ঢাকা,শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

উখিয়ার জালিয়াপালংয়ে একটি কালভার্টের অভাবে গ্রামবাসীদের দুর্ভোগ চরমে

aaওমর ফারুক ইমরান, উখিয়া ::

উখিয়ার জালিয়া পালং ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকা গুলোতে এখনো পরিকল্পিত উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। বঙ্গোপসাগর তীরবর্তী এ ইউনিয়নে আন্ত উপজেলা সংযোগ যাতায়াতের উন্নয়ন সাধিত হয়েছে উল্লেখ যোগ্য ভাবে। তবে গ্রামীন রাস্তা, পথ, ছড়ার উপর কালভার্ট নির্মান ইত্যাদি পরিকল্পিত ভাবে উন্নয়ন সাধিত না হওয়ায় গ্রামবাসীদের দূর্ভোগ মাথায় নিয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে।

বঙ্গোপসাগর তীরবর্তী উখিয়া উপকূলীয় জালিয়া পালং ইউনিয়নের দৈর্ঘ্য প্রায় ৩০ কিলোমিটার। উখিয়ার রেজু খাল থেকে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর সীমানা উখিয়ার মনখালী খাল পর্যন্ত জালিয়া পালং ইউনিয়নের অবস্থান। ইতিমধ্যে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর উখিয়ার ভালুকিয়া-সোনারপাড়া-ইনানী-মনখালী পর্যন্ত সী-বিচ সড়কের দীর্ঘ ৩৭ কিলোমিটার ফিডার রোড নির্মান করেছে। যেটি আন্তঃ উপজেলা ও ইউনিয়ন সংযোগ সড়ক হিসেবে পরিচিত। এ ইউনিয়নের রেজু খাল থেকে মনখালী পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার মেরিন ড্রাইভ রোড নির্মান কাজ সম্পন্নের পথে এটি কক্সবাজারের কলাতলী থেকে উখিয়ার ইনানী হয়ে টেকনাফ সদর পর্যন্ত নির্মানের প্রক্রিয়া বাস্তবায়নাধীন। এ সড়ককে কেন্দ্র করে উভয় পাশে সাধিত হচ্ছে ব্যক্তি ও বেসরকারী অবকাঠামো উন্নয়ন যজ্ঞ। তবে এত দৃশ্যনীয় উন্নয়ন সাধিত হলেও বরাবরের ন্যায় বাতির নিচে অন্ধকার থেকে যাচ্ছে বলে স্থানী গ্রামবাসীদের অভিযোগ।

জালিয়া পালং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসাইন চৌধুরী জানান, গত মেয়াদে তার আমলে অবহেলিত এ ইউনিয়নের গুরুত্ব পূর্ণ গ্রামীন পথ, ঘাট, রাস্তা ও অন্যান্য ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করা হয়েছে। তবুও সরকারী বরাদ্দের সীমাবদ্ধতার কারণে অনেক জন গুরুত্বপর্ণ উন্নয়ন ইচ্ছা থাকলেও বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। এ ইউনিয়নের সোনাইছড়ি গ্রামের ডাকুয়ার প্যারা এলাকার আক্তার মিয়াসহ অনেকে জানান, রেজু খাল পাড় সংলগ্ন পূর্ব-পশ্চিম সোনাইছড়ি, পূর্ব সোনার পাড়া, বাদামতলীসহ কয়েকটি গ্রামের লোকজন দীর্ঘ দিন ধরে নিজ উদ্যেগে গ্রামীণ পথ-ঘাট মেরামত, সংস্কার করে যাতায়াত করে আসছে। শুষ্ক মৌসুমে কোন রকমে চলাচল করা গেলেও বর্ষা কালে এসব পথ ঘাটের বেহাল অবস্থা হয়। কালভার্টসহ অন্যান্য সংস্কার না হওয়ায় এসময় ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুল যাতায়াত প্রায় বন্ধ থাকে। জালিয়া পালং ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন চৌধুরী বলেন, আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর এপর্যন্ত মেম্বারদের নিয়ে এলাকার জনগুরুত্ব পূর্ণ রাস্তাঘাট সংস্কার নির্মান ও কালভার্ট, পুল নির্মানের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সরকারী বরাদ্দ প্রাপ্তি সাপেক্ষে এসব উন্নয়ন প্রকল্প গুলো বাস্তবায়ন করা হবে।

#############

উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬০ বছর পূর্তি প্রস্তুতি সভা সম্পন্ন

ওমর ফারুক ইমরান, উখিয়া :::

উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬০ বছর পূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষ্যে এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল শূক্রবার বিকেলে উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ও উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তণ ছাত্র হামিদুল হক চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার সরকারি কলেজের পদার্থ বিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক মুফিদুল আলম, নুরুল ইসলাম চৌধুরী টেকনিক্যাল বিএম স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মিলন বড়–য়া, উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হোসেন সিরাজী, কাজী হেলাল উদ্দিন, অধ্যাপক নুরুল আমিন সিকদার ভুট্টো, মাষ্টার জাহেদুল ইসলাম, সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম, মাষ্টার শাহ আলম, মাষ্টার দিদারুল আলম, আবদুল্লাহ আল মামুন শাহিন, মাষ্টার মুজাম্মেল হক আজাদ, ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, উখিয়া সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাষ্টার হারুনুর রশিদ, ফরিদুল আলম কন্ট্রাক্টর, শিলানন্দ বড়–য়া টিটু, মাষ্টার বদিউর রহমান, জসিম উদ্দিন, এমএ মনজুর, নাছির উদ্দিন, স্বপন বড়–য়া, রূপন বড়–য়া, জিয়াউল হক আজাদ, ফরিদুল আলম, আবদুল করিম, ফয়সাল সিকদার টিটু, সুবাস বড়–য়া, মোঃ শাহ জাহান, বেলাল উদ্দিন, গাজী ওমর ফারুক, মকবুল হোসেন মিথুন, রেজাউল করিম আজাদ, জুলহাস উদ্দিন টিপু, সাইলা শারমিন রণী ও রিদুয়ান। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলোয়াত করেন ৯৫ ব্যাচের ছাত্র ও এনজিও কর্মী জিয়াউল হক আজাদ। পরে প্রাণবন্ত উন্মুক্ত আলোচনায় অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরীকে আহবায়ক, কাজী হেলালকে সদস্য সচিব করে ৭ সদস্য বিশিষ্ট উখিয়া আহবায়ক কমিটি গঠিত হয়।

পাঠকের মতামত: