ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

উখিয়ায় পল্লী বিদ্যুতের ভয়াবহ লোড শেডিং,বিক্ষোব্দ হয়ে উঠেছে গ্রাহকরা

Electricity-19-295x160ফারুক আহমদ, উখিয়া ॥ ।

উখিয়া পল্লী বিদ্যুৎতের লোড শেডিং অতীতের সকল রেকর্ড অতিক্রম করেছে। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ব্যাপক অনিয়ম ও দায়িত্বহীনতায় নজির বিহীন বিদ্যুৎ না থাকার কারণে বুরো চাষাবাদ মারত্মক ব্যহত সহ ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। পাশা-পাশি হাজার হাজার শিক্ষার্থীর লেখা পড়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎতের যাতা কল থেকে বাঁচতে সচেতন নাগরিক সমাজ ও দোকান মালিক সমিতি মানবন্ধন সহ বৃহত্তর কর্মসূচী ঘোষণা দিয়েছে।

বুরো মৌসুমে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য প্রধান মন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সু-নির্দিষ্ট ঘোষণা রয়েছে। কিন্তু দু:খজনক হলেও সত্য গরম মৌসুম আসার সাথে সাথেই বিদ্যুৎতের লোড শেডিং দিন দিন তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। একবার বিদ্যুৎ গেলে ২/৩ ঘন্টার পর আসলেও তাও ২০/২৫মিনিট পর চলে যায়। এভাবে ২৪ ঘন্টায় ৪৮ বার বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করে।

চাষীরা জানান, বিদ্যুৎ চালিত উখিয়ায় প্রায় ১২শ অধিক সেচ পাম্প রয়েছে। এসব সেচ পাম্পের আওতায় ৬ হাজার ৩শ ৪০ হেক্টর জমিতে বুরো চাষের আবাদ করা হয়। কিন্তু যে হারে বিদ্যুৎতের লোড শেডিং শুরু হয়েছে তাতে চাষাবাদ অনিশ্চিত দেখা দেয়। অনেকের আশাংকা এভাবে চলতে থাকলে ফলন উৎপাদন লক্ষ্য মাত্রা অর্জিত হবে না ।

কোটবাজার ভালুকিয়া সড়কের ব্যবসায়ী রফিক আহমদ সওদাগর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, জেলার শুধূ মাত্র উখিয়া উপজেলায় মাত্রাতিরিক্ত লোড শেডিং হচ্ছে। ২৪ ঘন্টার মধ্যে গড়ে ২ থেকে ৩ ঘন্টা বিদ্যুৎ পাওয়া যায়। এভাবে চললে বুরো চাষাবাদ সহ ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে।

কোটবাজার দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন বলেন, বর্তমানে যে হারে লোড শেডিং হচ্ছে অতীতে এ ধরনের আর দেখা যায়নি। উখিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দায়িত্বহীনতা ও খামখেয়ালির কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ ভেঙ্গে পড়েছে। নজিরবিহীন লোড শেডিং শুরু হওয়ায় ব্যবসা বাণিজ্য থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীদের লেখা পড়া মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।

সচেতন অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, আগামী মাসে উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। বিদ্যুৎতের আসা-যাওয়ার যন্ত্রনায় শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার প্রস্তুুতি নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। শিক্ষার্থীরা জানান, ২৫ মিনিট বিদ্যুৎ থাকলেও হঠাৎ চলে যায়। আবার ৩ থেকে ৪ ঘন্টার পর আসতে না আসতে আবারও চলে যায়। এভাবে বিদ্যুৎতের যন্ত্রণায় স্কুল কলেজ, মাদ্রাসা ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার শিক্ষার্থীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।

এদিকে সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ ও কোটবাজার দোকান মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, নিরিবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ ও মাত্রা অতিরিক্ত লোড শেডিং বন্ধের দাবীতে মানববন্ধন সহ উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট স্মারক লিপি পেশ করার কর্মসূচী ঘোষণা করেছেন।

##

পাঠকের মতামত: