পরিবেশ আইন অমান্য করে কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায় ১০টি স্থানে পাহাড় থেকে নেমে আসা বালু বিক্রি করছে একশ্রেণির অসাধু লোক। এ কারণে সরকার যেমন রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তেমনি হুমকির মুখে পড়েছে পরিবেশ। এলাকাবাসীর অভিযোগ, বালু বিক্রি বন্ধ করার জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও বন বিভাগকে অবহিত করেও কোনো কাজ হচ্ছে না।
গত সোমবার সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের ধলঘাটপাড়া, কালামারছড়া ইউনিয়নের চালিয়াতলী ও উত্তর নলবিলা এলাকার লোকজন পাহাড়ের ছড়ার বালু অবাধে উত্তোলন করছে। পরে এসব বালু প্রতি ট্রাকে পাঁচ শ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
শাপলাপুর ইউনিয়নের ষাইটমারা এলাকার বাসিন্দা মোজাম্মেল হোসেন বলেন, স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে অবাধে পাহাড়ের বালু উত্তোলন করে তা প্রকাশ্যে বিক্রি করছেন। বালু পরিবহন কাজে নিয়োজিত ট্রাকচালক মোহাম্মদ মোস্তাক বলেন, স্থানীয় বালু বিক্রেতার সঙ্গে চুক্তিতে ট্রাকে বালু ভর্তি করে সরবরাহ করছেন। প্রতি ট্রাক বালু পরিবহনের জন্য আট শ টাকা করে ভাড়া নিচ্ছেন। পরিবেশের ক্ষতি হলেও তাঁর করার কিছুই নেই।
কালারমারছড়া ইউপি চেয়ারম্যান মির কাসেম চৌধুরী বলেন, সরকারিভাবে ইজারা ছাড়া পাহাড় বা ছড়ার বালু বেচাকেনা করার কোনো নিয়ম নেই। এরপরও বিভিন্ন স্থানে সড়কের পাশের ছড়া থেকে পাহাড়ের বালু উত্তোলন করে স্থানীয় লোকজন বাইরে বিক্রি করছে।
উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার মোহাম্মদ আব্দুর রহমান বলেন, ‘কালারমারছড়া ইউনিয়নের চালিয়াতলি এলাকায় গিয়ে বালুভর্তি দুটি ট্রাক আটক করি আমরা। পরে বালু ফেলে ট্রাক নিয়ে বালু বিক্রেতারা পালিয়ে যায়। তাই এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) অবহিত করা হয়েছে।’
বন বিভাগের মহেশখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল হাশেম ভূঁইয়া বলেন, ‘বিচ্ছিন্নভাবে চালিয়াতলিসহ কয়েকটি এলাকায় পাহাড়ের ছড়ার বালু বিক্রি করছে বলে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে শুনেছি। তাই তদন্ত করেই অচিরেই বালু বিক্রি বন্ধ করার জন্য অভিযান চালানো হবে।’
পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজারের সহকারী পরিচালক সরদার শরিফুল ইসলাম বলেন, পরিবেশ আইনের ১৯৯৫ সালের (সংশোধিত ২০১০) ১ নম্বর আইনের ৬ এর খ ধারা মতে পাহাড়ের বালু বেচাকেনা করা দণ্ডনীয় অপরাধ। তাই এ ব্যাপারে এলাকায় খোঁজখবর নেওয়া হবে।
মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, ‘অবাধে বালু বিক্রি করার বিষয়ে কেউ আমাকে লিখিত অভিযোগ করেননি। এরপরও পুলিশ অভিযান চালিয়ে চালিয়াতলি এলাকা থেকে বালু পরিবহনের অভিযোগে একটি ট্রাক আটক করে।’
জানতে চাইলে মহেশখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিভীষণ কান্তি দাশ বলেন, ইতিমধ্যে বালুভর্তি একটি ট্রাক জব্দ করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে পরিচালনা করে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। বালু বিক্রি বন্ধ করার জন্য এলাকায় আবারও অভিযান পরিচালনা করা হবে।
প্রকাশ:
২০১৭-০২-১৯ ১০:০৯:৫০
আপডেট:২০১৭-০২-১৯ ১০:০৯:৫০
- কক্সবাজার প্রেসক্লাবের অবৈধ কমিটির অবৈধ নির্বাচন
- চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালীতে সন্ত্রাসী হামলায় বিএনপির সেক্রেটারীসহ ২জনকে কুপিয়ে জখম
- কক্সবাজার প্রেস ক্লাবের জটিলতা নিরসনে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ চেয়ে স্মারকলিপি
- চকরিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা সাঈদী ফেনী থেকে গ্রেফতার
- মেদাকচ্ছপিয়ায় পিপলস ফোরাম সাধারণ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত
- সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়ন জামায়াতের কর্মী ও দায়িত্বশীল সম্মেলন অনুষ্ঠিত
- পেকুয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত-আহতের পরিবারকে সরকারি অনুদান
- নব্য দোসরদের কারণে সাংবাদিকরা কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সদস্য পদ পাচ্ছে না
- ঈদগাঁওতে চেয়ারম্যান জনি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন
- পাউবোর অবহেলায় মাতামুহুরির সেচ সংকট, বিপাকে লক্ষাধিক কৃষক
- পেকুয়ায় অটোচালক খুনের ঘটনায় ইউপি সদস্যসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা
- প্রশাসনকে সকল দলের প্রতি বৈষম্যহীন আচরণ করতে হবে
- পাউবোর অবহেলায় মাতামুহুরির সেচ সংকট, বিপাকে লক্ষাধিক কৃষক
- নব্য দোসরদের কারণে সাংবাদিকরা কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সদস্য পদ পাচ্ছে না
- ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে বন্যপ্রাণী শিকার করতে গিয়ে বন্দুক রেখে পালালো ২ জন
- চকরিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা সাঈদী ফেনী থেকে গ্রেফতার
- পেকুয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত-আহতের পরিবারকে সরকারি অনুদান
- চকরিয়ায় মাষ্টার মাইন্ড অটো ব্রিকস ফ্যাক্টরিতে ২ নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু
- চকরিয়ায় আলোচিত ডাবল মার্ডার মামলার দুই পলাতক আসামি গ্রেফতার
- পেকুয়ায় অটোচালক খুনের ঘটনায় ইউপি সদস্যসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা
- ঈদগাঁওতে চেয়ারম্যান জনি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন
- কক্সবাজার প্রেস ক্লাবের জটিলতা নিরসনে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ চেয়ে স্মারকলিপি
পাঠকের মতামত: