কক্সবাজার সদরের বৃহত্তর ঈদগাঁও’র সব কটি হাটবাজারে গ্রীষ্মকালীন সবজি মিলছে অতি কম দামে। দাম কম হওয়াতে খুশি ক্রেতারাও। ফলন ভাল হওয়াতে এবং চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশী থাকায় সবজির দাম নিম্নমুখী বলে জানিয়েছে স্থানীয় সবজি বিক্রেতারা। নতুন এসেছে বলে শুধুমাত্র কাকরলের দামটা সামান্য বেশী। অন্যান্য সবজির মধ্যে শশা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২০ টাকায়, ঢ়েড়শ ১০-১২ টাকায়, তিতা করলা ৮-১০ টাকা, বরবটি ১০-১২ টাকা, টমেটো ২৫-৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮-১০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া কেজি প্রতি ৮-১০ টাকা, লাউ প্রতি পিস্ সাইজভেদে ১৫-২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতা ইসলাম জানান, ইদানীং সবজির সরবরাহ এত বেশী যে, কোন কোন দিন ক্রেতা পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়না। অনেক সময় ছোট বিক্রেতারা ক্রেতার অভাবে সবজি ফেলে দিয়ে চলে যাচ্ছে। ইসলামবাদ এলাকার সবজি বিক্রেতা করিম জানান, গত হাটে তিনি বিভিন্ন জাতের সবজি আনেন বিক্রির জন্য। ক্রেতা না থাকায় প্রায়সব সবজি নষ্ট হয়ে গেছে তার। শেষে বাধ্য হয়ে সবজিগুলো ফেলে দেন ।
অন্যদিকে ক্রেতা রশিদ জানান, বাজারে গ্রীষ্মকালীন প্রায়সব সবজি এখন একপ্রকার পানির দরে বিক্রি হচ্ছে। গরমে মাছ মাংসের চেয়ে সবজি অনেক বেশী স্বাস্থ্যপ্রদ। তাই তিনি তার প্রতিদিনকার খাবারের মেন্যুতে সবজি একপ্রকার বাধ্যতামুলক বলে জানান। অপর ক্রেতা ফখরুল জানান, বাজারে অন্যান্যসব নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের তুলনায় সাম্প্রতিক সময়ে সবজী অনেক সস্তায় পাওয়া যাচ্ছে। অন্যদিকে বৃহত্তর ঈদগাঁও’র সবজি ভান্ডার খ্যাত ভোমরিয়াঘোনা ও গজালিয়া এলাকার সবজি চাষী মোস্তাক আহমদ জানান, পানি ,সার, বীজ ও বালাইনাশক সহজলভ্য হওয়াতে এবছর ঈদগাঁওতে সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে। মাঠের পর মাঠ আবাদ হয়েছে বিভিন্ন ধরনের সবজি ক্ষেতের।
ইসলামবাদের অপর সবজী চাষী জালাল জানান, এবছর অনুকুল আবহাওয়া ও পোকামাকড়ের উপদ্রুপ কম হওয়াতে সবজির উৎপাদন অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক বেশী। যে কারণে বাজারে সরবরাহ বেড়েছে অনেক গুণ। আর ক্রেতারাও সস্তায় কিনতে পারছেন সবজি। তবে গজালিয়া এলাকার সবজি চাষী মোহাম্মদ হোসেন জানান, সবজীর দাম পানির দরে হওয়ায় উৎপাদন খরচ উঠাতেই চাষীরা হিমশিম খাচ্ছে।
পাঠকের মতামত: