রতœাপালং ইউপি চেয়ারম্যান খাইরুল আলম চৌধুরী ও মেম্বার কামাল উদ্দিন জমি দান করায় এসব স্থাপনা নির্মাণ করা সম্ভব হয়েছে।
স্থানীয় কৃষক নুর মোহাম্মদ (৫৭) ও সৈয়দ করিম (৫২) আনন্দ উচ্ছ্বাস কন্ঠে বলেন, খালের উপর রাবার ড্যাম স্থাপন করায় আমরা চলতি শুস্ক মৌসুমে শত শত একর জমি চাষাবাদের পাশা-পাশি আলু, বেগুন, মরিচ, সিম ও শাক সবজির চাষ করার সুযোগ পেয়েছি।
পাঠকের মতামত: