ঢাকা,সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

ঈদগাঁওতে এনজিও কর্মীরা ঝণেন কিস্তি আদায় সরকারী নির্দেশ মানছে না!  জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা

আলা উদ্দিন, ঈদগাঁও, কক্সবাজার :করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বাড়িতে অবস্থানের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। এতে দিনমজুর ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের আয় নেই। কিন্তু থেমে নেই এনজিওর ঋণের কিস্তি আদায়। বিভিন্ন স্থানে প্রশাসন কিস্তি আদায় স্থগিত করলেও মানছে না এনজিও কর্মকর্তারা।

এদিকে করোনার প্রাদুর্ভাবে দরিদ্র মানুষের কষ্ট লাগবে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত এনজিওর কিস্তি আদায়ে নিষেধাজ্ঞা দেন কক্সবাজার জেলা ও উপজেলা প্রশাসন।

কিন্তু এ নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রত্যাশী, ব্রাক, কোস্ট, রিক, আশা, মুক্তি ও গ্রামীণ ব্যাংকসহ বিভিন্ন এনজিও সংস্থা কিস্তি উত্তোলন অব্যাহত রেখেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহত্তর ঈদগাহর ৬ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিন এই এনজিও গুলো কিস্তি আদায় করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

ফলে করোনায় কর্মহীন জনগোষ্ঠী দিশেহারা হয়ে পড়েছে। একদিকে পরিবারে খাবারের ব্যবস্থা অপর দিকে এনজিও কর্মকর্তার চাপে কিস্তির টাকা জোগাড় করতে বিপাকে পড়তে হচ্ছে কর্মহীম মানুষের।

ঈদগাহ ইউনিয়নের জয়নাল নামে একজন জানান, করোনা মহামারীতে দীর্ঘদিন ধরে বেকার হয়ে বাড়িতে অবস্থান করছি। এদিকে এনজিওর কিস্তির টাকা জোগাড় করতে আমাদের জন্যে খুবই কষ্ট হচ্ছে। অন্তত করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত কিস্তি উত্তোলন বন্ধ রাখার দাবী জানান তিনি।

চৌফলদন্ডি নতুনমহাল কিস্তি আদায় করতে আসা ‘প্রত্যাশী’ নামের এনজিও সংস্থার মাঠকর্মীর সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমাদেরকে বাধ্য হয়ে কিস্তি উত্তোলনের জন্যে মাঠে আসতে চাপ দিচ্ছে উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। অন্যতায় চাকরি ছেড়ে দিতে বলছেন।

ঈদগাহ চাঁন্দেরঘোনা এলাকায় কিস্তি আদায় করতে আসা ‘কোস্ট’ নামের এনজিও কর্মকর্তা সাথে কথা হলে বলেন, আমাদের সরকারের অনুমতি আছে। উপজেলা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তিনি এড়িয়ে যান।

এ বিষয়ে কক্সবাজার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মু. মাহমুদ উল্লাহ মারুফ চকরিয়া নিউজকে বলেন এনজিও কর্মকর্তারা কিস্তি আদায় করতে আসলে তাদেরকে কিস্তি না দিতে পরামর্শ দেন, যদি কোন এনজিও চাপ প্রয়োগ করে ভুক্তভোগীরা সেই এনজিওর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।

পাঠকের মতামত: