ঢাকা,রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

ঈদগাঁওর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি!

eidguঈদগাঁও প্রতিনিধি :::

কক্সবাজার সদরের বৃহত্তর ঈদগাঁওর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দিন দিন অবনতির দিকে ধাবিত হচ্ছে। এমন কোন দিন নেই, কোন না কোন জায়গায় ঘটছে বড় ধরণের অপরাধ কর্মকান্ড। এতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বৃহত্তর ঈদগাঁওর লাখ লাখ সাধারণ মানুষ। এসব এলাকার জন্য আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের কাজে নিয়োজিত একমাত্র ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রটিও অপরাধীদের আড্ডা খানায় পরিণত হয়েছে। এমন অভিযোগ তুলেছে রাজনীতিবিদ ও সচেতন মানুষ।

সম্প্রতি বৃহত্তর ঈদগাঁওর বিভিন্ন এলাকায় আলোচিত ঘটে যাওয়া ঘটনার মধ্যে রয়েছে ২০১৬ সালের ১১ অক্টোবর জালালাবাদের মোহনবিলায় জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে এলাকার লোকজন মৃত নুরুল হুদার পুত্র জাহেদকে দেশীয় তৈরী বন্দুকসহ আটক করে ঈদগাঁও পুলিশকে খবর দেয়। বিগত ২৩ অক্টোবর পোকখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ নাইক্ষ্যংদিয়ায় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে মোজাম্মেল হকের পুত্র আবদুল কুদ্দুছের কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষনের ঘটনায় পুরো এলাকা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল।

২২ অক্টোবর জেলার অন্যতম বাণিজ্যিক এলাকা ঈদগাঁও বাজারের মুরগীর দোকান কর্মচারী দিন মজুর সাহাব উদ্দীনের পুত্র মনি উল্লাহকে অপহরণ, ১৫ জানুয়ারী পোকখালীর উত্তর নাইক্ষ্যংদিয়া বড় মসজিদ এলাকায় মৃত আবদু শুক্কুরের পুত্র আবুল কালাম প্রকাশ বাবুল ও তৈয়ম গোলালের পুত্র ফরিদুল আলম প্রকাশ ফইরাকে এলাকার লোকজন অবৈধ দেশীয় তৈরী বন্দুকসহ ঘর ঘেরাও করে ঈদগাঁও পুলিশকে খবর দেয়। ১৭ জানুয়ারী ইসলামপুর শিল্প এলাকায় পপুলার সল্ট মিলে হামলায় আহত ২ জন, থানায় মামলা দায়ের।

২৪ জানুয়ারী ইসলামাবাদ গজালিয়ায় মোহাম্মদ হোছনের পুত্র আবদুল করিমকে দেশীয় তৈরী বন্দুকসহ আটক, ২৩ জানুয়ারী ইসলামাবাদের শাহ ফকির এলাকা থেকে ইয়াবা ব্যবসায়ী ও আলোচিত ইদ্রিছকে হত্যার চেষ্টাকারী (উভয় হাত কর্তনকারী) কক্সবাজার মডেল থানার ৬২নং মামলার আসামী বার্মাইয়া সিরাজকে আটক করে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে আসে এবং পরে ছেড়ে দেয়। ২৫ জানুয়ারী ইসলামাবাদ গজালিয়ার সেচ প্রকল্পের মেশিন ঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। ৩০ জানুয়ারী রাতে জালালাবাদ ইউনিয়নের খামার পাড়ার বাড়ি থেকে জাফর আলমের পুত্র মনছুর আলমকে দেশীয় তৈরী বন্দুকসহ আটক করে।

৩ ফেব্রুয়ারী ইসলামপুরে জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্য দিবালোকে শাহজালাল ও মহিউদ্দীন প্রকাশ ককটেল মহিউদ্দীন নামের ২ ব্যক্তি খুন হয়। এছাড়া ৪ ফেব্রুয়ারী ভোর সাড়ে ৪ টায় ঈদগাঁও কালিরছড়ায় গরু চুরি করতে যাওয়া চোরদের হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে গরুর মালিক মৃত আমির হামজার পুত্র ছৈয়দ আলম বর্তমানে চমেকে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। একই রাতে চান্দের ঘোনা বদরুদ্দোজার বাড়ি থেকে ২টি, আবু বক্করের বাড়ি থেকে ৪টি, সাতঘরিয়া পাড়ার সিকান্দরের বাড়ি থেকে ২টি ও চেহের আলমের বাড়ি থেকে ২টিসহ মোট ডজন খানেক গরু চুরি হয়েছে বলে বিশ্বস্থ সূত্রে জানা গেছে।

অন্যদিকে সপ্তাহ খানেক আগে পালাকাটার বাসিন্দা মৌলভী আবদুল খালেকের বাড়ি থেকেও ৪টি গরু চুরি হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এসব পেশাদার চোরদের সনাক্ত বা আটক করতে ব্যর্থ হয়েছে ঈদগাঁও পুলিশ। এতে করে গরুর মালিক ও ব্যবসায়ীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।

 

পাঠকের মতামত: