নুরুল আমিন হেলালী, কক্সবাজার :::
বৈশাখের অতি তাপদাহে অতিষ্ট জনজীবনে অবশেষে স্বস্থির বৃষ্টির দেখা মিলেছে। ২মে সোমবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হওয়া ঝড়ো বৃষ্টিতে বৈশাখের তাপদাহে অতিষ্ট জেলার সর্বত্র শুষ্ক প্রাণে ফিরে এসেছে প্রাণস্পন্দন। স্বল্পসময়ের ভারী বর্ষণ তাপদাহে নাভিশ্বাস উঠা প্রকৃতি ও জনজীবনে স্বস্থি ফিরিয়ে দিয়েছে। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ঋতু পরিবর্তনও প্রলম্বিত হতে শুরু করেছে। আর সেই কারণে বাংলা বর্ষপঞ্জী অনুসারে বৈশাখের শুরু থেকেই দেখা দিয়েছে গ্রীষ্মের খরতাপ, দাবদাহ ও উষ্ণপ্রবাহ। বৃষ্টির প্রত্যাশায় প্রকৃতিতে চলেছে মেঘ বন্দনা। প্রচন্ড খরতাপের কারণে জেলার বিভিন্ন স্থানে ভূ-গর্ভস্থ পানিস্থরও নিচে নেমে যাওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। সামান্য বৃষ্টিতে শহরের বিভিন্নস্থানে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের অভাবে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। টেকসই ও কার্যকরী ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকার ফলে গোলদিঘীর পাড়, বড়বাজার, বাজারঘাটা, থানার পেছনরোড়, বৌদ্ধমন্দির সড়ক, গাড়িরমাঠ এলাকাসহ সর্বত্র জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে জনদূর্ভোগ বেড়েছে। কিছু কিছু সড়কে বৃষ্টির পানি রাস্তার কাদার সাথে মিশে জলকাদায় ভরে গেছে। স্বস্থিও বৃষ্টিতে বিঘিœত হয়েছে যানচলাচল ও জনজীবনের স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ। বিশেষ করে থানার পেছনরোড়, বাজারঘাটা, গাড়ির মাঠ অল্প বৃষ্টিতেই পানি জমেছে। বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের টেকসই ব্যবস্থার অপ্রতুলতার কারণে পুরো বর্ষামৌসূমে ওই সমস্ত এলাকার অবস্থা এরকম থাকতে পারে বলে মন্তব্য স্থানীয় বাসিন্দাদের। অপরিকল্পিতভাবে আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণের ফলে শহর ও পার্শ্ববর্তী এলাকাসমূহে প্রতিবছর বাড়ছে জলাবদ্ধতা। এছাড়া ড্রেনেজ ব্যবস্থার সুষ্ঠু তদারকির অভাবে ড্রেনগুলো বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনে অকার্যকর হয়ে পড়েছে। শহরের জলাবদ্ধতা দূরীকরণে পদক্ষেপ নেয়া না হলে বর্ষার ভারী বর্ষণে জনদূর্ভোগ চরম পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে বলে মনে করছেন সচেতনমহল। সরেজমিনে দেখা গেছে, আকস্বিক বৃষ্টিতে অতি দাবদাহে অতিষ্ট মানুষের মাঝে কিছুটা স্বস্থি ফিরে এলেও চলাচলে বেড়েছে জনদূর্ভোগ।
পাঠকের মতামত: