ঢাকা,বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

উখিয়ায় ভোটার তালিকায় রোহিঙ্গা নারীর নাম

কায়সার হামিদ মানিক, উখিয়া ::
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে কুতুপালং রেজিষ্ট্রার্ড ক্যাম্পে আশ্রিত এক রোহিঙ্গা নারী ভূঁয়া কাগজপত্র সৃজন করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে দালালের মাধ্যমে ২০১৮ সালে ভোটার হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মোহাম্মদ শফিরবিল এলাকায়। গত ৩১/০১/২০১৮ইং তারিখে সম্পুরক ভোটার তালিকা ওই রোহিঙ্গা নারীর নাম দেখলে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। ভোটার হওয়া রোহিঙ্গা নারীর নাম হাফেজা খাতুন। এনআইডি নং-১৯৯৪২২১৯৪৩১০০০৬১৬, পিতার নাম দেওয়া হয়েছে বশির আহমদ, গ্রাম-মোঃ শফিরবিল, জন্ম তারিখ-৭ মে ১৯৯৪।
অভিযোগ উঠেছে, এ উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মোঃ শফিরবিল এলাকার বশির আহমদের ৪ ছেলে ২ মেয়ের মধ্যে হাফেজা খাতুন নামের কোন মেয়ে নেই। মরিয়ম খাতুন আর মাহমুদা বেগম এই দুইজন প্রকৃত বশির আহমদের মেয়ে। কিন্তু দালালেরা রোহিঙ্গা এই নারীর নিকট থেকে অবৈধ সুবিধা নিয়ে ভোটার হওয়ার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করে এবং ভোটার তালিকায় নাম অর্ন্তভুক্তের সুযোগ করে দেন।
ভোটার তালিকায় রোহিঙ্গা নারীর নাম দেখে স্থানীয় ছালামত উল্লাহ নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছে।
অভিযোগকারী ছালামত উল্লাহ বলেন, ওই রোহিঙ্গা নারী এখনও কুতুপালংয়ে অবস্থান করে। মাঝে-মধ্যে জালিয়া পালংয়ে উক্ত বশির আহমদের ছেলে মোঃ হাসানের বাড়ীতে যাওয়া-আসা করে থাকে। সে আরো বলেন, ওই রোহিঙ্গা নারীর অঢেল টাকা-পয়সা রয়েছে, এই টাকার লোভে পড়ে হাসান তাকে আশ্রয়-পশ্রয় দিয়ে থাকে।
এ বিষয়ে জানার জন্য জালিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন চৌধুরীর নিকট একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
উখিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বেদারুল ইসলাম বলেন, কোন রোহিঙ্গা নাগরিক ভোটার তালিকা নাম অর্ন্তভুক্ত হলে অবশ্যই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এতে কোন সন্দেহ নেই। তবে আমার একক সিদ্ধান্তে নয়, উপজেলা কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতেই তা করা হবে।

পাঠকের মতামত: