ঢাকা,রোববার, ১০ নভেম্বর ২০২৪

আচরণ বিধি মানছেন না প্রার্থীরা

14-300x150কক্সবাজার প্রতিনিধি :
রিআচরণ বিধি মানছেন না চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীরা। অনেকেই রঙ্গিন ব্যানার টাঙ্গিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন। মাইক নিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন রাত ১২ টায় পর্যন্ত। দিনের বেলায় বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালালেও সন্ধ্যার পরে কোন খবর নেওয়া হয় না। যার ফলে আচরণ বিধির তোয়াক্কাই করছেন না প্রার্থীরা। এ ছাড়াও গ্রাম এলাকায় কোন তৎপরতাই নেই সংশ্লিষ্টদের।
আচারণ বিধি থাকলেও তা তোয়াক্কা করছেন না অনেক প্রার্থী। চেয়ারম্যান, মেয়র প্রার্থী ছাড়াও কাউন্সিলর ও মেম্বার প্রার্থীরা রাত ১২টা পর্যন্ত প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা কিভাবে একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করবে কিংবা আদৌ করতে পারে কিনা তা না জানায় তেমন অভিযোগ জমা হচ্ছে না সহকারি রিটার্নিং অফিসারের কাছে। অধিকাংশ প্রার্থী বিভিন্ন সংবাদকর্মীদের কাছে অভিযোগ করে চলেছেন।
মহেশখালীর ধলঘাটার একজন মেম্বার পদপ্রার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, এই ইউনিয়নে কোন আইনের বাস্তবায়ন নেই। প্রচারণা চলছে রাতদিন ব্যাপী। এখানে দেখার কেউ নেই। কোন সময় আসেনি নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কোন কর্মকর্তা। যার ফলে আরো উৎসাহিত হচ্ছেন প্রার্থীরা। এছাড়া অনেকেই প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালাচ্ছেন বিভিন্ন এলাকায়।
মাতারবাড়ি ইউনিয়নেও চলছে আচারণ বিধি লংঘনের হিড়িক। কোন প্রার্থীই মানছেন না নির্বাচনী আইন। দেয়ালে পোস্টার লাগানো নিষিদ্ধ হলেও তা আমলেই নিচ্ছেন না কেউ। ওই ইউনিয়নের একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, প্রতিদ্বন্দীতামুলক নির্বাচন হওয়ায় আমার সমান তালে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। একজন করলে আরেকজনের বসে থাকার সুযোগ নেই।
হোয়ানক ইউনিয়নের ভোটার মোহাম্মদ শওকত আলী জানিয়েছেন, সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আচারণ বিধি মেনে চলেন প্রার্থীরা। এরপর থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত আইনের তোয়াক্কাই করছেন না প্রার্থীরা। রাতের বেলায় প্রচারের প্রতিযোগিতায় নামছেন প্রার্থীরা। গত কয়েকদিন ধরে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হলেও তারা চলে যাওয়ার পর শুরু হয় আচরণ বিধি লংঘন। কয়েকজন প্রার্থী রঙ্গিন পোস্টার লাগিয়ে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
চকরিয়ার পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা লকিয়ত উল্লাহ জানিয়েছেন, এখানে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে প্রচারণা। আইন আছে বাস্তবায়ন নেই। যে যার যার মত করে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
টেকনাফের হ্নীলার শাহীন শাহ জানিয়েছেন, প্রার্থীরা পোস্টার লাগানোর ক্ষেত্রে আচরণ বিধি মানছেন না। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দেয়ালে এবং বারান্দায় লাগানো হয়েছে পোস্টার। ভ্রাম্যমান আদালত সক্রিয় থাকলে অনেক প্রার্থীর শাস্তি হত।
মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালাম জানিয়েছেন, অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। অনেক প্রার্থীকে জরিমানা করা হয়েছে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন জানান, আচরণবিধি লংঘনের অভিযোগ পেলেই সংশ্লিষ্ট সহকারি রিটার্নিং অফিসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছেন।

পাঠকের মতামত: