নুরুল আমিন হেলাল, কক্সবাজার ::
গত কয়েকদিন যাবৎ একদিকে প্রচন্ড গরম অন্যদিকে ভয়াবহ বিদ্যুতের ভেলকিবাজীতে হাঁসফাঁস শহুরেজীবন। দাবদাহে অতিষ্ট জনজীবনে ঘন ঘন বিদ্যুতের লোডশেডিং ফলে শহরে বসবাসকারী সাধারন মানুষের মাঝে নাভিশ্বাস দেখা দিয়েছে। টেকপাড়া, ঘোনাপাড়া, বড়বাজার, ঝাউতলাসহ কয়েক এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ শহরে বসবাসকারী ভিআইপি-সিআইপিরা নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পায়। কিন্তু সাধারণ মানুষ ঘন ঘন লোডশেডিং পায়। একই শহরে বসবাস করে বিদ্যুৎ বিতরণে এধরনের বৈষম্য মেনে নেয়া যায় না। প্রচন্ড গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন প্রাণিকুল। পাশাপাশি বাড়ছে পানিশুণ্যতাসহ বিভিন্ন রোগের প্রকোপ। প্রচন্ড দাবদাহের কারণে শ্রমজীবি মানুষসহ সাধারন মানুষের বেড়েছে অসহনীয় দূর্ভোগ। অনেক ভ্যান-রিক্সাচালক, দিনমজুর দুপুরে অলস সময় পার করছেন। প্রচন্ড গরমের কারণে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হওয়া নিরাপদ মনে করছে না। তবে গরমে সবচেয়ে অস্বস্থিকর অবস্থা শিশু ও বয়স্কদের। ডায়রিয়া স্বর্দিজ্বর থেকে শুরু করে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগির সংখ্যা। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, এসময়টাতে যেহেতু পানিশুণ্যতা রোগে সবচেয়ে বেশী ভোগে সেহেতু অতিরিক্ত গরম বা রোদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। সদর হাসপাতালের শিশু চিকিৎসক ডাক্তার এ জেড সেলিম বলেন, এসময় শিশুরা পানি শুণ্যতা রোগে সবচেয়ে বেশি ভোগে তাই প্রচন্ড গরম কিংবা রোদ থেকে যতটুকু সম্ভব শিশুদের নিরাপদে রাখতে হবে পাশাপাশি বেশি বেশি বিশুদ্ধ পানি পান করাতে হবে। অন্যদিকে শহরের ব্যস্ত সড়কের পাশে খোলা আকাশে কিংবা ফুটপাতে বিক্রি করা শরবতসহ অন্যান্য খোলা খাবার খেয়েও গরমে শ্রান্ত-ক্লান্ত নি¤œ আয়ের মানুষগুলো পেটের পিড়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। চিকিৎসকদের পরামর্শ মতে, যতটুকু সম্ভব ফুটপাতের খাবার এড়িয়ে চলা উচিৎ। আবহওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, এঅবস্থা আরও কয়েকদিন থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে কক্সবাজার বিদ্যুৎ অফিস বলছে,সরকারের জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের বিধান রয়েছে। এটাকে বিদ্যুৎ বিতরনে বৈষম্য বলা যাবে না।
পাঠকের মতামত: