ঢাকা,শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

ঈদগাঁও ভুমি অফিসে বদলী হতে লাখ টাকার মিশন !

cnবিশেষ প্রতিবেদক ::

কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁও ইউনিয়ন ভূমি অফিসে বদলী হয়ে আসার জন্য লাখ টাকার মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছেন বহুল আলোচিত ছৈয়দ নূর। এতে আতংক সৃষ্টি হয়েছে ভূমি অফিসের সেবাগ্রহীতা ও সর্বস্তরের জনগণের মধ্যে। বর্তমানে রামু (সদর) ইউনিয়ন ভূমি অফিসে এমএলএসএস পদে কর্মরত ছৈয়দ নূর ইতিপূর্বে ইদগাঁওতে কর্মরত থাকলেও রকমারী অভিযোগে তাকে রামুতে শাস্তিমূলক বদলী করা হয়। ঈদগাঁওতে থাকালালীন বিভিন্ন অনিয়ম-দূর্ণীতি, নামজারী ও খতিয়ান বাণিজ্য, উপরস্হ কর্মকর্তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে টাকা আদায়, উমেদার নিয়োগ ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র গায়েব করার অভিযোগ উঠে তার বিরূদ্ধে। এসময় তিনি বেনামে অনেক খাসজমি বন্দোবস্তী করে নেন। তার মেয়েজামাই শুক্কুরকে উমেদার হিসাবে  ঈদগাঁও ভূমি অফিসে প্রতিষ্ঠিত করেন ছৈয়দ নূর। সেই থেকে অত্র অফিসের অঘোষিত নিয়ন্ত্রক বনে গেছে উমেদার শুক্কুর। জালালাবাদ খামার পাড়ার বাসিন্দা ছৈয়দ নুর খামার পাড়া জামে মসজিদ সংলগ্ন স্হানে তার দুই স্ত্রীর নামে এককড়া জমি কিনে দূর্নীতির মাধ্যমে দশকড়া নামজারী করে নেন। এ নিয়ে তার বিরূদ্ধে আদালতে মামলা বিচারাধীন রয়েছে বলে জানান ভূক্তভোগী নাসিম উদ্দীন সিকদার। এ ছাড়াও ভূমিদস্যুতার অভিযোগে ২০১৪ সালে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব)  বরাবরে ছৈয়দ নূরের বিরূদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন একই এলাকার ইমাম শরীফ লেদু। ভূমি অফিসে চাকরীর সুবাদে সেবাগ্রহীতাসহ বিভিন্ন শ্রেণীর জনগনকে হয়রানি করেন তিনি।  একাধিক সূত্রে প্রকাশ, দক্ষিণ চট্টগ্রামের বৃহত্তম বাণিজ্যিক এলাকা ঈদগাঁও বাজারে অবস্হিত “টাকার খনি” খ্যাত ঈদগাঁও ভূমি অফিসে ফিরে আসার জন্য লাখ টাকার মিশনে নেমেছেন পিয়ন ছৈয়দ নূর। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের রাজস্ব শাখার অফিস সহকারী মোঃ শরীফের সাথে এ ব্যাপারে চুক্তি ও লেনদেনও হয়েছে বলে জানা গেছে। উপরোক্ত ব্যাপারে কোন কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করে মোঃ শরীফ বলেন, “সাংবাদিকদের তথ্য দিতে আমি বাধ্য নই”। ছৈয়দ নূর ফোন রিসিভ না করায় উপরোক্ত ব্যাপারে বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। ভূমি প্রশাসনের মূর্তিমান অাতংক ছৈয়দ নূরের ঈদগাঁও ভূমি অফিসে ফিরে আসার খবরে আতংক ও ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে সেবাপ্রার্থী ও জনসাধারনের মধ্যে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ঈদগাঁওবাসী।

পাঠকের মতামত: