ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

ঈদগাঁওয়ে কামার পল্লীতে দম ফেলার ফুরসত নেই

সেলিম উদ্দীন, ঈদগাঁও কক্সবাজার প্রতিনিধি:

কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁও বাজারে কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে কামার পল্লীতে বেড়েছে ব্যস্ততা। পবিত্র ঈদুল আযহা তথা কোরবানীর ঈদের আর মাত্র ক’দিন বাকি। ঈদকে কেন্দ্র করে বাজারের ডিসি সড়কের কামার পল্লী ইতোমধ্যে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। মুখর হয়ে উঠেছে কামারশালাগুলো। দম ফেলার ফুরসত নেই তাদের। ঈদুল আযহাকে কেন্দ্র করে এখন ব্যস্ততা আরও বেড়ে গেছে।

বাজারের ডিসি সড়কের প্রবীণ কামার ধনজয় জানান, ৫০ বছর ধরে আমি কামার পেশায় কাজ করি বিভিন্ন সময়ের কোরবানীর ঈদে শত শত গরু, খাসি, মহিষ ইত্যাদি পশু কোরবানী করা হয়ে থাকে। এসব পশু জবাই থেকে শুরু করে রান্নার জন্য চুড়ান্ত কাজ পর্যন্ত দা-বটি, ছুরি-ছোরা, চাপাতি ইত্যাদির ধাতব হাতিয়ার প্রয়োজন হয়। ঈদের বিপুল চাহিদার যোগান দিতে এক মাস আগে থেকেই কাজ শুরু করা হয়েছে।

একই ধরনের কথা বললেন বাস ষ্টেশনের নির্মল ও বাবুল কামার। তারা পুরাদমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। যেন নিশ্বাস ফেলার সময় নেই। ঈদের আর কয়েকদিন বাকি থাকলেও ক্রেতাদের চাহিদা সরবরাহ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ঈদের আগ পর্যন্ত ঠিকমত নাওয়া খাওয়ার সময় পাওয়া যাচ্ছে না। কাঁচা-পাকা লোহা দিয়ে তৈরী করা হয় ধাতব যন্ত্রপাতি। পাকা লোহার দা-ছুরি সবসময়ই বেশি দামে বিক্রি হয়ে থাকে।

কামার সংশ্লিষ্টরা জানান, দা আকৃতি ও লোহা ভেদে ৬০ থেকে ৪৫০ টাকা, ছুরি ৫০ থেকে ২০০ টাকা, ছোরা প্রতিটি সর্বোচ্চ ১০০ টাকা, চাপাতি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা এবং ধার করার স্টিল প্রতিটি ৫০ টাকা করে বেচাকেনা হচ্ছে। পুরানো যন্ত্রপাতি শান দিতে দিতে ৫০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে। কামার পল্লীতে এই ব্যস্ততা ঈদের দিন পর্যন্ত চলবে বলে কামারশালায় কর্মরতরা জানান।

পাঠকের মতামত: